আবারও জঙ্গিবাদের হুমকি-যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলো যে হারিয়ে যায়নি এবং তারা যেকোনো সময় আবার মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দিতে পারে, গত শনিবার রাজধানীতে হিযবুত তাহ্রীরের ঝটিকা মিছিল তারই আভাস দেয়। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় তাদের অর্ধশতাধিক কর্মী হঠাৎ করেই মিছিল বের করে।
পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে এবং পরে হাসপাতাল থেকে ৩৯ জনকে আটক করেছেন।
বিগত জোট সরকারের আমলে সারা দেশে একযোগে পাঁচ শতাধিক স্থানে বোমা হামলা, আদালতে বোমা হামলা এবং বিচারক ও আইনজীবীদের হত্যা, সিনেমা হল, মসজিদ, মাজার ও গির্জায় বোমা হামলা করে নিরীহ মানুষ হত্যার সেই বিভীষিকার স্মৃতি মানুষ ভুলে যায়নি। অপশক্তিগুলো যেকোনো অসিলায় আবারও দেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠতে পারে- এমন ইঙ্গিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকেও এর আগে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো গত কয়েক বছরে জঙ্গি দমনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে, সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু তাদের ভূমিকা যে পর্যাপ্ত নয়, বিভিন্ন স্থানে মাঝেমধ্যেই জঙ্গিদের আবির্ভাব তারই প্রমাণ দেয়। হিযবুত তাহ্রীর রাজধানীতে এর আগেও কয়েকবার অনুরূপ মিছিল করেছে। বিচারকদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হুজি, জেএমবিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনও তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা সে কথা স্বীকারও করেছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, ফের জঙ্গি হামলা পরিচালনার জন্য এরা মোটামুটি অনুকূল একটি পরিস্থিতির অপেক্ষায় আছে। আর সরকারের শেষ বছরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চরম রূপ নিলে সেটি হবে তাদের জন্য মোক্ষম সময়। কাজেই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর ব্যাপারে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর আরো সতর্ক ও তৎপর হওয়া প্রয়োজন।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন জামায়াত নেতার বিচারের রায় শিগগিরই আশা করা হচ্ছে। আর তা নিয়ে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা মরিয়া হয়ে উঠেছে। বারবার তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। একের পর এক হরতাল, অগি্নসংযোগ, ভাঙচুরের মাধ্যমে তারা দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তার ওপর জামায়াতের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নাশকতায় উসকে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ অবস্থায় জঙ্গি হামলা এবং নানা ধরনের অপতৎপরতা ও নাশকতা রোধে ত্বরিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে আগামী এক বছরে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে এবং তা থেকে বাংলাদেশকে ফেরানো কষ্টকর হতে পারে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে পরিকল্পনামাফিক কাজে লাগানোর পাশাপাশি সরকারকে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পরিচয় দিতে হবে। বর্তমানে প্রধান বিরোধী দলের প্রধান দাবি হচ্ছে আগামী নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন। এ ইস্যুতে সরকার যত অনমনীয় হবে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তত বেশি বিনষ্ট হবে। জঙ্গি সংগঠনগুলো সেটাই চাইছে। এ ছাড়া প্রধান বিরোধী দলকে একেবারে আমলে না নেওয়ার মতো আচরণ করা কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যেও পড়ে না। তাই দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করা এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। সরকারি দল ও বিরোধী দল উভয়কেই এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আগামী নির্বাচনের আগে কোন ধরনের সরকার ব্যবস্থা চালু থাকবে, তা নিয়ে উভয় দলকে আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। তাদের মনে রাখতে হবে, দেশে জঙ্গিবাদের আগুন আবার যদি জ্বলে ওঠে, তাহলে কেউই তা থেকে রক্ষা পাবে না।
বিগত জোট সরকারের আমলে সারা দেশে একযোগে পাঁচ শতাধিক স্থানে বোমা হামলা, আদালতে বোমা হামলা এবং বিচারক ও আইনজীবীদের হত্যা, সিনেমা হল, মসজিদ, মাজার ও গির্জায় বোমা হামলা করে নিরীহ মানুষ হত্যার সেই বিভীষিকার স্মৃতি মানুষ ভুলে যায়নি। অপশক্তিগুলো যেকোনো অসিলায় আবারও দেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠতে পারে- এমন ইঙ্গিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকেও এর আগে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো গত কয়েক বছরে জঙ্গি দমনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে, সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু তাদের ভূমিকা যে পর্যাপ্ত নয়, বিভিন্ন স্থানে মাঝেমধ্যেই জঙ্গিদের আবির্ভাব তারই প্রমাণ দেয়। হিযবুত তাহ্রীর রাজধানীতে এর আগেও কয়েকবার অনুরূপ মিছিল করেছে। বিচারকদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হুজি, জেএমবিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনও তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা সে কথা স্বীকারও করেছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, ফের জঙ্গি হামলা পরিচালনার জন্য এরা মোটামুটি অনুকূল একটি পরিস্থিতির অপেক্ষায় আছে। আর সরকারের শেষ বছরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চরম রূপ নিলে সেটি হবে তাদের জন্য মোক্ষম সময়। কাজেই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর ব্যাপারে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর আরো সতর্ক ও তৎপর হওয়া প্রয়োজন।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন জামায়াত নেতার বিচারের রায় শিগগিরই আশা করা হচ্ছে। আর তা নিয়ে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা মরিয়া হয়ে উঠেছে। বারবার তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। একের পর এক হরতাল, অগি্নসংযোগ, ভাঙচুরের মাধ্যমে তারা দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তার ওপর জামায়াতের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নাশকতায় উসকে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ অবস্থায় জঙ্গি হামলা এবং নানা ধরনের অপতৎপরতা ও নাশকতা রোধে ত্বরিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে আগামী এক বছরে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে এবং তা থেকে বাংলাদেশকে ফেরানো কষ্টকর হতে পারে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে পরিকল্পনামাফিক কাজে লাগানোর পাশাপাশি সরকারকে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পরিচয় দিতে হবে। বর্তমানে প্রধান বিরোধী দলের প্রধান দাবি হচ্ছে আগামী নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন। এ ইস্যুতে সরকার যত অনমনীয় হবে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তত বেশি বিনষ্ট হবে। জঙ্গি সংগঠনগুলো সেটাই চাইছে। এ ছাড়া প্রধান বিরোধী দলকে একেবারে আমলে না নেওয়ার মতো আচরণ করা কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যেও পড়ে না। তাই দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করা এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। সরকারি দল ও বিরোধী দল উভয়কেই এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আগামী নির্বাচনের আগে কোন ধরনের সরকার ব্যবস্থা চালু থাকবে, তা নিয়ে উভয় দলকে আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। তাদের মনে রাখতে হবে, দেশে জঙ্গিবাদের আগুন আবার যদি জ্বলে ওঠে, তাহলে কেউই তা থেকে রক্ষা পাবে না।
No comments