কনটেইনারে পণ্যের বদলে ছাই-অর্থ পাচারের অভিনব পন্থা বন্ধ করুন
বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জে এসআর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চীন থেকে আমদানি করার কথা ছিল ২৫ হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়াম ও ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ক্র্যাপ। চালানের ঘোষণা অন্তত তাই বলে। কিন্তু এর বদলে এসেছে ছাই। ধরা পড়ে কাস্টমসের গোয়েন্দাদের কাছে।
এই গোয়েন্দাদের মতে, পণ্য আমদানির নামে ভুয়া ঘোষণা দিয়ে মূল্য পরিশোধ বাবদ এভাবে অর্থ পাচার করা হয়েছে। এটাই প্রথম নয়, এভাবে ইট, বালু, মাটি ও ফাঁকা কনটেইনারের পর এবার এলো পণ্যের বদলে ছাই।
বাংলাদেশের অর্থনীতি যখন কিছুটা চাঙ্গা হওয়ার পথে এগোচ্ছে, তখন অর্থপাচারের যেন হিড়িক পড়েছে। অর্থপাচার রোধ করতে দেশের মানি লন্ডারিং আইন শক্ত হওয়ায় পাচারকারীরা নানা ধরনের অভিনব পন্থা অবলম্বন করছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিনানশিয়াল ইনটিগ্রিটির সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে গত ১০ বছরে এক হাজার ৪০৬ কোটি ডলার অবৈধভাবে দেশের বাইরে পাচার হয়ে গেছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, দিন দিন এই পাচারের অঙ্ক বাড়ছেই। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পাচার কিছুটা কমলেও আবার তা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ২০০৯ সালে যেখানে ৬৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার পাচার হয়েছিল, সেখানে ২০১০ সালে পাচার হয়েছে ২৩৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। দেশের এই মূল্যবান অর্থ পাচার হয়ে যাওয়ায় দেশ কতটা পিছিয়ে যাচ্ছে, তা সহজেই অনুমেয়। এ প্রবণতা যে দুর্নীতিকে আরো বেশি উসকে দিচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং সরকারের এখন অন্যতম একটি গুরুদায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থপাচার রোধ। আগেই বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অর্থপাচার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ এবং সে আইন যথেষ্ট কঠোর। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে 'অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন-২০১০' উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আইনের সংশোধন করে তা আরো কঠোর করা হয়েছে। অর্থ পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন চার বছর ও সর্বোচ্চ ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং সেই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আইনের সঠিক প্রয়োগ হয় না। হয় এসব পাচারকারী প্রশাসনের সহায়তায় পার পেয়ে যাচ্ছে, অথবা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ আইন প্রয়োগের স্বার্থে আরো নিবিড় যোগাযোগ প্রয়োজন। যেসব দেশে অর্থপাচার হচ্ছে এবং যেসব বিদেশি কম্পানির সহায়তায় টাকা পাচার করা হয়, সেসব দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের সমন্বয় প্রয়োজন। অর্থ পাচারের এ অভিশপ্ত ধারা ঠেকানো গেলে দেশ আরো দ্রুত সামনে এগোতে পারবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি যখন কিছুটা চাঙ্গা হওয়ার পথে এগোচ্ছে, তখন অর্থপাচারের যেন হিড়িক পড়েছে। অর্থপাচার রোধ করতে দেশের মানি লন্ডারিং আইন শক্ত হওয়ায় পাচারকারীরা নানা ধরনের অভিনব পন্থা অবলম্বন করছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিনানশিয়াল ইনটিগ্রিটির সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে গত ১০ বছরে এক হাজার ৪০৬ কোটি ডলার অবৈধভাবে দেশের বাইরে পাচার হয়ে গেছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, দিন দিন এই পাচারের অঙ্ক বাড়ছেই। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পাচার কিছুটা কমলেও আবার তা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ২০০৯ সালে যেখানে ৬৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার পাচার হয়েছিল, সেখানে ২০১০ সালে পাচার হয়েছে ২৩৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। দেশের এই মূল্যবান অর্থ পাচার হয়ে যাওয়ায় দেশ কতটা পিছিয়ে যাচ্ছে, তা সহজেই অনুমেয়। এ প্রবণতা যে দুর্নীতিকে আরো বেশি উসকে দিচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং সরকারের এখন অন্যতম একটি গুরুদায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থপাচার রোধ। আগেই বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অর্থপাচার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ এবং সে আইন যথেষ্ট কঠোর। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে 'অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন-২০১০' উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আইনের সংশোধন করে তা আরো কঠোর করা হয়েছে। অর্থ পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন চার বছর ও সর্বোচ্চ ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং সেই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আইনের সঠিক প্রয়োগ হয় না। হয় এসব পাচারকারী প্রশাসনের সহায়তায় পার পেয়ে যাচ্ছে, অথবা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ আইন প্রয়োগের স্বার্থে আরো নিবিড় যোগাযোগ প্রয়োজন। যেসব দেশে অর্থপাচার হচ্ছে এবং যেসব বিদেশি কম্পানির সহায়তায় টাকা পাচার করা হয়, সেসব দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের সমন্বয় প্রয়োজন। অর্থ পাচারের এ অভিশপ্ত ধারা ঠেকানো গেলে দেশ আরো দ্রুত সামনে এগোতে পারবে।
No comments