বৈঠকে ভূমিকা এড়ানোর সুযোগ নেই- সংসদীয় কমিটিগুলোতে উপস্থিতির সংকট
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সাংসদেরা সংসদের অধিবেশনে যোগ দেন না, তাঁরা অবিরাম সংসদ বর্জন করে চলেছেন—এটি এখন আর কোনো খবর নয়। খবর হলো, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোও এখন উপস্থিতির সংকটে পড়েছে।
এবং এ ব্যাপারে কেবল বিরোধীদলীয় সাংসদেরা নন, ক্ষমতাসীন দলের সাংসদেরাও সমান অনাগ্রহী।
কিন্তু বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগসম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে সংসদের মূল অধিবেশন যখন তেমন ফলপ্রসূ হয় না, তখন সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে সেই ঘাটতি কিছুটা পূরণ হয়। অর্থাৎ এসব কমিটির সদস্যদের সভায় উপস্থিতির হার হ্রাস পাওয়ার অর্থ খোদ সংসদের কার্যকারিতা আরও কমে যাওয়া। সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে এই প্রবণতা দেশের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর।
গত রোববার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পরিসংখ্যানসহ বর্ণনা করা হয়েছে, সংসদীয় কমিটিগুলোতে গত কয়েক মাসে সদস্যদের উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে। এমনকি কোরাম পূরণের অভাবে বৈঠক বাতিল করতে হয়েছে—এমন ঘটনাও ঘটেছে। আট থেকে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিগুলোতে সদস্যদের উপস্থিতির হার কমতে কমতে এখন দাঁড়িয়েছে তিন থেকে চারজন। সরকারি হিসাব কমিটির মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কমিটির ১৫ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন ২৩ ডিসেম্বরের বৈঠকে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারি হিসাব কমিটির দায়িত্ব, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয় জনগণের টাকা কীভাবে ব্যয় করছে সেদিকে নজর রাখা; প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অডিট আপত্তির মাধ্যমে অর্থের অপব্যবহারের প্রতিবাদ জানানো এবং তার প্রতিকারের সুপারিশ করা। এই বিভাগ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের হিসাব তলব করারও অধিকার রাখে।
বলা হচ্ছে, নির্বাচন এগিয়ে আসছে বলে সাংসদেরা এখন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় বেশি সময় ব্যয় করছেন। কিন্তু এটি কোনো যুক্তি হতে পারে না। কারণ, সংসদীয় কমিটিগুলোর সদস্য সাংসদদের প্রধান দায়িত্ব বৈঠকে উপস্থিত থাকা, কমিটির জন্য কাজ করা। এ দায়িত্বে অবহেলা করার সুযোগ নেই।
কিন্তু বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগসম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে সংসদের মূল অধিবেশন যখন তেমন ফলপ্রসূ হয় না, তখন সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে সেই ঘাটতি কিছুটা পূরণ হয়। অর্থাৎ এসব কমিটির সদস্যদের সভায় উপস্থিতির হার হ্রাস পাওয়ার অর্থ খোদ সংসদের কার্যকারিতা আরও কমে যাওয়া। সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে এই প্রবণতা দেশের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর।
গত রোববার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পরিসংখ্যানসহ বর্ণনা করা হয়েছে, সংসদীয় কমিটিগুলোতে গত কয়েক মাসে সদস্যদের উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে। এমনকি কোরাম পূরণের অভাবে বৈঠক বাতিল করতে হয়েছে—এমন ঘটনাও ঘটেছে। আট থেকে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিগুলোতে সদস্যদের উপস্থিতির হার কমতে কমতে এখন দাঁড়িয়েছে তিন থেকে চারজন। সরকারি হিসাব কমিটির মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কমিটির ১৫ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন ২৩ ডিসেম্বরের বৈঠকে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারি হিসাব কমিটির দায়িত্ব, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয় জনগণের টাকা কীভাবে ব্যয় করছে সেদিকে নজর রাখা; প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অডিট আপত্তির মাধ্যমে অর্থের অপব্যবহারের প্রতিবাদ জানানো এবং তার প্রতিকারের সুপারিশ করা। এই বিভাগ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের হিসাব তলব করারও অধিকার রাখে।
বলা হচ্ছে, নির্বাচন এগিয়ে আসছে বলে সাংসদেরা এখন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় বেশি সময় ব্যয় করছেন। কিন্তু এটি কোনো যুক্তি হতে পারে না। কারণ, সংসদীয় কমিটিগুলোর সদস্য সাংসদদের প্রধান দায়িত্ব বৈঠকে উপস্থিত থাকা, কমিটির জন্য কাজ করা। এ দায়িত্বে অবহেলা করার সুযোগ নেই।
No comments