থার্টি ফাস্ট নাইটঃ রাজধানীর শতাধিক হোটেল ও বাড়িতে ডিজে পার্টির আয়োজন
থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে রাজধানী জুড়ে চলছে রেড নাইট ডিজে পার্টির আয়োজন। এসব পার্টিতে এসএমএস ও ফেসবুকের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে তরুণ-তরুণীদের। বিশেষ করে কলেজ-ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের।
পার্টির আয়োজকরা কমপক্ষে ১কোটি টাকার
বাণিজ্যের টার্গেট নিয়ে নেমে পড়েছেন মাঠে। ইতোমধ্যেই ৩০ লাখ টাকায় বুকিং
দেয়া হয়েছে হোটেল রেডিসন ব্লু’র উৎসব হল।
সারাবছর ধরে শুধুমাত্র প্রোগ্রামের নাম
বদল করে চলবে ডিজে পার্টি। এসব পার্টিতে বিদেশি মদ, বিয়ার ও শ্যাম্পেনের
নেশায় ডুবে যাবে তরুণ সমাজ।
সেই সাথে ডিজে গার্লদের সাথে পাশ্চাত্য কায়দায় রাতের উষ্ণতা উপভোগ করবে তারা।
এজন্য রাজধানীর শতাধিক ডিজে গার্লদের বুকিং করা হয়েছে।
থার্টি ফাস্ট নাইটে কেবল মদ, বিয়ার আর
শ্যাম্পেইন নয়, রেডিসন ব্লু হোটেলে রিজার্ভ করে রাখা ৫০টি সিংগেল কক্ষে
থাকবে বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা।
এসব কক্ষে সারারাত ধরে চলবে ডিজে গার্লদের শরীর বেচাকেনা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কেবল রেডিসন ও
ওয়াটার গার্ডেন হোটেলই নয়, রাজধানীর প্রায় সবগুলো ফাইভস্টার, থ্রিস্টার,
টুস্টার হোটেল, ফুয়াং ক্লাব, ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব ও গুলশান, বারিধারা
বনানী ও ধানমন্ডির কয়েকটি সুটিং স্পট তথা বাড়িতেও আয়োজন করা হয়েছে থার্টি
ফাস্ট নাইট বা রেড নাইট পার্টির।
ওই
সব পার্টির আয়োজকরা তাদের মোবাইল ও ফেসবুকের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছে
তরুণ-তরুণীদের। টিকিট নির্ধারণ করা হয়েছে-সিঙ্গেল ৩০০০ টাকা, ডাবল ৫০০০
টাকা। পার্টিতে ডিনারের অফারও দেয়া হয়েছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, হোটেল রেডিসন ব্লুর উৎসব হলে থার্টি ফাস্ট
নাইটের রেড নাইট পার্টির আয়োজন করেছে, নোমান, ফয়সাল ও ডিজে সফিক।
তারা ইতোমদ্যেই উৎসব হল বুকিং দিয়েছে। টিকিটও ছেড়ে দিয়েছে।
এদিকে পুলিশ হেডকোয়াটার্স সূত্রে জানা
গছে, হোটেল রেডিসন ব্লুতে এ ধরনের পার্টি আয়োজন করার ক্ষেত্রে মহাপুলিশ
পরিদর্শকের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে রেডিসন কর্তৃপক্ষ
থার্টি ফাস্ট নাইটে ডিজে পার্টির কাছে উৎসব হল ভাড়া দিয়েছে।
সূত্রগুলো আরো জানায়, থার্টি ফাস্ট নাইটকে কেন্দ্র করে ডিজে পার্টির আয়োজকরা প্রশাসন ম্যানেজ করতে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
তারা টাকার বান্ডিল নিয়ে ডিবি, এসবি,
পুলিশ, মাদকদ্রব্য ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন।
ইতোমধ্যেই কেউ কেউ সরকারী অনুমোদন পেয়েও গেছেন।
প্রশ্ন হলো সরকারি একাধিক সংস্থা কিভাবে এইসব ডিজে পার্টির অনুমোদন দিচ্ছে?
দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত
হানতে পারে এমন অনুষ্ঠান করার অনুমোদন দিয়ে সরকার কি পবিত্র ইসলাম ধর্মকে
অবমাননা করছেন? এমন প্রশ্ন সাধারণ লোকজনের মাঝে।
থার্টি ফাস্ট নাইটে রাজধানী জুড়ে নিউ ইয়ারে সেলিব্রেসনের নামে যা হতে যাচ্ছে তা কোনোভাবেই আইন সিদ্ধ নয়।
এসব বিজাতীয় সংস্কৃতির উন্মুক্ত না করে বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।
রাজধানীবাসী এক্ষেত্রে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
No comments