জীবনযাত্রা ২০১২: খাদ্যবহির্ভূত ও খাদ্যপণ্য- চাল স্বস্তি দিয়েছে, তবু বাজারের কষ্ট কমেনি by আবুল হাসনাত
চালের দর স্থিতিশীল আছে, কিছুটা কমেছেও। কিন্তু তাতে স্বস্তি আসেনি সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষের। বছরজুড়ে সবাই অস্বস্তিতে ছিলেন ডিম, ডাল, আলু আর পেঁয়াজের মতো প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য নিয়ে। তবে সবচেয়ে বড় সংকট ছিল খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে।
এ বছরে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে চারবার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো না হলেও যে দাম এখন কার্যকর আছে, তা-ও বেশ চড়া। নিত্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের মতে, জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের চড়া মূল্য পণ্যের দামকে সরাসরি প্রভাবিত করে।
২০১২ সালের শুরুতেই বেড়ে যাওয়া ডিম-মুরগির দাম সারা বছরে আর কমেনি। ২৪ টাকা হালির ডিম বছরের বেশির ভাগ সময় ক্রেতাকে কিনতে হয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায়। আর একটু ভালো মানের (ছোট দানা) মসুর ডালের কেজি তো বছরের কখনোই ১১৫ টাকার নিচে নামেনি।
গত এক বছরে চালের দাম কমেছে ৭ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত। এ ছাড়া ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ১২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। এর বাইরে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তালিকায় দাম কমেছে এমন পণ্যের মধ্যে আছে কেবল চিনি, ১৪ শতাংশ। ২০১১ সালে চাল, ভোজ্যতেল আর চিনির বাজার ছিল অস্থির।
২০১২ সালে এই তিন পণ্যের বাজার শান্ত থাকলেও উল্টো চিত্র আছে টিসিবির তালিকাতেই। গত এক বছরে সব ধরনের আটার দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ, সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৬৮ শতাংশ পর্যন্ত। আলুর দর বেড়েছে ১২০ শতাংশ, পেঁয়াজের দরও ১২০ থেকে ১৫০ শতাংশ, লবণের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ আর ডিমের দাম ৩৭ শতাংশ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বাড়লে সবচেয়ে চাপে থাকেন নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে মজুরি সমন্বয় হয়। রিকশাওয়ালারা বেশি ভাড়া নেন। গ্রাম-গঞ্জের শ্রমিকেরা আগের চেয়ে বেশি মজুরি নেন। কিন্তু নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের সব সময় তা হয় না। সে কারণে তাঁদের জীবনযাত্রায় বেশ চাপ পড়ে। জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে গিয়ে তাঁরা সঞ্চয় ভাঙছেন কিংবা সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।’
বিদায়ী বছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। তবে দ্রুতই তা ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল। সর্বশেষ গত নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। স্বস্তির দিকটি ছিল খাদ্য সূচকে মূল্যস্ফীতির হার—মাত্র ৪ শতাংশ। আর অস্বস্তির জায়গাটি হলো খাদ্যবহির্ভূত সূচক—এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এই হিসাব নতুন ভিত্তিবছর ধরে। বিদায়ী বছরে মূলত খাদ্যবহির্ভূত খাতের প্রভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এ সময়ে বাড়িভাড়া বেড়েছে, পরিবহন-ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে, শিক্ষা খাতেও খরচ বেশি করতে হয়েছে। বাংলাদেশ ভোক্তা সমিতির (ক্যাব) হিসাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের বেশি। কিন্তু সীমিত আয়ের মানুষের আয় বাড়েনি। ফলে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে রেখেছিল। এর মধ্যে প্রথম বছরটিতে বাজারদর খানিকটা সহনীয় ছিল। পরের দুই বছরে বাজার ছিল আগুন। আর চতুর্থ বছরের সমস্যা খাদ্যবহির্ভূত সূচক।
বাজারের হালচাল: ২০১১ সালের ডিসেম্বরে এক হালি ফার্মের ডিমের দাম ছিল ২৪ থেকে ২৬ টাকা। সেই ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায়। বছরের মাঝামাঝি সময়ে ডিমের হালি উঠে ছিল ৪৫ টাকায়।
বছর খানেক আগেও দেশে পোলট্রি খামার ছিল এক লাখ ৩০ হাজার। এখন আছে ৭০ হাজারের মতো। বার্ড ফ্লুর কারণে খামার বন্ধ হওয়ার কারণেই ডিমের উৎপাদনও কমে যায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবাধে ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও তাতে কাজের কাজ হয়নি।
