বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ- চার পরিবারের আটজনসহ নিহত ১২
নরসিংদীতে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের তিন শিশুসহ ১২ যাত্রী নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে চার পরিবারের আটজন রয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন।
গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার শিবপুর উপজেলার চৈতন্যা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। ওই মাইক্রোবাসে করে ঢাকার মিরপুরের মাজার রোড থেকে শিশুসহ ১৯ জন যাত্রী সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করতে যাচ্ছিল।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন: মিরপুর মাজার রোড এলাকার সুলাইমান মিয়া (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী লাইলি আক্তার (২৮), মিরপুর দারুস সালাম এলাকার নান্নু মিয়া (৪৫) ও তাঁর ছেলে মো. সজল মিয়া (৫), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকার রফিক মিয়া (৪০) ও তাঁর মেয়ে বৃষ্টি (৫), বরিশাল শহরের মাকসুদুর রহমান (৪৫) ও তাঁর ছেলে রাব্বি মিয়া (৮), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হাশিম মিয়া (৬৫), কিশোরগঞ্জ শহরের মো. মইজ উদ্দিন (৪৫), মাইক্রোবাসের চালক জামালপুর জেলার ফারুক মিয়া (২৮) ও ইব্রাহিম মিয়া (৫০)।
আহত ১৫ জনের মধ্যে রয়েছেন: রহিমা বেগম (২৫), মনোয়ারা বেগম (৪০), আরিফ মিয়া (৪), আরিফা বেগম (৩) ও শফিকুল ইসলাম। আহতদের সবাইকে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের চৈতন্যায় ঢাকাগামী হাওর বিলাস পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সিলেটগামী ওই মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আটজন মারা যান। আহতদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তিনজন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয় বলে শিবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের অনেকে জানান, হাওর বিলাস পরিবহনের ওই বাসটি বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে অন্য একটি বাসকে অতিক্রম করার সময় মাইক্রোবাসটিকে চাপা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তবে বাসের তেমন ক্ষতি হয়নি। বাসের কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর চালক বাস রেখে পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে ঘটনাস্থলের দুই পাশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের রেকার এসে মাইক্রোবাসটি সরিয়ে নেয়।
ঘটনার পর নরসিংদী-৫ আসনের সাংসদ শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম ও পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের খোঁজ-খবর নেন।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরুজ আল জালাল প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১১ জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বাসটি আটক করা গেলেও চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।
দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। ওই মাইক্রোবাসে করে ঢাকার মিরপুরের মাজার রোড থেকে শিশুসহ ১৯ জন যাত্রী সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করতে যাচ্ছিল।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন: মিরপুর মাজার রোড এলাকার সুলাইমান মিয়া (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী লাইলি আক্তার (২৮), মিরপুর দারুস সালাম এলাকার নান্নু মিয়া (৪৫) ও তাঁর ছেলে মো. সজল মিয়া (৫), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকার রফিক মিয়া (৪০) ও তাঁর মেয়ে বৃষ্টি (৫), বরিশাল শহরের মাকসুদুর রহমান (৪৫) ও তাঁর ছেলে রাব্বি মিয়া (৮), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হাশিম মিয়া (৬৫), কিশোরগঞ্জ শহরের মো. মইজ উদ্দিন (৪৫), মাইক্রোবাসের চালক জামালপুর জেলার ফারুক মিয়া (২৮) ও ইব্রাহিম মিয়া (৫০)।
আহত ১৫ জনের মধ্যে রয়েছেন: রহিমা বেগম (২৫), মনোয়ারা বেগম (৪০), আরিফ মিয়া (৪), আরিফা বেগম (৩) ও শফিকুল ইসলাম। আহতদের সবাইকে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের চৈতন্যায় ঢাকাগামী হাওর বিলাস পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সিলেটগামী ওই মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আটজন মারা যান। আহতদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তিনজন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয় বলে শিবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের অনেকে জানান, হাওর বিলাস পরিবহনের ওই বাসটি বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে অন্য একটি বাসকে অতিক্রম করার সময় মাইক্রোবাসটিকে চাপা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তবে বাসের তেমন ক্ষতি হয়নি। বাসের কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর চালক বাস রেখে পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে ঘটনাস্থলের দুই পাশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের রেকার এসে মাইক্রোবাসটি সরিয়ে নেয়।
ঘটনার পর নরসিংদী-৫ আসনের সাংসদ শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম ও পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের খোঁজ-খবর নেন।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরুজ আল জালাল প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১১ জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বাসটি আটক করা গেলেও চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।
No comments