নজরদারিতে আবুল হোসেন ও হাসান-মোশাররফসহ অন্যদের ধরতে অভিযান
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ সবাইকে গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশনা পেয়ে দুদকের টিম আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
এ ছাড়া সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি মামলার আসামি এসএনসি-লাভালিনের তিন কর্মকর্তা (কানাডিয়ান নাগরিক) রমেশ সাহা, ইসমাইল ও কেভিন ওয়ালেসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কানাডায় যাচ্ছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তদলের কর্মকর্তারা। জানুয়ারি মাসেই তাঁদের কানাডায় যাওয়ার কথা রয়েছে বলে দুদক সূত্র জানায়। বিষয়টি নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আগামী রবিবার দুদক কমিশনের বৈঠক হওয়ার কথা।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পরই তিনজন কর্মকর্তাকে কানাডায় পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দুদক। রমেশ ও ইসমাইলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর নাম। এ কারণেই এ দুজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে দুদক সূত্র জানায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদক কমিশনার মো. বদিউজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, 'পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলার আসামিদের ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর সঙ্গে যে দুজন মন্ত্রীর নাম এসেছে তাঁদেরও বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।' আসামিদের জামিনের আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'মামলাটি যেহেতু জামিনযোগ্য ধারায় করা হয়েছে, তাই তাঁরা জামিন চাইতেই পারেন।'
আলোচিত রমেশের ডায়েরি প্রসঙ্গে কমিশনার বদিউজ্জামান আরো বলেন, 'যেহেতু সেই ডায়েরিকে ভিত্তি করে মামলাটি করা হয়েছে, তাই ডায়েরিতে থাকা তথ্যের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ডায়েরিতে দুই মন্ত্রীর সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।'
এদিকে দুদকের তদন্তদলের প্রধান সিনিয়র উপপরিচালক ও মামলার বাদী আবদুল্লাহ আল জাহিদ বলেন, 'বিদেশে থাকা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেয়ে নির্ধারিত সময়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা মুখ্য বিষয়। আমরা সে অনুসারেই তদন্ত পরিচালনা করছি। আমরা চাই মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে।' বেশি দেরি হলে মামলার 'মেরিট' ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে তিনি জানান। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তোলার প্রেক্ষাপটে আবুল হোসেন ও আবুল হাসানসহ ২৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সাতজনকে আসামি করে মামলা করে দুদক। দুই আবুলকে মামলার আসামি না করা প্রসঙ্গে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রে তাঁদের ভূমিকার বিষয়ে অনুসন্ধানে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা যায়নি।
এদিকে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞাসহ সবাইকে গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশনা পেয়ে দুদকের টিম আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি দুদক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে। এতে উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিটির সমন্বয়কারী দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। বৈঠকে আসামিদের গ্রেপ্তারে করণীয় এবং দ্রুত অভিযান চালিয়ে জরুরি এবং তথ্য-উপাত্ত জব্দ করাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মামলার আসামি কানাডিয়ান তিন নাগরিক প্রসঙ্গে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তথ্য-উপাত্তের জন্য কানাডায় আগেও আমরা এমএলএআর পাঠিয়েছি, জবাব পাইনি। তদন্তের স্বার্থে আবার এমএলএআর পাঠাব। পাশাপাশি কানাডায় গিয়ে রমেশ, ইসমাইল ও কেভিন ওয়ালেসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের তদন্ত টিম সেখানে পাঠানো হবে। এ জন্য শিগগির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
এসব বিষয়ে জানতে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের সঙ্গে গতকাল মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, মামলায় যারা আসামি তাদের বিষয়ে কাজ চলছে আর যারা আসামি নয়, এজাহারে নাম আছে, তাদের ব্যাপারেও একইভাবে তদন্ত টিম কাজ করবে। মূলত এজাহারে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত আছে তাদের সবার বিষয়ে তদন্ত টিম তথ্য-উপাত্ত উদ্ধারসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করবে।
গত সোমবার পদ্মা সেতু দুর্নীতির মামলায় সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন : সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দরপত্র মূল্যায়নে গঠিত কমিটির সদস্যসচিব কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট লিমিটেডের (ইপিসি) উপপরিচালক মো. মোস্তফা। এসএনসি-লাভালিনের সাবেক পরিচালক (আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের) মোহাম্মদ ইসমাইল, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ সাহা ও কেভিন ওয়ালেস।
