বহু গুণে গুণান্বিতা স্বাগতা by কামরুজ্জামান মিলু
২০ ডিসেম্বর ২০১২।সময় বিকেল ৩টার কাছাকাছি। নির্দিষ্ট সময়ের আগে পৌঁছালাম
স্বাগতার বাসায়। দরজায় দেখা হয়ে গেল স্বাগতার সঙ্গে। দেখা মাত্র
হাস্যোজ্জ্বল মুখে বললেন, এতো তাড়াতাড়ি চলে এসেছেন? তখনও এসে পৌঁছাননি
আমাদের আলোকচিত্রী।
ঘরে ঢুকে বাদ্যযন্ত্র দেখে যে কেউ বুঝতে পারবেন যে এখানে পুরোদমে সংগীতচর্চা হয়। যে বাড়ির মেয়ের সরব উপস্থিতি অভিনয়, মডেলিং, গান এবং উপস্থাপনা, তার বাসায় এগুলো তো স্বাভাবিক ব্যাপার।
এরই মধ্যে স্বাগতা ধারাবাহিক নাটক সাতকাহন, রেডিও চকোলেট, কলেজ রোড, নোঙর নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন।
কিছুদিন আগে নেপালে গিয়েছিলেন একটি নতুন ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করতে। সকাল আহমেদের পরিচালনায় এ নাটকটির নাম ‘সত্য পাহাড়’।
প্রথমেই জানতে চাইলাম এ নাটকের কথা। স্বাগতা এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘আমি নেপাল থেকে আশার পর অনেক ক্লান্ত। নতুন কাজ এখনো শুরু করতে পারি নি। তবে নেপালে যাবার আগে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছিলাম। ‘সত্য পাহাড়’ নাটকটির গল্প গড়ে উঠেছে একটি পরিবারের যাপিত জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে।”
তিনি বলেন, “নাটকে দেখা যাবে, একটি পরিবারের সব সদস্যদের নীতিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। পারিবারিক সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য তারা সিদ্ধান্ত নেন নেপালের সত্য পাহাড়ে যাওয়ার। তাদের ধারণা, এখানে গেলে সব সমস্যা কেটে যাবে। সে কারণেই তারা স্বপরিবারে নেপাল যান। কিন্তু, সেখানে গিয়ে ঘটতে থাকে মজার মজার নানা ঘটনা।’’
অভিনয়ের বাইরে পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা স্বাগতা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন গান গাইতে। তার বাবা খোদা বখশ শানু একজন সংগীত শিক্ষক। চাকরি করেন শিশু একাডেমীতে। বর্তমানে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে নিজেই গানের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। শৈশবে বাবার হাতেই তার গানের হাতেখড়ি।
উপস্থাপনায়ও সফল স্বাগতা। `সিনেবিট সাদা কালো` ও `মিউজিক ইউফোনি` অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে নজর কেড়েছেন তিনি। সংগীত, নাটক, উপস্থাপনা এমনকি চলচ্চিত্রেও নিজের দ্যুতি ছড়িয়েছেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ‘ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া’ বিষয়ে পড়ুয়া এ শিক্ষার্থী।
শুধু নাটকেই নয়, চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও প্রশংসিত স্বাগতা। তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘শত্রু শত্রু খেলা’। এ ছবিটির পরিচালক ছিলেন জয়নাল আবেদীন। এছাড়া তিনি ‘অশান্ত মন’, ‘কোটি টাকার ফকির’, ‘সূচনা রেখা’সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন।
স্বাগতা বলেন, “এখন ডিজিটাল ছবির সময়। তাই আমিও এখন ডিজিটাল ছবিতে অভিনয় করতে ইচ্ছুক। ডিজিটাল এবং ভালো গল্পের ছবির প্রস্তাব পেলে অবশ্যই অভিনয় করব।”
সবশেষে জানতে চাইলাম, আপনি তো্ একসঙ্গে অনেক গুণে গুণী। এতো কিছু একসঙ্গে কীভাবে সামলে চলেন।
বললেন, “এত্তো কিছু করি দেখেই তো অনেকে আমাকে অলরাউন্ডার বলেন। আমি যাই করি না কেন, অবশ্যই নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চাই ভালো কাজের সঙ্গে।”
No comments