আড়িয়াল বিল
দেশে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর হতে দেশে আরেকটি আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য সুইটেবল জায়গা খোঁজা হচ্ছে।
রাজধানীর কাছাকাছি মনোরম পরিবেশে খোলামেলা জায়গার সন্ধান পাওয়া গেছে। বাবুবাজার বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতু হতে ৩০-৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ঢাকা-মাওয়া বিশ্ব সড়কের পশ্চিম পাশে আড়িয়ল বিলের অবস্থান। বৃহত্তর ঢাকার শ্রীনগর, সিরাজদিখান, দোহার ও নবাবগঞ্জ এলাকা নিয়ে বৃহত্তর আড়িয়ল বিল বিমানবন্দর নির্মাণের যথার্থ স্থান হিসেবে বিবেচিত। এই বিলের ৯০ শতাংশ জমি সরকারের খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত। বাকি ১০ শতাংশ জমি মালিকানা ও সরকারী অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত। হাজার হাজার একর জমি নিয়ে আড়িয়ল বিলের জন্ম। ইরি, বোরো ধান উৎপাদন হয় সামান্য অংশে। অসংখ্য পুকুর যা ডেঙ্গা নামে পরিচিত সেগুলো ভরাট হয়ে যাবার পথে। একটি বড় অংশ পতিত অবস্থায়, যেখানে তরিতরকারি রোপণ করা হয় মাত্র।আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দর নির্মাণ করতে যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন তার দ্বিগুণ জায়গা রয়েছে এই বিলে। বর্তমানে হাউজিং কোম্পানিগুলোর নজর পড়েছে আড়িয়ল বিলের প্রতি। ইতোমধ্যে জাল কাগজপত্রের দ্বারা শত শত একর জমিতে বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দখলদারদের নামমাত্র টাকা দিয়ে ভূমিদস্যুরা আড়িয়ল বিল গ্রাস করে ফেলছে। সামান্য টাকার বিনিময়ে অসহায় কৃষকরা জমির দখল ছেড়ে দিচ্ছে। হাউজিং কোম্পানির সাথে ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠার কারণে সরকারী জমি হাতছাড়া হবার ষড়যন্ত্র চলছে। ইতিপূর্বে সরকার ভূমি দস্যুদের নিকট হতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে যায়। দাঙ্গায় লোক মারা যায়। ক্ষয়-ক্ষতি হয়। একটি দুষ্টচক্র বিমানবন্দর নির্মাণে বাধা প্রদান করছে, যারা সম্পত্তির মালিক নয়। বৃহত্তর বিক্রমপুরের জনমানুষের দাবি পদ্মা সেতুর পাশাপাশি এখানে বিমানবন্দর নির্মিত হলে সম্পত্তির মূল্য দশগুণ বৃদ্ধি পাবে।
মোঃ মেছের আলী
শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ
No comments