ফিলিপাইনে নতুন আইন-গুম অপরাধের সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফিলিপাইনে সরকারি বাহিনীর সদস্যদের হাতে সাধারণ মানুষের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি আইনে সম্প্রতি সই করেছেন প্রেসিডেন্ট বেনিনো অ্যাকুইনো। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মানবাধিকারের পক্ষে এ ধরনের আইন এটাই প্রথম।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো সরকারের এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছে।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র এদুইন লাসিরদা জানান, নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনে। দুই মাস আগে আইনটি কংগ্রেসে পাস হয়।
ফিলিপাইন-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা কারাপাতানের (অধিকার) দাবি, স্বৈরাচারী শাসক ফারদিনান্দ মার্কোসের শাসনামল (১৯৭২-১৯৮৬ সাল) থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক নেতা-কর্মী নিখোঁজ হন। এর মধ্যে অ্যাকুইনোর পূর্বসূরি গ্লোরিয়া ম্যাকাপাগাল অরোয়োর শাসনামলে নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যা দুই শতাধিক। ২০১০ সাল থেকে এ-সংক্রান্ত ১২টি মামলা করা হয়েছে। সংস্থাটির মতে, অ্যাকুইনোর প্রায় তিন বছরের শাসনামলে মানবাধিকারের পক্ষে এটিই সবচেয়ে বড় ধরনের আইন প্রণয়নের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অ্যাকুইনো সরকারের এ পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করে আইনটি দ্রুত কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সাল থেকে কমিউনিস্ট গেরিলারা দেশটিতে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করে। ১৯৭২ সালের মার্কোসের সামরিক আইন জারির পর থেকে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা বাড়তে থাকে। সরকারি হিসাবে, এখন পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর সঙ্গে গেরিলাদের সংঘাতে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এখনো প্রায় চার হাজার কমিউনিস্ট যোদ্ধা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আশির দশকে এ সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার। সূত্র : এপি, এএফপি।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র এদুইন লাসিরদা জানান, নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনে। দুই মাস আগে আইনটি কংগ্রেসে পাস হয়।
ফিলিপাইন-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা কারাপাতানের (অধিকার) দাবি, স্বৈরাচারী শাসক ফারদিনান্দ মার্কোসের শাসনামল (১৯৭২-১৯৮৬ সাল) থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক নেতা-কর্মী নিখোঁজ হন। এর মধ্যে অ্যাকুইনোর পূর্বসূরি গ্লোরিয়া ম্যাকাপাগাল অরোয়োর শাসনামলে নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যা দুই শতাধিক। ২০১০ সাল থেকে এ-সংক্রান্ত ১২টি মামলা করা হয়েছে। সংস্থাটির মতে, অ্যাকুইনোর প্রায় তিন বছরের শাসনামলে মানবাধিকারের পক্ষে এটিই সবচেয়ে বড় ধরনের আইন প্রণয়নের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অ্যাকুইনো সরকারের এ পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করে আইনটি দ্রুত কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সাল থেকে কমিউনিস্ট গেরিলারা দেশটিতে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করে। ১৯৭২ সালের মার্কোসের সামরিক আইন জারির পর থেকে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা বাড়তে থাকে। সরকারি হিসাবে, এখন পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর সঙ্গে গেরিলাদের সংঘাতে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এখনো প্রায় চার হাজার কমিউনিস্ট যোদ্ধা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আশির দশকে এ সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার। সূত্র : এপি, এএফপি।
No comments