কথা রাখলে দাবি পূরণ করবোঃ প্রধানমন্ত্রী by নূর ইসলাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যত চেষ্টায় হোক না কেন বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মিত হবে। আত্মস্বীকৃত দূর্নীতিবাজদের বিচার হবে। আর এই জন্য আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে।
আপনারা আমার কথা রাখলে আমিও আপনাদের সব দাবি দাওয়া পূরণ করবো। অতীতে যেভাবে আমি ও আমার সরকার যশোরের উন্নয়নে কাজ করেছি আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলে দেশের প্রাচীনতম এই জেলা যশোর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত করা হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকালে যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট পর বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সাদা জমিনের ওপর লাল পাড়ের বেনারসি শাড়ী জনসভাস্থলে প্রবেশ করেন। তার আগেই ঈদগাহ ময়দান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। প্রধানমন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে ডিজিটাল যশোরের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। দোয়া ও মোনাজাত শেষে তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে হাত নেড়ে জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ বক্তৃব্য রাখেন।
কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের পর ৩টা ৪৭ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিতে ওঠেন। টানা ৩৩ মিনিটের বক্তব্যে তিনি তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যশোরের মাটি মানুষের সাথে আমার আতœার সম্পর্ক রয়েছে। আজকের এই উপস্থিতি আরও একবার প্রমাণ করে যশোরের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। গত সংসদ নির্বাচনে জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের সবকটিতে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করায় তিনি যশোরবাসীকে ধন্যবাদ জানান। দ্বিতীয় টার্মে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম তিনি যশোরের কোন জনসভায় ভাষণ দিলেন। এই কারণে প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভাকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিলো অনেক বেশী। জনগনের সেই প্রত্যাশার কথা দলীয় নেত্রীর কাছে আগে থেকেই তুলে ধরেন বক্তারা। তিনি সেসব বক্তব্যের ইতি টেনে বলেন, যশোরবাসীর উন্নয়নে তার সরকার যে কাজ করেছে তা অতীতের কোন সরকার করেনি। শেখ হাসিনা বলেন, গত নির্বাচনের আগে এই ঈদগাহ মাঠের জনসভায় যশোরের উন্নয়নে যেসব প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলাম তার মধ্যে ভবদহ সমস্যার সমাধান, কপোতাক্ষ নদে ড্রেজিং,মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বেনাপোল বন্দরের উন্নয়ন, ডিজিটাল যশোর, যশোর - মাগুরা সড়ক, যশোর - নড়াইল সড়ক, যশোর - খুলনা সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। দেশের মানুষের আয় বেড়েছ্ েমানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। দ্রব্য মুল্য কমেছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আজ শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়েছে। বেকার সমস্যার সমাধান হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের ৪০ লাখ বেকারকে সরকারী চাকুরী ও ৮০ লাখ বেকারকে বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী প্রদান করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আজ মানুষের হাতের মুঠোয়। দেশের সব জায়গার সঙ্গে যশোরের তথ্য যোগাযোগ স্থাপতি হলো। এর মাধ্যমে যশোরের মানুষ উপকৃত হবে।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী রেজা রাজুর সভাপতিত্বে জনসভায় খালেদুর রহমান টিটো এমপি, মোজাম্মেল হক এমপি, এডভোকেট খান টিপু সুলতান এমপি, রনজিত রায় এমপি, অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব এমপি, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, শেখ হারুনর রশীদ ,পঙ্কজ দেবনাথ, কামরুজ্জামান চুন্নু, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জনসভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার।
প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ২ ছেলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মা বেটা মিলে দেশকে দূনীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। দেশের টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে জমা করেছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদন না বাড়লেও খাম্বার ব্যবসা করে তারেক কোকো কোটি কোটি টাকার দূনীতি করেছিল। এতিমদের টাকা লুট করেছিলো। কালো টাকা সাদা করেছিলো। হত্যা, খুন, গুম আর দূর্নীতি লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে একটি শ্মশানে পরিণত করেছিলো। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে দূর্নীতি মুক্ত করেছে। