কালের কণ্ঠ নিয়ে মানবাধিকার কমিশনে শাহজাহানের পরিবার
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে নিহত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান মিয়ার পরিবারের সহায় হবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ ঘটনায় সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির পাশাপাশি কমিশনের পক্ষ থেকে আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
গতকাল শাহজাহানের পরিবারের সদস্যদের এমন আশ্বাস দেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।
গতকাল সকালে ছেলে মোর্শেদ জাহান শুভ্র, মেয়ে ফাতেমা তুজ জোহরা ও সানজিদা জাহান জয়াকে নিয়ে মানবাধিকার কমিশনে যান শাহজাহানের স্ত্রী লায়লা সাজু। এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান কালের কণ্ঠের খবরটি পড়েন। মর্মান্তিক এ ঘটনায় তিনি সমবেদনা জানান এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। ড. মিজানুর রহমান মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনেন। পরে তিনি শাহজাহানের পরিবারের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠে 'এসআইয়ের মৃত্যুতে ওসির হাত' শিরোনামে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে নারায়ণগঞ্জসহ দেশে তোলপাড় হয়। অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও পাঠককে বেশ মনোযোগ এবং উৎসাহ নিয়ে খবরটি পড়তে দেখা গেছে।
কালের কণ্ঠের খবরটি পড়ে বিস্ময়ে অবাক হয়ে পড়েন উল্লেখ করে মানবাধিকার সংগঠন ইনটিরাইটস বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আহমেদ জুয়েল জানান, একজন পুলিশ কর্মকর্তার এমন রহস্যজনক মৃত্যু, তাঁকে মদখোর বলে অভিহিত করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি এ মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।
সংবাদটি পড়ে নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব বলে ওঠেন, 'কালের কণ্ঠ ফাটাইয়া দিছে। এইবার ষড়যন্ত্রকারীরা আর পার পাবে না।' সেই আলোচিত বন্দর থানা এবং নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অনেক কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, সব ধরনের তদন্তে কালের কণ্ঠের এই প্রতিবেদন আমলে নেওয়া উচিত। কারণ এ প্রতিবেদন অনেকটা প্রামাণ্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ কর্মকর্তারা আরো বলেন, একজন সৎ পুলিশ কর্মকর্তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তাঁকে মদখোর আখ্যা দিচ্ছে পুলিশই- এটা খুবই দুঃখজনক। বন্দর থানার ওসির একেক সময়ে একেক ধরনের বক্তব্য সন্দেহজনক। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো শক্তি জড়িত থাকতে পারে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পুলিশ কর্মকর্তার এমন রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত না হলে সন্ত্রাসীরাও বেপরোয়া হয়ে যাবে।
তবে গতকাল বন্দর থানার ওসি নুর মোহাম্মদ বেপারী এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রকিব উজ জামানের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় বন্দর থানায় এক রহস্যজনক বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন পুলিশ কর্মকর্তা শাহজাহান মিয়া। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ ডিসেম্বর ভোরে তিনি মারা যান। এ মৃত্যুকে ঘিরে অনেক সন্দেহ আর প্রশ্নের অবতারণা হয়।
গতকাল সকালে ছেলে মোর্শেদ জাহান শুভ্র, মেয়ে ফাতেমা তুজ জোহরা ও সানজিদা জাহান জয়াকে নিয়ে মানবাধিকার কমিশনে যান শাহজাহানের স্ত্রী লায়লা সাজু। এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান কালের কণ্ঠের খবরটি পড়েন। মর্মান্তিক এ ঘটনায় তিনি সমবেদনা জানান এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। ড. মিজানুর রহমান মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনেন। পরে তিনি শাহজাহানের পরিবারের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠে 'এসআইয়ের মৃত্যুতে ওসির হাত' শিরোনামে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে নারায়ণগঞ্জসহ দেশে তোলপাড় হয়। অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও পাঠককে বেশ মনোযোগ এবং উৎসাহ নিয়ে খবরটি পড়তে দেখা গেছে।
কালের কণ্ঠের খবরটি পড়ে বিস্ময়ে অবাক হয়ে পড়েন উল্লেখ করে মানবাধিকার সংগঠন ইনটিরাইটস বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আহমেদ জুয়েল জানান, একজন পুলিশ কর্মকর্তার এমন রহস্যজনক মৃত্যু, তাঁকে মদখোর বলে অভিহিত করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি এ মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।
সংবাদটি পড়ে নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব বলে ওঠেন, 'কালের কণ্ঠ ফাটাইয়া দিছে। এইবার ষড়যন্ত্রকারীরা আর পার পাবে না।' সেই আলোচিত বন্দর থানা এবং নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অনেক কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, সব ধরনের তদন্তে কালের কণ্ঠের এই প্রতিবেদন আমলে নেওয়া উচিত। কারণ এ প্রতিবেদন অনেকটা প্রামাণ্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ কর্মকর্তারা আরো বলেন, একজন সৎ পুলিশ কর্মকর্তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তাঁকে মদখোর আখ্যা দিচ্ছে পুলিশই- এটা খুবই দুঃখজনক। বন্দর থানার ওসির একেক সময়ে একেক ধরনের বক্তব্য সন্দেহজনক। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো শক্তি জড়িত থাকতে পারে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পুলিশ কর্মকর্তার এমন রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত না হলে সন্ত্রাসীরাও বেপরোয়া হয়ে যাবে।
তবে গতকাল বন্দর থানার ওসি নুর মোহাম্মদ বেপারী এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রকিব উজ জামানের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় বন্দর থানায় এক রহস্যজনক বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন পুলিশ কর্মকর্তা শাহজাহান মিয়া। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ ডিসেম্বর ভোরে তিনি মারা যান। এ মৃত্যুকে ঘিরে অনেক সন্দেহ আর প্রশ্নের অবতারণা হয়।
No comments