২০১৫ সালের পর ভারতকে আর সাহায্য নয় : ব্রিটেন
২০১৫ সালের পর ভারতকে আর কোনো আর্থিক সাহায্য দেবে না ব্রিটেন। এর আগ পর্যন্ত সাহায্য দেওয়া অব্যাহত রাখলেও পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হবে। বছরে ২৮ কোটি পাউন্ড দেওয়ার কথা থাকলেও সাহায্য বন্ধের আগ পর্যন্ত সব মিলিয়ে দেওয়া হবে ২০ কোটি পাউন্ড। ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী জাস্টিন গ্রিনিং গতকাল শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ভারতের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশকে বছরের পর বছর ধরে আর্থিক সাহায্য দেওয়া নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আর্থিক মন্দা সামলাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সরকার ব্যয় সংকোচন নীতিতে চলছে। সেখানে করদাতাদের অর্থ ভারতের মতো দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভারতে এখনো কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে_এত দিন এই যুক্তিতে সাহায্য চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যদিও ব্রিটিশ সরকার গত বছরই ভারতে সাহায্যের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রীর পদে আসার পর জাস্টিন গ্রিনিং বৈদেশিক সাহায্যবিষয়ক বাজেট পর্যালোচনা করেন। আর্থিক সাহায্য সুবিন্যস্ত করার বিষয়ে গত সপ্তাহে ভারত সফরও করেন তিনি।
গতকাল গ্রিনিং বলেন, 'সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিশ্বে ভারতের পরিবর্তনশীল অবস্থানেরই প্রমাণ রাখছে। এখন ভারতের চেয়েও গরিব দেশগুলোতে সাহায্য পাঠানোর সময় হয়েছে। আর্থিক সাহায্য পর্যালোচনা ও ভারত সরকারের সঙ্গে গত সপ্তাহে এ বিষয়ে আলোচনার পর আমরা সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছি। সাহায্যের পরিবর্তে এখন থেকে দক্ষতা বিনিময়ের ওপর জোর দেওয়ার সমঝোতায় পৌঁছেছি।' গ্রিনিং জানান, ভারতে ব্রিটেনের সাহায্যভিত্তিক চলমান কর্মসূচিগুলোর অর্থায়ন চালিয়ে যাওয়া হবে এবং ২০১৫ সালের পর আর কোনো অর্থায়নের চুক্তি হবে না। ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এখন 'সাহায্য' নয়, বরং 'বাণিজ্য'কে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
গ্রিনিং আরো বলেন, 'ভারত সফরের সময় অসাধারণ উন্নতির দৃষ্টান্ত দেখেছি আমি। ভারত সফলতার সঙ্গে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং একবিংশ শতাব্দীর ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কও অব্যাহত থাকবে।'
সাহায্য বন্ধের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ গত বৃহস্পতিবার বলেন, 'সাহায্য অতীতের বিষয় এবং বাণিজ্য ভবিষ্যতের। আমরা ভবিষ্যতের দিকেই তাকাব।' ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। হেগের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান খুরশিদ। গত ৭ নভেম্বর থেকে তিন দিনের সফরে গতকাল পর্যন্ত ভারতে ছিলেন হেগ।
তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় সমর্থন দেবে ব্রিটেন
তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনা শুরুর বিষয়ে ব্রিটেনের সমর্থন থাকবে। ভারত সফরের সময় উইলিয়াম হেগ গত বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। কাতারে গত জানুয়ারিতে তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে কয়েকজন তালেবান বন্দিকে আফগানিস্তানে স্থানান্তরের বিষয়ে সমঝোতা না হওয়ায় দুই মাস পরেই আলোচনা ভেস্তে যায়। তবে নতুন করে কবে আলোচনা শুরু হতে পারে সে বিষয়ে হেগ কিছু বলেননি। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
গতকাল গ্রিনিং বলেন, 'সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিশ্বে ভারতের পরিবর্তনশীল অবস্থানেরই প্রমাণ রাখছে। এখন ভারতের চেয়েও গরিব দেশগুলোতে সাহায্য পাঠানোর সময় হয়েছে। আর্থিক সাহায্য পর্যালোচনা ও ভারত সরকারের সঙ্গে গত সপ্তাহে এ বিষয়ে আলোচনার পর আমরা সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছি। সাহায্যের পরিবর্তে এখন থেকে দক্ষতা বিনিময়ের ওপর জোর দেওয়ার সমঝোতায় পৌঁছেছি।' গ্রিনিং জানান, ভারতে ব্রিটেনের সাহায্যভিত্তিক চলমান কর্মসূচিগুলোর অর্থায়ন চালিয়ে যাওয়া হবে এবং ২০১৫ সালের পর আর কোনো অর্থায়নের চুক্তি হবে না। ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এখন 'সাহায্য' নয়, বরং 'বাণিজ্য'কে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
গ্রিনিং আরো বলেন, 'ভারত সফরের সময় অসাধারণ উন্নতির দৃষ্টান্ত দেখেছি আমি। ভারত সফলতার সঙ্গে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং একবিংশ শতাব্দীর ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কও অব্যাহত থাকবে।'
সাহায্য বন্ধের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ গত বৃহস্পতিবার বলেন, 'সাহায্য অতীতের বিষয় এবং বাণিজ্য ভবিষ্যতের। আমরা ভবিষ্যতের দিকেই তাকাব।' ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। হেগের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান খুরশিদ। গত ৭ নভেম্বর থেকে তিন দিনের সফরে গতকাল পর্যন্ত ভারতে ছিলেন হেগ।
তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় সমর্থন দেবে ব্রিটেন
তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনা শুরুর বিষয়ে ব্রিটেনের সমর্থন থাকবে। ভারত সফরের সময় উইলিয়াম হেগ গত বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। কাতারে গত জানুয়ারিতে তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে কয়েকজন তালেবান বন্দিকে আফগানিস্তানে স্থানান্তরের বিষয়ে সমঝোতা না হওয়ায় দুই মাস পরেই আলোচনা ভেস্তে যায়। তবে নতুন করে কবে আলোচনা শুরু হতে পারে সে বিষয়ে হেগ কিছু বলেননি। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments