বিলাওয়ালের সামনে বন্ধুর পথ
এশিয়ার দেশগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবেই রাজনীতিতে বংশপরম্পরার ইতিহাস বহু পুরনো। সে ধারা অব্যাহত রেখেই বেনজিরের ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির রাজনীতিতে অভিষেক ঘটল। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিতে জায়গা করে নিতে হলে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে। শুধু 'ভুট্টো' নামের জোরেই তিনি রাজনীতিতে সফল হতে পারবেন না।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের আর মাত্র তিন-চার মাস বাকি। আগামী বছরের মার্চ অথবা এপ্রিলে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। ঠিক এমন সময়ই রাজনীতির খাতায় নাম লেখালেন বিলাওয়াল (২৪)। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী নির্বাচনের বৈতরণী পার করতেই বিলাওয়ালকে 'তুরুপের তাস' হিসেবে ব্যবহার করছে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। রাজনৈতিক বিশ্লেষক কামরান খান বলেন, পিপিপি অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। দলটির বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতিসহ নানা ধরনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় বিলাওয়ালকে তুরুপের তাস হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে পিপিপি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারলেও বিলাওয়ালের 'নিষ্কলুষ' ভাবমূর্তিকে কাজে লাগাতে চাইছে পিপিপি। এ জন্যই দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাতে তাঁকে মাঠে নামানো হয়েছে। বিশ্লেষকরা আরো বলছেন, অঙ্ফোর্ড থেকে পাস করা বিলাওয়ালের শক্তি ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে পুঁজি করেই আগামী নির্বাচনে জয় পেতে চাইছে পিপিপি। বিষয়টি দাঁড়িয়েছে এমন যে, তাঁকে সামনে রেখে দল জনগণের কাছে আরেকবার সুযোগ চাইছে।
গবেষণা সংস্থা জিন্নাহ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ রাজা রুমি বলেছেন, 'পিপিপি তাঁকে (বিলাওয়ালকে) দলের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রাখতে চাইছে। কারণ এ মুহূর্তে দলের একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতার প্রয়োজন, যিনি দলের হাল ধরবেন এবং সামনে থেকে দলের নেতৃত্ব দেবেন।'
তবে অনেকেই মনে করছেন, বিলাওয়াল যে 'ভুট্টো' নামের সম্মান রাখতে পারবেন সে বিষয়টি তাঁর প্রথম ভাষণ থেকে বোঝা গেছে। গত ২৭ ডিসেম্বর মায়ের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্য দেন তিনি। ওই দিন তাঁর কণ্ঠস্বর ও কথা বলার দৃঢ়তাই প্রমাণ করেছে তিনি 'ভুট্টো' পরিবারের যোগ্য উত্তরসূরি হতে চলেছেন।
গত বছর উর্দু ভাষায় দেওয়া তাঁর বক্তব্য ছিল খুবই কাঁচা। কিন্তু এবার তিনি সেই সীমাবদ্ধতা বেশ ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠেছেন। প্রধান বিচারপতিকে সরাসরি না বলেও বিচারব্যবস্থার কড়া সমালোচনা, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে সংগ্রামী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তাঁর ভাষণে। বিলাওয়ালের কণ্ঠস্বরে নানা (জুলফিকার আলী ভুট্টো) ও মায়ের কণ্ঠের 'চমক' দেখা গেছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাষণটি বিলাওয়াল লিখলেও সেটি ঠিকঠাক করে দিয়েছেন জারদারি।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান আসকারি বলেন, 'বাকপটুতা দিয়ে হয়তো সমর্থকদের বিমোহিত করা যায়, জনগণকে আবেগে নাড়া দেওয়া যায়। তবে শুধু এ গুণ দিয়েই রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকা কঠিন।' আরেক বিশ্লেষক তালাত মাসুদ বলেছেন, 'বিলাওয়ালকে দিয়ে হয়তো সিন্ধুর জনগণকে প্রভাবিত করা যাবে। কিন্তু পাঞ্জাব ও অন্যান্য প্রদেশে তিনি কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় আছে।' সূত্র : এএফপি, হিন্দুস্তান টাইমস।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারলেও বিলাওয়ালের 'নিষ্কলুষ' ভাবমূর্তিকে কাজে লাগাতে চাইছে পিপিপি। এ জন্যই দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাতে তাঁকে মাঠে নামানো হয়েছে। বিশ্লেষকরা আরো বলছেন, অঙ্ফোর্ড থেকে পাস করা বিলাওয়ালের শক্তি ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে পুঁজি করেই আগামী নির্বাচনে জয় পেতে চাইছে পিপিপি। বিষয়টি দাঁড়িয়েছে এমন যে, তাঁকে সামনে রেখে দল জনগণের কাছে আরেকবার সুযোগ চাইছে।
গবেষণা সংস্থা জিন্নাহ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ রাজা রুমি বলেছেন, 'পিপিপি তাঁকে (বিলাওয়ালকে) দলের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রাখতে চাইছে। কারণ এ মুহূর্তে দলের একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতার প্রয়োজন, যিনি দলের হাল ধরবেন এবং সামনে থেকে দলের নেতৃত্ব দেবেন।'
তবে অনেকেই মনে করছেন, বিলাওয়াল যে 'ভুট্টো' নামের সম্মান রাখতে পারবেন সে বিষয়টি তাঁর প্রথম ভাষণ থেকে বোঝা গেছে। গত ২৭ ডিসেম্বর মায়ের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্য দেন তিনি। ওই দিন তাঁর কণ্ঠস্বর ও কথা বলার দৃঢ়তাই প্রমাণ করেছে তিনি 'ভুট্টো' পরিবারের যোগ্য উত্তরসূরি হতে চলেছেন।
গত বছর উর্দু ভাষায় দেওয়া তাঁর বক্তব্য ছিল খুবই কাঁচা। কিন্তু এবার তিনি সেই সীমাবদ্ধতা বেশ ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠেছেন। প্রধান বিচারপতিকে সরাসরি না বলেও বিচারব্যবস্থার কড়া সমালোচনা, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে সংগ্রামী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তাঁর ভাষণে। বিলাওয়ালের কণ্ঠস্বরে নানা (জুলফিকার আলী ভুট্টো) ও মায়ের কণ্ঠের 'চমক' দেখা গেছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাষণটি বিলাওয়াল লিখলেও সেটি ঠিকঠাক করে দিয়েছেন জারদারি।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান আসকারি বলেন, 'বাকপটুতা দিয়ে হয়তো সমর্থকদের বিমোহিত করা যায়, জনগণকে আবেগে নাড়া দেওয়া যায়। তবে শুধু এ গুণ দিয়েই রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকা কঠিন।' আরেক বিশ্লেষক তালাত মাসুদ বলেছেন, 'বিলাওয়ালকে দিয়ে হয়তো সিন্ধুর জনগণকে প্রভাবিত করা যাবে। কিন্তু পাঞ্জাব ও অন্যান্য প্রদেশে তিনি কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় আছে।' সূত্র : এএফপি, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments