সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ইসলামের প্রেরণা by জহির উদ্দিন বাবর
দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধের সহজাত বিষয়টিকে ইসলাম সবার শীর্ষে স্থান দিয়েছে। ইসলামের নবী দেশপ্রেমের সবচেয়ে উজ্জ্বল নজির স্থাপন করে গেছেন। স্বজাতি তাকে অন্যায়ভাবে বের করে দিলেও দেশের প্রতি তার অনুরাগ ছিল প্রবাদতুল্য।
মদিনায় আশ্রিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি মক্কার প্রতিই বেশি টান অনুভব করতেন। নবীর আদর্শে গড়া সাহাবায়ে কেরামও ভালোবাসতেন নিজ দেশ ও মাটিকে। হিজরতের পর মদিনায় হজরত আবু বকর (রা.) ও হজরত বেলাল (রা.) জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় তাদের মনে-প্রাণে স্বদেশ মক্কার স্মৃতিচিহ্ন জেগে উঠেছিল। তারা জন্মভূমি মক্কার দৃশ্যাবলি স্মরণ করে কবিতা আবৃত্তি করতে লাগলেন। এ অবস্থায় নবী করিম (সা.) সাহাবিদের মনের এ দুরবস্থা দেখে প্রাণভরে দোয়া করলেন, 'হে আল্লাহ! আমরা মক্কাকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি তার চেয়েও বেশি মদিনার ভালোবাসা আমাদের অন্তরে দান করুন।' (বুখারি)
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌম রক্ষায় রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন আহ্বান করেছেন সাহাবায়ে কেরাম সর্বতোভাবে এ ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তারা জানতেন, নিজেদের বিশ্বাস, আদর্শ ও ধর্মমতের প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য ইসলাম প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে তারা যেমন আন্তরিক ছিলেন, তেমনি নিবেদিত ছিলেন দেশপ্রেম ও দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষায়। ইসলামের আলোকে দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধ মানুষকে স্বদেশ রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌম রক্ষায় দেশপ্রেমিক নাগরিক নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। যুগে যুগে দেশপ্রেমিক নাগরিকরা নিজের সর্বস্ব দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন ও সুরক্ষার আন্দোলন করে গেছেন। বিশেষত, যাদের ধর্ম ইসলাম, বিশ্বাসে যারা শেষ নবীর অনুসারী, তাদের কাছে দেশ, জাতির জন্য আত্মত্যাগ ও বিসর্জনের দৃষ্টান্তে ইতিহাসের পাতা ভরপুর। নিজ দেশের ওপর আঘাত এলে আদর্শ ও বিশ্বাসের ধারকরাই সর্বপ্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। ইসলামের প্রেরণা যাদের ভেতরে কাজ করে তারা দেশ ও জাতির যে কোনো দুর্দিনে সর্বাত্মক বিসর্জনের মানসিকতা পোষণ করেন।
দেশের প্রতি ভালোবাসার দাবিদার হলেই কেউ দেশপ্রেমিক হতে পারে না। আচার-আচরণ ও ভূমিকায় যিনি দেশের প্রতি দায়বদ্ধ তিনিই মূলত দেশপ্রেমিক।
নিজ দেশের প্রতি কারও দায়বদ্ধতা থাকলেই কেবল উন্নতি ও সমৃদ্ধির চিন্তা আসে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা তাড়িত না করলে কেউ প্রকৃত দেশপ্রেমিক হতে পারেন না। 'দেশ গোল্লায় যাক, আমি ভালো থাকি' এই স্বার্থপর নীতির মানুষ বেড়ে গেলে দেশ পিছিয়ে পড়ে। আমাদের প্রিয় এই দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখানকার নাগরিকদের। এর বাসিন্দারা সোচ্চার ও দায়িত্বশীল হলে দেশটি পিছিয়ে থাকার কথা নয়। কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই আমাদের প্রিয় দেশটি স্বাধীনতার চার দশক পর যে পর্যায়ে যাওয়ার কথা সেখানে পেঁৗছতে পারেনি। দেশপ্রেমিক লোকের সংখ্যা এখানে কম না হলেও দেশকে নিয়ে ভাবা এবং নিজেকে যে কোনো বিসর্জনে প্রস্তুত রাখার মতো লোকের সংখ্যা নিতান্তই কম। দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ নাগরিকরাও আজ নানা কারণে কুণ্ঠিত।