মসুর ডালও ক্রেতাকে কম ভোগায়নি। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া ভালো মানের মসুর ডালের কেজি এখন ১৪০ টাকা। অবশ্য বছরের বেশির ভাগ সময় এই ডালের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এবার নেপাল থেকে মসুর ডালের আমদানি অনেক কমেছে। বেশি আমদানি হয়েছে কানাডা আর অস্ট্রেলিয়ার ডাল। নেপালি ডালের দাম বেশি হওয়ায় সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা কানাডা-অস্ট্রেলিয়ার ডালই নেপালি ডাল বলে চালিয়েছেন। ক্রেতার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন চড়া মূল্য।
বছরের শেষ দিকে পেঁয়াজ কিনতে নাজেহাল হননি এমন ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। বছরের শুরুতে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ২০ থেকে ২৬ টাকা কেজি। সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায় পর্যন্ত। অবশ্য এখন দাম কিছুটা কমেছে।
দেশি পেঁয়াজের মজুত শেষ। মজুত শেষ হয়ে যাবে জানার পরও ব্যবসায়ীরা কেন পেঁয়াজ আমদানি করেনি—তা তদারকি করেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আগের বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ কম আমদানি হয়েছে।
এক বছর আগে ১৫ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হওয়া লবণের কেজি এখন ১৮ থেকে ৩০ টাকা। বছরের বেশির ভাগ সময় লবণ বিক্রি হয় ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
ভোগান্তি বাড়িয়েছিল ব্রয়লার মুরগিও। এক কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি যদিও এখন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় কিনতে পারছেন ক্রেতারা, কিন্তু বছরে একাধিকবার এই মুরগির দাম ওঠে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়।
স্বস্তি ছিল না কাঁচা বাজারেও। সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এক বছরে বেগুনের দাম বেড়েছে ১৮৬ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বরে যে বেগুন ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, তার দাম এখন ৩৬ থেকে ৫০ টাকা। একই সময়ে ১২ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আলুর দাম এখন ২৪ থেকে ২৬ টাকা। টিসিবির হিসাবে, এক বছরে ইলিশের দাম ৪৪ শতাংশ আর রুই মাছের দাম ৩১ শতাংশ বেড়েছে।
বিবিএসের খানা আয় ও ব্যয় জরিপ-২০১০ অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দেশে পরিবারপ্রতি গড় আয় বেড়েছে। তবে সে তুলনায় ব্যয় বেড়েছে অনেক বেশি। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল—এই পাঁচ বছরে আয় বেড়েছে ৫৯ শতাংশের কিছু বেশি। কিন্তু ওই সময়ে ব্যয় বেড়েছে ৮২ শতাংশের বেশি। একই সময়ে ভোগ ব্যয় বেড়েছে ৮৪ শতাংশের বেশি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণেই মানুষকে ভোগ্যপণ্য কিনতে আগের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
২০১২ সালের শুরুতেই বেড়ে যাওয়া ডিম-মুরগির দাম সারা বছরে আর কমেনি। ২৪ টাকা হালির ডিম বছরের বেশির ভাগ সময় ক্রেতাকে কিনতে হয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায়। আর একটু ভালো মানের (ছোট দানা) মসুর ডালের কেজি তো বছরের কখনোই ১১৫ টাকার নিচে নামেনি।
গত এক বছরে চালের দাম কমেছে ৭ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত। এ ছাড়া ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ১২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। এর বাইরে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তালিকায় দাম কমেছে এমন পণ্যের মধ্যে আছে কেবল চিনি, ১৪ শতাংশ। ২০১১ সালে চাল, ভোজ্যতেল আর চিনির বাজার ছিল অস্থির।
২০১২ সালে এই তিন পণ্যের বাজার শান্ত থাকলেও উল্টো চিত্র আছে টিসিবির তালিকাতেই। গত এক বছরে সব ধরনের আটার দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ, সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৬৮ শতাংশ পর্যন্ত। আলুর দর বেড়েছে ১২০ শতাংশ, পেঁয়াজের দরও ১২০ থেকে ১৫০ শতাংশ, লবণের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ আর ডিমের দাম ৩৭ শতাংশ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বাড়লে সবচেয়ে চাপে থাকেন নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে মজুরি সমন্বয় হয়। রিকশাওয়ালারা বেশি ভাড়া নেন। গ্রাম-গঞ্জের শ্রমিকেরা আগের চেয়ে বেশি মজুরি নেন। কিন্তু নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের সব সময় তা হয় না। সে কারণে তাঁদের জীবনযাত্রায় বেশ চাপ পড়ে। জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে গিয়ে তাঁরা সঞ্চয় ভাঙছেন কিংবা সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।’
