জ্বেলে গেলেন অনির্বাণ শিখা
ঘরের সবাইকে হাসি-খুশিতে ভরিয়ে রাখতেন। ১২ মাস রাতে খাবার টেবিলে ছোট দুই ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর খুনসুটি ছিল বাঁধা। মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। দিল্লির উপকণ্ঠে তাঁদের এক কামরার ফ্ল্যাটেই খুদে পড়ুয়াদের পড়াতেন।
মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকে নিজের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেন তিনি এভাবে, হাসি মুখে।
তাঁর সেই হাসিমুখ চিরদুঃখের স্মৃতি হয়ে গেল পরিচিতজনদের কাছে গত শনিবার; নিভে গেল তাঁর মেধার আলো।
গণধর্ষণের শিকার ২৩ বছরের এই তরুণী পুরো জাতির প্রার্থনা নিষ্ফল করে বেঁচে থাকার কঠিন লড়াইয়ে হেরে গেলেন। বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুরে। এর আগে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে টানা ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেন তিনি। তাঁর মনোবলে বিস্মিত হন চিকিৎসকরা।
ছোট্ট জীবনে তাঁর যা কিছু ছিল_সবই ছিল সেরা।
ক্লাসের সেরা ছাত্রীদের একজন হওয়ায় বাবা পৈতৃক জমি বিক্রি করে তাঁর পড়ার খরচ জোগান। তাঁর সংকল্প ছিল, বাবার ঋণ তিনি শোধ করবেন। বাবা একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার ছোট চাকুরে।
সাধারণ চমৎকারিত্ব, আকাঙ্ক্ষা ও কঠোর পরিশ্রমের গল্পে ভরা ছিল তাঁর জীবন। ছোট ছোট আনন্দের সম্মিলন ছিল তাঁর বেঁচে থাকায়।
নামি-দামি রেস্তোরাঁয় যাওয়ার সামর্থ্য ছিল না; মায়ের হাতের সাধারণ রান্নাই ছিল তাঁর পছন্দ। পোশাক কিনতে ভালোবাসতেন। কোনো উপলক্ষে বাবা-মা তাঁকে কখনো উপহার দিলে, তা অবশ্যই ছিল জামা-কাপড়। গত মে মাসে তাঁর জন্মদিনেও দেওয়া হয় নতুন পোশাক। এ জন্য আগে থেকেই অর্থ জমায় তাঁর পরিবার। ছয় মাস টানা কাজ করে একটি নতুন মুঠোফোন কেনার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। পুরনোটি চার বছরের।
তাঁর শেষের দিনগুলো ছিল বেঁচে থাকার অসাধারণ মনোবলে উদ্দীপিত। তিনি যখন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ছিলেন, তখনো পোশাক পাল্টানোর কথা বলেন। চুল পরিপাটি করতে চান। মুখ থেকে নল খুলে দিতে জোরাজুরি করেন, যাতে তাঁর ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে পারেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত হার মানলেও তিনি জ্বেলে দিয়ে গেলেন এক অনির্বাণ শিখা, যা মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার লড়াইয়ের প্রেরণা জোগাবে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
তাঁর সেই হাসিমুখ চিরদুঃখের স্মৃতি হয়ে গেল পরিচিতজনদের কাছে গত শনিবার; নিভে গেল তাঁর মেধার আলো।
গণধর্ষণের শিকার ২৩ বছরের এই তরুণী পুরো জাতির প্রার্থনা নিষ্ফল করে বেঁচে থাকার কঠিন লড়াইয়ে হেরে গেলেন। বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুরে। এর আগে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে টানা ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেন তিনি। তাঁর মনোবলে বিস্মিত হন চিকিৎসকরা।
ছোট্ট জীবনে তাঁর যা কিছু ছিল_সবই ছিল সেরা।
ক্লাসের সেরা ছাত্রীদের একজন হওয়ায় বাবা পৈতৃক জমি বিক্রি করে তাঁর পড়ার খরচ জোগান। তাঁর সংকল্প ছিল, বাবার ঋণ তিনি শোধ করবেন। বাবা একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার ছোট চাকুরে।
সাধারণ চমৎকারিত্ব, আকাঙ্ক্ষা ও কঠোর পরিশ্রমের গল্পে ভরা ছিল তাঁর জীবন। ছোট ছোট আনন্দের সম্মিলন ছিল তাঁর বেঁচে থাকায়।
নামি-দামি রেস্তোরাঁয় যাওয়ার সামর্থ্য ছিল না; মায়ের হাতের সাধারণ রান্নাই ছিল তাঁর পছন্দ। পোশাক কিনতে ভালোবাসতেন। কোনো উপলক্ষে বাবা-মা তাঁকে কখনো উপহার দিলে, তা অবশ্যই ছিল জামা-কাপড়। গত মে মাসে তাঁর জন্মদিনেও দেওয়া হয় নতুন পোশাক। এ জন্য আগে থেকেই অর্থ জমায় তাঁর পরিবার। ছয় মাস টানা কাজ করে একটি নতুন মুঠোফোন কেনার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। পুরনোটি চার বছরের।
তাঁর শেষের দিনগুলো ছিল বেঁচে থাকার অসাধারণ মনোবলে উদ্দীপিত। তিনি যখন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ছিলেন, তখনো পোশাক পাল্টানোর কথা বলেন। চুল পরিপাটি করতে চান। মুখ থেকে নল খুলে দিতে জোরাজুরি করেন, যাতে তাঁর ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে পারেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত হার মানলেও তিনি জ্বেলে দিয়ে গেলেন এক অনির্বাণ শিখা, যা মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার লড়াইয়ের প্রেরণা জোগাবে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments