যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি- ট্রাইব্যুনালের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে রবিবার রাজধানীতে মানববন্ধন ও মিছিল করেছে মুক্তিযোদ্ধারা।
বিজয়ের মাসে মাসব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে আধাঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করে। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়। মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্দেশে রওনা হলে শিক্ষা ভবনের কাছে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল যেতে দেয়া হবে না। সেখানে কয়েকটি সংগঠনের কর্মসূচী চলছে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের আজকের কর্মসূচী পূর্বনির্ধারিত। মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মসূচী শান্তিপূর্ণ। আমরা মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে যাবই। এ পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তারা উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মিছিল যেতে দেয়া হবে না উল্লেখ করলে মুক্তিযোদ্ধারা পুলিশী বাধা উপেক্ষা করেই মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন। পরে মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, তেমন কোন কারণ উল্লেখ না করেই পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিলে বাধা দিয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় জানান, কিছুক্ষণ আগেই কয়েকটি সংগঠনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়া হয়েছে। এখনও তা চোখে লাগছে। এজন্যই শিক্ষা ভবনের মোড়ে অবস্থানকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বলা হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের যেন শান্তভাবে বুঝিয়ে বলে প্রেসক্লাব এলাকায় আসা থেকে বিরত রাখা হয়। কিন্তু বাধা দিতে তো বলা হয়নি। হয়ত ভুল বোঝাবুঝি থেকে হতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বুঝিয়ে বলতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরে অবশ্য ওই এলাকায় দায়িত্বরত ( শিক্ষা ভবন মোড়) পুলিশ কর্মকর্তাদের মুক্তিযোদ্ধাদের আসতে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব (প্রশাসন) এমদাদ হোসেন মতিন বলেন, ২০১২ সালের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যে কর্মসূচী দিয়েছিল, সেই কর্মসূচীর আজ শেষ দিন। অথচ এখন পর্যন্ত একজন যুদ্ধাপরাধীরও বিচার সম্পন্ন হয়নি। তাই খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। এ কর্মসূচীর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ষাটোর্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের যত কষ্টই হোক, বিচার সম্পন্ন করা না পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি কোন কিছুই আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমাদের দাবি একটাই সেটা হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা। আমরা আমাদের জীবদ্দশায় এ বিচার সম্পন্ন দেখে যেতে চাই। তিনি উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, শুনেছি, স্বাধীনতাবিরোধীদের একটি সংগঠন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ঘেরাও করবে। কিন্তু আপনারাই বলুন, এদেশের মাটিতে একজন মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে থাকতে কি তা সম্ভব। এ সময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা হাত উঁচু করে সমস্বরে বলে ওঠেন, না- না তা সম্ভব নয়। আমরা বেঁচে থাকতে স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া হবে না।
কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের যুগ্ম মহাসচিব শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু বলেন, একজন বিচারপতির পদত্যাগের কথা বলে মামলার শুনানি নতুন করে শুরু করার যে কথা বলা হচ্ছে, তা আইন পরিপন্থী। আসলে যুদ্ধাপরাধের বিচার বিলম্বিত করতেই মিথ্যাচার করা হচ্ছে। বিচারপতির পদত্যাগ পর্যন্ত যে শুনানি হয়েছে তারপর থেকেই নতুন বিচারপতি শুনানি করবেন- এটাই আইনের বিধান। যারা নতুন করে শুনানি শুরুর কথা বলে মিথ্যাচার করছে, তারা বিচার বিলম্বের পাঁয়তারা করছে। যারা অহেতুক মিথ্যাচার করছে তাদের মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। টিপু বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালে স্বাধীনতাবিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। কিন্তু যত ষড়যন্ত্রই হোক, যুদ্ধাপরাধের বিচার হবেই। মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা স্বাধীনতাবিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবি। দেশের মুক্তিকামী জনগণের প্রাণের দাবি। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারা রাজপথ ছাড়বে না।
সমাবেশ থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।
সমাবেশে যুগ্ম মহাসচিব শরীফ উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীরপ্রতীক, সম্পাদকম-লীর সদস্য জহিরউদ্দিন জালাল, ঢাকা জেলা ইউনিটের কমান্ডার আমির হোসেন মোল্লা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ইউনিটের আহ্বায়ক নৌকমান্ডো আব্দুর রহিম, ঢাকা মহানগর উত্তর ইউনিটের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস বক্তব্য রাখেন।
পরে মিছিলেসহকারে মুক্তিযোদ্ধারা শিক্ষা ভবন, বিদ্যুত ভবন মোড় হয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করে।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব (প্রশাসন) এমদাদ হোসেন মতিন বলেন, ২০১২ সালের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যে কর্মসূচী দিয়েছিল, সেই কর্মসূচীর আজ শেষ দিন। অথচ এখন পর্যন্ত একজন যুদ্ধাপরাধীরও বিচার সম্পন্ন হয়নি। তাই খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। এ কর্মসূচীর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ষাটোর্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের যত কষ্টই হোক, বিচার সম্পন্ন করা না পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি কোন কিছুই আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমাদের দাবি একটাই সেটা হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা। আমরা আমাদের জীবদ্দশায় এ বিচার সম্পন্ন দেখে যেতে চাই। তিনি উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, শুনেছি, স্বাধীনতাবিরোধীদের একটি সংগঠন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ঘেরাও করবে। কিন্তু আপনারাই বলুন, এদেশের মাটিতে একজন মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে থাকতে কি তা সম্ভব। এ সময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা হাত উঁচু করে সমস্বরে বলে ওঠেন, না- না তা সম্ভব নয়। আমরা বেঁচে থাকতে স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া হবে না।
কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের যুগ্ম মহাসচিব শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু বলেন, একজন বিচারপতির পদত্যাগের কথা বলে মামলার শুনানি নতুন করে শুরু করার যে কথা বলা হচ্ছে, তা আইন পরিপন্থী। আসলে যুদ্ধাপরাধের বিচার বিলম্বিত করতেই মিথ্যাচার করা হচ্ছে। বিচারপতির পদত্যাগ পর্যন্ত যে শুনানি হয়েছে তারপর থেকেই নতুন বিচারপতি শুনানি করবেন- এটাই আইনের বিধান। যারা নতুন করে শুনানি শুরুর কথা বলে মিথ্যাচার করছে, তারা বিচার বিলম্বের পাঁয়তারা করছে। যারা অহেতুক মিথ্যাচার করছে তাদের মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। টিপু বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালে স্বাধীনতাবিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। কিন্তু যত ষড়যন্ত্রই হোক, যুদ্ধাপরাধের বিচার হবেই। মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা স্বাধীনতাবিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবি। দেশের মুক্তিকামী জনগণের প্রাণের দাবি। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারা রাজপথ ছাড়বে না।
সমাবেশ থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।
সমাবেশে যুগ্ম মহাসচিব শরীফ উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীরপ্রতীক, সম্পাদকম-লীর সদস্য জহিরউদ্দিন জালাল, ঢাকা জেলা ইউনিটের কমান্ডার আমির হোসেন মোল্লা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ইউনিটের আহ্বায়ক নৌকমান্ডো আব্দুর রহিম, ঢাকা মহানগর উত্তর ইউনিটের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস বক্তব্য রাখেন।
পরে মিছিলেসহকারে মুক্তিযোদ্ধারা শিক্ষা ভবন, বিদ্যুত ভবন মোড় হয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করে।
No comments