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩২০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট করা হয়েছে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চি হয়েছে। দারিদ্র দূর হয়েছে। দেশের মানুষ শিক্ষার আলো পাচ্ছে। দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে ২৭ কোটি বই বিনামুল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। অথচ বিএনপি নেত্রী বলছেন আগামীতে তার দল ক্ষমতায় আসলে দেশের চেহারা পাল্টে দেবেন। বিএনপি নেত্রীর উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, উনি কিভাবে দেশের চেহারা পাল্টাবেন। দেশকে কি আবারো দূর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করবেন। দেশর বিদ্যুৎ খাতকে কি তিনি দূর্নীতির আখড়া বানিয়ে দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেবেন। দেশের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেবেন। নাকি দেশেকে যুদ্ধাপরাধীদের হাতে তুলে দেবেন। আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের ভয় পায় বিরোধীদলীয় নেত্রীর এমন বক্ত্যের প্রতিবাদে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রীর মুখে মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশংসা করা মানায় না। তিনি ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের লালন পালন করেন আর পাকিস্তানীদের দালালী করেন। ভারতকে খুশি রাখতে ব্যস্ত থাকেন। আর বিরোধী দলে থাকলে লম্বা লম্বা কথা বলেন। তিনি এই ডাবল স্ট্যার্ন্ডার্ড রাজনীতি পরিহার করার আহবান জানিয়ে বলেন, যত চেষ্টা তদবির করেন না কেন বাংলার মানুষ আর চোর বাটপারদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বলেন, ক্ষমতার লোভে খালেদা জিয়া এখন ভারতকে খুশি করতে ব্যস্ত। তিনি ভারতে গিয়ে,দেশের কথা দেশের মানুষের কথা ভুলে যান। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। আর যুদ্ধের সময় বেগম জিয়া ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানী জেনারেল জানজুয়ার হেফাজতে ছিলেন। ওই জেনারেলের মৃত্যুতে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শোক বিবৃতিও দিয়েছিলেন। বুঝিনা কেন এতো দরদ ! পুরনো দিনের কথা কি আর সহজে ভোলা যায়।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী রেজা রাজুর সভাপতিত্বে জনসভায় খালেদুর রহমান টিটো এমপি, মোজাম্মেল হক এমপি, এডভোকেট খান টিপু সুলতান এমপি, রনজিত রায় এমপি, অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব এমপি, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, শেখ হারুনর রশীদ ,পঙ্কজ দেবনাথ, কামরুজ্জামান চুন্নু, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জনসভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার।
প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ২ ছেলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মা বেটা মিলে দেশকে দূনীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। দেশের টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে জমা করেছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদন না বাড়লেও খাম্বার ব্যবসা করে তারেক কোকো কোটি কোটি টাকার দূনীতি করেছিল। এতিমদের টাকা লুট করেছিলো। কালো টাকা সাদা করেছিলো। হত্যা, খুন, গুম আর দূর্নীতি লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে একটি শ্মশানে পরিণত করেছিলো। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে দূর্নীতি মুক্ত করেছে। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩২০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট করা হয়েছে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চি হয়েছে। দারিদ্র দূর হয়েছে। দেশের মানুষ শিক্ষার আলো পাচ্ছে। দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে ২৭ কোটি বই বিনামুল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। অথচ বিএনপি নেত্রী বলছেন আগামীতে তার দল ক্ষমতায় আসলে দেশের চেহারা পাল্টে দেবেন। বিএনপি নেত্রীর উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, উনি কিভাবে দেশের চেহারা পাল্টাবেন। দেশকে কি আবারো দূর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করবেন। দেশর বিদ্যুৎ খাতকে কি তিনি দূর্নীতির আখড়া বানিয়ে দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেবেন। দেশের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেবেন। নাকি দেশেকে যুদ্ধাপরাধীদের হাতে তুলে দেবেন। আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের ভয় পায় বিরোধীদলীয় নেত্রীর এমন বক্ত্যের প্রতিবাদে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রীর মুখে মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশংসা করা মানায় না। তিনি ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের লালন পালন করেন আর পাকিস্তানীদের দালালী করেন। ভারতকে খুশি রাখতে ব্যস্ত থাকেন। আর বিরোধী দলে থাকলে লম্বা লম্বা কথা বলেন। তিনি এই ডাবল স্ট্যার্ন্ডার্ড রাজনীতি পরিহার করার আহবান জানিয়ে বলেন, যত চেষ্টা তদবির করেন না কেন বাংলার মানুষ আর চোর বাটপারদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বলেন, ক্ষমতার লোভে খালেদা জিয়া এখন ভারতকে খুশি করতে ব্যস্ত। তিনি ভারতে গিয়ে,দেশের কথা দেশের মানুষের কথা ভুলে যান। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। আর যুদ্ধের সময় বেগম জিয়া ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানী জেনারেল জানজুয়ার হেফাজতে ছিলেন। ওই জেনারেলের মৃত্যুতে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শোক বিবৃতিও দিয়েছিলেন। বুঝিনা কেন এতো দরদ ! পুরনো দিনের কথা কি আর সহজে ভোলা যায়।
No comments