ফেরির অভাবে পাইকগাছা কয়রাবাসীর ভোগান্তি
সোলদানা ঘাটে ফেরি না থাকায় খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে অতিরিক্ত ২৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে চুকনগর হয়ে খুলনা নগরে যাতায়াত করতে হয়। খারাপ রাস্তার কারণে এই পথে অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা সময় লাগে।
পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়রা থেকে পাইকগাছা ও চুকনগর হয়ে খুলনায় পৌঁছাতে ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। আর পাইকগাছা থেকে চুকনগর হয়ে খুলনা যেতে ৬৬ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয়। এ পথে কমপক্ষে ২৫ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় তাদের খুলনা যেতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।
পাইকগাছা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে সোলদানা খেয়াঘাট। এই ঘাট পার হয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলার পাকা সড়ক দিয়ে ২৬ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই খুলনা সদর। এই খেয়াঘাটে ফেরি চালু হলে কয়রা ও পাইকগাছার বাসিন্দাদের খুলনায় আসতে ২৬ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হবে না।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকগাছা ও কয়রার শত শত মানুষ ট্রলারে করে খেয়াঘাট পার হয়ে শহরে আসছেন। নদীর পশ্চিম পাশে এসে মাছের পিকআপগুলো থেমে যাচ্ছে। সেখান থেকে মাছ ট্রলারে করে পূর্ব পাড়ে এনে মহিন্দ্র, মোটরসাইকেল ও করিমনে করে খুলনায় আনা হচ্ছে।
কয়রার মাছ ব্যবসায়ী নিতাই মণ্ডল বলেন, সোলদানায় একটি ফেরি দিলে ২৬ কিলোমিটার কম ঘুরতে হবে। পিকআপে করে মাছ আনা-নেওয়া সহজ হবে। এ ছাড়া রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না।
পাইকগাছার গড়ইখালী গ্রামের দীপক মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের গ্রাম থেকে বাসে গল্লামারী যেতে ১৮০ টাকা লাগে, আর সোলদানা হয়ে গেলে ১২০ টাকায় হয়ে যায়। তা ছাড়া বাসে গল্লামারী যেতে প্রায় চার ঘণ্টা লাগে। এতে অনেক সময় নষ্ট হয়। এখানে ফেরি হলে সকালে খুলনায় কাজ সেরে দুপুরের মধ্যে বাড়ি চলে আসা যাবে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী রতন কুমার দে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোলদানা খেয়াঘাটে আমাদের ফেরি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে সাংসদ যদি উদ্যোগ নেন তাহলে একটি সেতু করে দিতে পারেন।’
খুলনা-৬ আসনের সাংসদ সোহরাব আলী বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত এখানে একটি ফেরি দেওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করছি।’
পাইকগাছা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে সোলদানা খেয়াঘাট। এই ঘাট পার হয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলার পাকা সড়ক দিয়ে ২৬ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই খুলনা সদর। এই খেয়াঘাটে ফেরি চালু হলে কয়রা ও পাইকগাছার বাসিন্দাদের খুলনায় আসতে ২৬ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হবে না।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকগাছা ও কয়রার শত শত মানুষ ট্রলারে করে খেয়াঘাট পার হয়ে শহরে আসছেন। নদীর পশ্চিম পাশে এসে মাছের পিকআপগুলো থেমে যাচ্ছে। সেখান থেকে মাছ ট্রলারে করে পূর্ব পাড়ে এনে মহিন্দ্র, মোটরসাইকেল ও করিমনে করে খুলনায় আনা হচ্ছে।
কয়রার মাছ ব্যবসায়ী নিতাই মণ্ডল বলেন, সোলদানায় একটি ফেরি দিলে ২৬ কিলোমিটার কম ঘুরতে হবে। পিকআপে করে মাছ আনা-নেওয়া সহজ হবে। এ ছাড়া রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না।
পাইকগাছার গড়ইখালী গ্রামের দীপক মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের গ্রাম থেকে বাসে গল্লামারী যেতে ১৮০ টাকা লাগে, আর সোলদানা হয়ে গেলে ১২০ টাকায় হয়ে যায়। তা ছাড়া বাসে গল্লামারী যেতে প্রায় চার ঘণ্টা লাগে। এতে অনেক সময় নষ্ট হয়। এখানে ফেরি হলে সকালে খুলনায় কাজ সেরে দুপুরের মধ্যে বাড়ি চলে আসা যাবে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী রতন কুমার দে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোলদানা খেয়াঘাটে আমাদের ফেরি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে সাংসদ যদি উদ্যোগ নেন তাহলে একটি সেতু করে দিতে পারেন।’
খুলনা-৬ আসনের সাংসদ সোহরাব আলী বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত এখানে একটি ফেরি দেওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করছি।’
No comments