খালাফ হত্যা মামলা-পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড
আলোচিত সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল রবিবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন এ রায় দেন।
রায়ের আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, 'আসামিদের ডাকাতিকালে খুনের অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।'
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন, মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি, রফিকুল ইসলাম খোকন ও সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহম্মেদ। এর মধ্যে সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহম্মেদ পলাতক। বাকি চারজনকে রায় ঘোষণার সময় গতকাল কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন নাসের আল বোসাইরি ও নিহত খালাফ আল আলীর ভাই খালেদ আল আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ রায় শুনে খালাফের ভাই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাক্ষ্য-প্রমাণে প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম খন্দকার পলাশ সাংবাদিকদের বলেন, 'মামলার কোনো চাক্ষুষ সাক্ষী নেই। এজাহারে সাদা রঙের গাড়ির কথা বলা হলেও যে গাড়ি উপস্থাপন করা হয়েছে, তা জলপাই রঙের। এটি একটি বানোয়াট মামলা। শুধু একটি রাষ্ট্রকে খুশি করার জন্য এ আসামিদের দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ন্যায়বিচার পাননি।' এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে তিনি জানান।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলাম ওরফে রনির বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলার মধ্য খমতাকাটা গ্রামে। সে মৃত আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে। আল আমিনের বাড়ি পটুয়াখালীর হাজিখালী গ্রামে। তার বাবার নাম ফারুক ঘরামী। আকবর আলী লালু ওরফে রনির বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যার গোয়ালকোয়া গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল। রফিকুল ইসলাম খোকনের বাড়ি ময়মনসিংহের কোতোয়ালির নাটকঘর বাইলেনে। তার বাবার নাম আব্দুস সালাম। পলাতক সেলিম চৌধুরীর বাড়ি ভোলার শশীভূষণ থানার উত্তর চরমঙ্গলে। তার বাবার নাম সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী।
রায় ঘোষণার পর আসামি আল আমিন নীরবে চোখের পানি ফেললেও অন্য আসামিদের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
গত ৩১ অক্টোবর মামলার অভিযোগ গঠনের পর মাত্র দুই মাসেই এ বিচারকাজ শেষ করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ৬ ডিসেম্বর অভিযোগপত্রভুক্ত ৩৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ওবায়দুল হক এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ রাত ১টার দিকে গুলশানের কূটনীতিক এলাকার ১২০ নম্বর সড়কের ১৯/বি নম্বর বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী (৪৫)। ৬ মার্চ ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেন গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন, মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি, রফিকুল ইসলাম খোকন ও সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহম্মেদ। এর মধ্যে সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহম্মেদ পলাতক। বাকি চারজনকে রায় ঘোষণার সময় গতকাল কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন নাসের আল বোসাইরি ও নিহত খালাফ আল আলীর ভাই খালেদ আল আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ রায় শুনে খালাফের ভাই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাক্ষ্য-প্রমাণে প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম খন্দকার পলাশ সাংবাদিকদের বলেন, 'মামলার কোনো চাক্ষুষ সাক্ষী নেই। এজাহারে সাদা রঙের গাড়ির কথা বলা হলেও যে গাড়ি উপস্থাপন করা হয়েছে, তা জলপাই রঙের। এটি একটি বানোয়াট মামলা। শুধু একটি রাষ্ট্রকে খুশি করার জন্য এ আসামিদের দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ন্যায়বিচার পাননি।' এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে তিনি জানান।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলাম ওরফে রনির বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলার মধ্য খমতাকাটা গ্রামে। সে মৃত আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে। আল আমিনের বাড়ি পটুয়াখালীর হাজিখালী গ্রামে। তার বাবার নাম ফারুক ঘরামী। আকবর আলী লালু ওরফে রনির বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যার গোয়ালকোয়া গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল। রফিকুল ইসলাম খোকনের বাড়ি ময়মনসিংহের কোতোয়ালির নাটকঘর বাইলেনে। তার বাবার নাম আব্দুস সালাম। পলাতক সেলিম চৌধুরীর বাড়ি ভোলার শশীভূষণ থানার উত্তর চরমঙ্গলে। তার বাবার নাম সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী।
রায় ঘোষণার পর আসামি আল আমিন নীরবে চোখের পানি ফেললেও অন্য আসামিদের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
গত ৩১ অক্টোবর মামলার অভিযোগ গঠনের পর মাত্র দুই মাসেই এ বিচারকাজ শেষ করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ৬ ডিসেম্বর অভিযোগপত্রভুক্ত ৩৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ওবায়দুল হক এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ রাত ১টার দিকে গুলশানের কূটনীতিক এলাকার ১২০ নম্বর সড়কের ১৯/বি নম্বর বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী (৪৫)। ৬ মার্চ ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেন গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
No comments