বিদায়ী বছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। তবে দ্রুতই তা ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল। সর্বশেষ গত নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। স্বস্তির দিকটি ছিল খাদ্য সূচকে মূল্যস্ফীতির হার—মাত্র ৪ শতাংশ। আর অস্বস্তির জায়গাটি হলো খাদ্যবহির্ভূত সূচক—এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এই হিসাব নতুন ভিত্তিবছর ধরে। বিদায়ী বছরে মূলত খাদ্যবহির্ভূত খাতের প্রভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এ সময়ে বাড়িভাড়া বেড়েছে, পরিবহন-ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে, শিক্ষা খাতেও খরচ বেশি করতে হয়েছে। বাংলাদেশ ভোক্তা সমিতির (ক্যাব) হিসাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের বেশি। কিন্তু সীমিত আয়ের মানুষের আয় বাড়েনি। ফলে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে রেখেছিল। এর মধ্যে প্রথম বছরটিতে বাজারদর খানিকটা সহনীয় ছিল। পরের দুই বছরে বাজার ছিল আগুন। আর চতুর্থ বছরের সমস্যা খাদ্যবহির্ভূত সূচক।
বাজারের হালচাল: ২০১১ সালের ডিসেম্বরে এক হালি ফার্মের ডিমের দাম ছিল ২৪ থেকে ২৬ টাকা। সেই ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায়। বছরের মাঝামাঝি সময়ে ডিমের হালি উঠে ছিল ৪৫ টাকায়।
বছর খানেক আগেও দেশে পোলট্রি খামার ছিল এক লাখ ৩০ হাজার। এখন আছে ৭০ হাজারের মতো। বার্ড ফ্লুর কারণে খামার বন্ধ হওয়ার কারণেই ডিমের উৎপাদনও কমে যায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবাধে ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও তাতে কাজের কাজ হয়নি।
মসুর ডালও ক্রেতাকে কম ভোগায়নি। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া ভালো মানের মসুর ডালের কেজি এখন ১৪০ টাকা। অবশ্য বছরের বেশির ভাগ সময় এই ডালের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এবার নেপাল থেকে মসুর ডালের আমদানি অনেক কমেছে। বেশি আমদানি হয়েছে কানাডা আর অস্ট্রেলিয়ার ডাল। নেপালি ডালের দাম বেশি হওয়ায় সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা কানাডা-অস্ট্রেলিয়ার ডালই নেপালি ডাল বলে চালিয়েছেন। ক্রেতার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন চড়া মূল্য।
বছরের শেষ দিকে পেঁয়াজ কিনতে নাজেহাল হননি এমন ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। বছরের শুরুতে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ২০ থেকে ২৬ টাকা কেজি। সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায় পর্যন্ত। অবশ্য এখন দাম কিছুটা কমেছে।
দেশি পেঁয়াজের মজুত শেষ। মজুত শেষ হয়ে যাবে জানার পরও ব্যবসায়ীরা কেন পেঁয়াজ আমদানি করেনি—তা তদারকি করেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আগের বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ কম আমদানি হয়েছে।
এক বছর আগে ১৫ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হওয়া লবণের কেজি এখন ১৮ থেকে ৩০ টাকা। বছরের বেশির ভাগ সময় লবণ বিক্রি হয় ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
ভোগান্তি বাড়িয়েছিল ব্রয়লার মুরগিও। এক কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি যদিও এখন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় কিনতে পারছেন ক্রেতারা, কিন্তু বছরে একাধিকবার এই মুরগির দাম ওঠে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়।
স্বস্তি ছিল না কাঁচা বাজারেও। সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এক বছরে বেগুনের দাম বেড়েছে ১৮৬ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বরে যে বেগুন ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, তার দাম এখন ৩৬ থেকে ৫০ টাকা। একই সময়ে ১২ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আলুর দাম এখন ২৪ থেকে ২৬ টাকা। টিসিবির হিসাবে, এক বছরে ইলিশের দাম ৪৪ শতাংশ আর রুই মাছের দাম ৩১ শতাংশ বেড়েছে।
বিবিএসের খানা আয় ও ব্যয় জরিপ-২০১০ অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দেশে পরিবারপ্রতি গড় আয় বেড়েছে। তবে সে তুলনায় ব্যয় বেড়েছে অনেক বেশি। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল—এই পাঁচ বছরে আয় বেড়েছে ৫৯ শতাংশের কিছু বেশি। কিন্তু ওই সময়ে ব্যয় বেড়েছে ৮২ শতাংশের বেশি। একই সময়ে ভোগ ব্যয় বেড়েছে ৮৪ শতাংশের বেশি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণেই মানুষকে ভোগ্যপণ্য কিনতে আগের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
No comments