জানা যায়, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি মামলার আসামি এসএনসি-লাভালিনের তিন কর্মকর্তা (কানাডিয়ান নাগরিক) রমেশ সাহা, ইসমাইল ও কেভিন ওয়ালেসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কানাডায় যাচ্ছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তদলের কর্মকর্তারা। জানুয়ারি মাসেই তাঁদের কানাডায় যাওয়ার কথা রয়েছে বলে দুদক সূত্র জানায়। বিষয়টি নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আগামী রবিবার দুদক কমিশনের বৈঠক হওয়ার কথা।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পরই তিনজন কর্মকর্তাকে কানাডায় পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দুদক। রমেশ ও ইসমাইলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর নাম। এ কারণেই এ দুজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে দুদক সূত্র জানায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদক কমিশনার মো. বদিউজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, 'পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলার আসামিদের ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর সঙ্গে যে দুজন মন্ত্রীর নাম এসেছে তাঁদেরও বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।' আসামিদের জামিনের আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'মামলাটি যেহেতু জামিনযোগ্য ধারায় করা হয়েছে, তাই তাঁরা জামিন চাইতেই পারেন।'
আলোচিত রমেশের ডায়েরি প্রসঙ্গে কমিশনার বদিউজ্জামান আরো বলেন, 'যেহেতু সেই ডায়েরিকে ভিত্তি করে মামলাটি করা হয়েছে, তাই ডায়েরিতে থাকা তথ্যের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ডায়েরিতে দুই মন্ত্রীর সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।'
এদিকে দুদকের তদন্তদলের প্রধান সিনিয়র উপপরিচালক ও মামলার বাদী আবদুল্লাহ আল জাহিদ বলেন, 'বিদেশে থাকা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেয়ে নির্ধারিত সময়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা মুখ্য বিষয়। আমরা সে অনুসারেই তদন্ত পরিচালনা করছি। আমরা চাই মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে।' বেশি দেরি হলে মামলার 'মেরিট' ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে তিনি জানান। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তোলার প্রেক্ষাপটে আবুল হোসেন ও আবুল হাসানসহ ২৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সাতজনকে আসামি করে মামলা করে দুদক। দুই আবুলকে মামলার আসামি না করা প্রসঙ্গে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রে তাঁদের ভূমিকার বিষয়ে অনুসন্ধানে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা যায়নি।
এদিকে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞাসহ সবাইকে গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশনা পেয়ে দুদকের টিম আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি দুদক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে। এতে উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিটির সমন্বয়কারী দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। বৈঠকে আসামিদের গ্রেপ্তারে করণীয় এবং দ্রুত অভিযান চালিয়ে জরুরি এবং তথ্য-উপাত্ত জব্দ করাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মামলার আসামি কানাডিয়ান তিন নাগরিক প্রসঙ্গে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তথ্য-উপাত্তের জন্য কানাডায় আগেও আমরা এমএলএআর পাঠিয়েছি, জবাব পাইনি। তদন্তের স্বার্থে আবার এমএলএআর পাঠাব। পাশাপাশি কানাডায় গিয়ে রমেশ, ইসমাইল ও কেভিন ওয়ালেসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের তদন্ত টিম সেখানে পাঠানো হবে। এ জন্য শিগগির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
এসব বিষয়ে জানতে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের সঙ্গে গতকাল মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, মামলায় যারা আসামি তাদের বিষয়ে কাজ চলছে আর যারা আসামি নয়, এজাহারে নাম আছে, তাদের ব্যাপারেও একইভাবে তদন্ত টিম কাজ করবে। মূলত এজাহারে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত আছে তাদের সবার বিষয়ে তদন্ত টিম তথ্য-উপাত্ত উদ্ধারসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করবে।
গত সোমবার পদ্মা সেতু দুর্নীতির মামলায় সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন : সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দরপত্র মূল্যায়নে গঠিত কমিটির সদস্যসচিব কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট লিমিটেডের (ইপিসি) উপপরিচালক মো. মোস্তফা। এসএনসি-লাভালিনের সাবেক পরিচালক (আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের) মোহাম্মদ ইসমাইল, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ সাহা ও কেভিন ওয়ালেস।
No comments