শীতের পিঠা by তন্ময় হক
কুয়াশায় ভর করে বাংলায় এসেছে শীত। এবার শীতের প্রকোপ অনেক বেশি। পৌষ মাসেই একদম জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। শীত এলেই আবশ্যিকভাবেই মনে পড়ে শীতের পিঠার কথা। বিষয়টা এমন যেন, শীতের পিঠা ছাড়া বাংলার শীত পরিপূর্ণ হয় না।
বাসাবাড়িতে পিঠা তৈরি করার সংস্কৃতি তো অনেক দিনের। হয়তো শহুরে বাসা-বাড়িতে শীতের পিঠার আয়োজন ওইভাবে দেখা যায় না, তবে গ্রামের প্রায় বাড়িতেই শীত এলেই পিঠার আয়োজন দেখা যায়। গ্রামে শীতের সকাল মানেই যেন পিঠা দিয়ে নাশতা করার সুযোগ। শীত এলেই পিঠা তৈরির এই ঐতিহ্য অনেক দিনের। গ্রামাঞ্চলে আগে নতুন ধান উঠলেই পিঠা তৈরির আয়োজন হতো। অগ্রহায়ণের নতুন ধানের পিঠার আয়োজন শীতে গিয়ে অন্য মাত্রা পায়। শীতের পিঠা বললেই চলে আসে ভাপা পিঠার নাম। শীত নামলে ঢাকায় ভাপা পিঠাই পাওয়া যায় বেশি। সঙ্গে অবশ্য চিতই পিঠা ও তেলের পিঠাও থাকে।
খনার পিঠা একটি বচন এখন মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে। 'পরের বাড়ির পিঠা, খাইতে বড়ই মিঠা।' কিন্তু এই শীতে পরের বাড়িতে পিঠা খাওয়ার সুযোগ মিলবে কীভাবে, বিশেষ করে এই শহরে! এর সমাধান বুঝি জানেন মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীরাই। শীতের শুরুতেই সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে পিঠা বিক্রির ব্যবসা পেতে বসেন তারা। শীতের পিঠার প্রতি মানুষের আগ্রহের প্রমাণ তাদের বিক্রির পরিমাণ। মৌসুমি পিঠা বিক্রেতারা শীতের সময়টাতে পিঠা বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। সাধারণত শহর ও গ্রামের বিভিন্ন রাস্তার মোড়, জনসমাগমস্থল ও বাজারের আশপাশে পিঠা বিক্রির দোকান বসে। আলাদা করে দোকান ভাড়া দিতে হয় না, অগ্রিম টাকা দেওয়ার বালাই নেই, নেই খুব বেশি পুঁজির বিনিয়োগ। কেবল চালের গুঁড়া, আটা, গুড়, নারকেল ও জ্বালানি খড়ির মাধ্যমেই পিঠা বিক্রির ব্যবসা শুরু করা হয়। এই পিঠা বিক্রির ব্যবসা অবশ্য সারাদিন চলে না। শুরু হয় কুয়াশাঢাকা ভোরে। সূর্যের আলো প্রখর হয়ে উঠলেই কমে যায় বিক্রির পরিমাণ। আবার শুরু হয় সন্ধ্যা নামলে। বিক্রি চলে রাত পর্যন্ত।
পিঠা খাওয়ার সাধ সুযোগমতো না হয় পাড়ার গলির মোড়ের দোকান থেকে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পিঠা বিক্রেতার কাছ থেকে কিনে খেয়েও মেটানো যাবে। কিন্তু বাড়িতে পিঠা বানিয়ে সবাই একত্রে পিঠা খাওয়ার আয়োজনের আনন্দ তো তাতে মিলবে না। মনে পড়ে, আগে বিদ্যালয়ে শীতকালীন ছুটি মিললেই বলাবলি করতাম, পিঠা খাওয়ার ছুটি মিলছে। পিঠা খাওয়ার ছুটির দিনগুলো এখন কেবল নষ্টালজিক করে তোলে। পত্রিকার পাতার জীবনযাপন বিষয়ক সাপ্তাহিক পাতায় শীত এলেই দেখি শীতের পিঠার রেসিপি। মনে মনে ভাবি, যাক অন্তত এই রেসিপি দেখে কেউ কেউ শীতের পিঠা নিজে তৈরি করে খেতে পারবেন।
খনার পিঠা একটি বচন এখন মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে। 'পরের বাড়ির পিঠা, খাইতে বড়ই মিঠা।' কিন্তু এই শীতে পরের বাড়িতে পিঠা খাওয়ার সুযোগ মিলবে কীভাবে, বিশেষ করে এই শহরে! এর সমাধান বুঝি জানেন মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীরাই। শীতের শুরুতেই সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে পিঠা বিক্রির ব্যবসা পেতে বসেন তারা। শীতের পিঠার প্রতি মানুষের আগ্রহের প্রমাণ তাদের বিক্রির পরিমাণ। মৌসুমি পিঠা বিক্রেতারা শীতের সময়টাতে পিঠা বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। সাধারণত শহর ও গ্রামের বিভিন্ন রাস্তার মোড়, জনসমাগমস্থল ও বাজারের আশপাশে পিঠা বিক্রির দোকান বসে। আলাদা করে দোকান ভাড়া দিতে হয় না, অগ্রিম টাকা দেওয়ার বালাই নেই, নেই খুব বেশি পুঁজির বিনিয়োগ। কেবল চালের গুঁড়া, আটা, গুড়, নারকেল ও জ্বালানি খড়ির মাধ্যমেই পিঠা বিক্রির ব্যবসা শুরু করা হয়। এই পিঠা বিক্রির ব্যবসা অবশ্য সারাদিন চলে না। শুরু হয় কুয়াশাঢাকা ভোরে। সূর্যের আলো প্রখর হয়ে উঠলেই কমে যায় বিক্রির পরিমাণ। আবার শুরু হয় সন্ধ্যা নামলে। বিক্রি চলে রাত পর্যন্ত।
পিঠা খাওয়ার সাধ সুযোগমতো না হয় পাড়ার গলির মোড়ের দোকান থেকে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পিঠা বিক্রেতার কাছ থেকে কিনে খেয়েও মেটানো যাবে। কিন্তু বাড়িতে পিঠা বানিয়ে সবাই একত্রে পিঠা খাওয়ার আয়োজনের আনন্দ তো তাতে মিলবে না। মনে পড়ে, আগে বিদ্যালয়ে শীতকালীন ছুটি মিললেই বলাবলি করতাম, পিঠা খাওয়ার ছুটি মিলছে। পিঠা খাওয়ার ছুটির দিনগুলো এখন কেবল নষ্টালজিক করে তোলে। পত্রিকার পাতার জীবনযাপন বিষয়ক সাপ্তাহিক পাতায় শীত এলেই দেখি শীতের পিঠার রেসিপি। মনে মনে ভাবি, যাক অন্তত এই রেসিপি দেখে কেউ কেউ শীতের পিঠা নিজে তৈরি করে খেতে পারবেন।
No comments