যাদের হাতে দেশের চাবিকাঠি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলেও তারা দেশের জন্য ভাবিত নয় বরং নিজেকে নিয়েই ব্যতিব্যস্ত। স্বকাতরতা জন্ম দেয় অশুভ প্রতিযোগিতার। আর এটি দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। নীতি ও আদর্শের ধারক নাগরিকদের উচিত অসুস্থ এই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে দেশমাতৃকার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করা। ইসলামের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন লালন করা।
zahirbabor@yahoo.com
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌম রক্ষায় রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন আহ্বান করেছেন সাহাবায়ে কেরাম সর্বতোভাবে এ ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তারা জানতেন, নিজেদের বিশ্বাস, আদর্শ ও ধর্মমতের প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য ইসলাম প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে তারা যেমন আন্তরিক ছিলেন, তেমনি নিবেদিত ছিলেন দেশপ্রেম ও দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষায়। ইসলামের আলোকে দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধ মানুষকে স্বদেশ রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌম রক্ষায় দেশপ্রেমিক নাগরিক নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। যুগে যুগে দেশপ্রেমিক নাগরিকরা নিজের সর্বস্ব দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন ও সুরক্ষার আন্দোলন করে গেছেন। বিশেষত, যাদের ধর্ম ইসলাম, বিশ্বাসে যারা শেষ নবীর অনুসারী, তাদের কাছে দেশ, জাতির জন্য আত্মত্যাগ ও বিসর্জনের দৃষ্টান্তে ইতিহাসের পাতা ভরপুর। নিজ দেশের ওপর আঘাত এলে আদর্শ ও বিশ্বাসের ধারকরাই সর্বপ্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। ইসলামের প্রেরণা যাদের ভেতরে কাজ করে তারা দেশ ও জাতির যে কোনো দুর্দিনে সর্বাত্মক বিসর্জনের মানসিকতা পোষণ করেন।
দেশের প্রতি ভালোবাসার দাবিদার হলেই কেউ দেশপ্রেমিক হতে পারে না। আচার-আচরণ ও ভূমিকায় যিনি দেশের প্রতি দায়বদ্ধ তিনিই মূলত দেশপ্রেমিক।
নিজ দেশের প্রতি কারও দায়বদ্ধতা থাকলেই কেবল উন্নতি ও সমৃদ্ধির চিন্তা আসে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা তাড়িত না করলে কেউ প্রকৃত দেশপ্রেমিক হতে পারেন না। 'দেশ গোল্লায় যাক, আমি ভালো থাকি' এই স্বার্থপর নীতির মানুষ বেড়ে গেলে দেশ পিছিয়ে পড়ে। আমাদের প্রিয় এই দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখানকার নাগরিকদের। এর বাসিন্দারা সোচ্চার ও দায়িত্বশীল হলে দেশটি পিছিয়ে থাকার কথা নয়। কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই আমাদের প্রিয় দেশটি স্বাধীনতার চার দশক পর যে পর্যায়ে যাওয়ার কথা সেখানে পেঁৗছতে পারেনি। দেশপ্রেমিক লোকের সংখ্যা এখানে কম না হলেও দেশকে নিয়ে ভাবা এবং নিজেকে যে কোনো বিসর্জনে প্রস্তুত রাখার মতো লোকের সংখ্যা নিতান্তই কম। দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ নাগরিকরাও আজ নানা কারণে কুণ্ঠিত।
যাদের হাতে দেশের চাবিকাঠি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলেও তারা দেশের জন্য ভাবিত নয় বরং নিজেকে নিয়েই ব্যতিব্যস্ত। স্বকাতরতা জন্ম দেয় অশুভ প্রতিযোগিতার। আর এটি দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। নীতি ও আদর্শের ধারক নাগরিকদের উচিত অসুস্থ এই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে দেশমাতৃকার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করা। ইসলামের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন লালন করা।
zahirbabor@yahoo.com
No comments