আটকে আছে বরগুনার বিসিক শিল্পনগর
বরগুনায় গণপূর্ত বিভাগের গড়িমসির কারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত বিসিক শিল্পনগর স্থাপনের কাজ আটকে আছে। শহরের ক্রোক এলাকায় গণপূর্ত বিভাগের প্রায় সাড়ে ১০ একর পরিত্যক্ত জমিতে ওই বিসিক শিল্পনগর স্থাপনের স্থান নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু গণপূর্ত বিভাগ তাতে আপত্তি তোলায় বিষয়টি এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, ২০১০ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরগুনা সফরকালে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিসিক শিল্পনগর প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে সবার মতামতের ভিত্তিতে শহরের উপকণ্ঠে ক্রোক এলাকায় গণপূর্ত বিভাগের পরিত্যক্ত প্রায় সাড়ে ১০ একর জমির ওপর এই শিল্পনগর গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়। এই জমি ভিত্তি ধরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন (ডিপিপি) করে শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠালে তা এ বছরের ৯ জানুয়ারি অনুমোদন পায়। বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগের জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়।
বিসিক জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রস্তাবিত ওই জমি হস্তান্তরের জন্য ১০ জুলাই শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। ভূমি মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে মতামত চেয়ে পূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। পূর্ত মন্ত্রণালয় ১৮ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা প্রশাসককে ওই জমির বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়ে চিঠি দেয়। জেলা প্রশাসক গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে মতামত জানতে চাইলে তিনি লিখেন ‘উল্লিখিত জমিতে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের ব্যাপারে আমরা গত ২৮ জুন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমার পক্ষে মতামত দেওয়া সম্ভব নয়।’
বিসিক বরগুনা জেলা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক খগেন্দ্রনাথ পাল বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দুই কিস্তিতে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি এবং প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি। কিন্তু স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের গড়িমসির কারণে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া থেমে আছে।’
বরগুনা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা বণিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা জমি দিতে অসমঞ্চতি জানানোয় এই প্রকল্প থমকে আছে।’
গত বুধবার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওসমান গনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই জমিতে আমরা অনেক আগেই ফ্ল্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে সেখানে বিসিক শিল্পনগর করার জন্য প্রস্তাব আসায় এ নিয়ে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেখানে বিসিক শিল্পনগর করার বিষয়ে আমাদের ইতিবাচক মনোভাবের কথা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। এখন তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
জানা গেছে, ২০১০ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরগুনা সফরকালে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিসিক শিল্পনগর প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে সবার মতামতের ভিত্তিতে শহরের উপকণ্ঠে ক্রোক এলাকায় গণপূর্ত বিভাগের পরিত্যক্ত প্রায় সাড়ে ১০ একর জমির ওপর এই শিল্পনগর গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়। এই জমি ভিত্তি ধরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন (ডিপিপি) করে শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠালে তা এ বছরের ৯ জানুয়ারি অনুমোদন পায়। বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগের জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়।
বিসিক জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রস্তাবিত ওই জমি হস্তান্তরের জন্য ১০ জুলাই শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। ভূমি মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে মতামত চেয়ে পূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। পূর্ত মন্ত্রণালয় ১৮ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা প্রশাসককে ওই জমির বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়ে চিঠি দেয়। জেলা প্রশাসক গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে মতামত জানতে চাইলে তিনি লিখেন ‘উল্লিখিত জমিতে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের ব্যাপারে আমরা গত ২৮ জুন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমার পক্ষে মতামত দেওয়া সম্ভব নয়।’
বিসিক বরগুনা জেলা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক খগেন্দ্রনাথ পাল বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দুই কিস্তিতে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি এবং প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি। কিন্তু স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের গড়িমসির কারণে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া থেমে আছে।’
বরগুনা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা বণিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা জমি দিতে অসমঞ্চতি জানানোয় এই প্রকল্প থমকে আছে।’
গত বুধবার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওসমান গনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই জমিতে আমরা অনেক আগেই ফ্ল্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে সেখানে বিসিক শিল্পনগর করার জন্য প্রস্তাব আসায় এ নিয়ে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেখানে বিসিক শিল্পনগর করার বিষয়ে আমাদের ইতিবাচক মনোভাবের কথা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। এখন তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
No comments