সুনীতি ও শিক্ষা by কাজী সাইফুল ইসলাম
লোকে যখন দার্শনিক কনফুসিয়াসকে প্রশ্ন করত, মহত্ত্বের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কী? তিনি বলতেন, 'দয়া ও ত্যাগ।' ন্যায়, নৈতিক, নিষ্ঠা, বোধ, সুন্দর, মহৎ, উজ্জ্বল, সচেতন, আলো, মন, শিক্ষা_ এসবই হচ্ছে নীতির অন্তর্গত। এই নীতিগুলোর রয়েছে বিপরীত দিক। তাই নীতি হচ্ছে দুই রকম। একটি সুনীতি, অন্যটি কুনীতি।
সুনীতি শিক্ষা প্রত্যেকটি মানুষের জন্য অনিবার্য। সুনীতি শিক্ষা ব্যবস্থা যদি সারাদেশে চালু করা যায়, তাহলে ধীরে ধীরে পরিবর্তন হবে মানুষ, সংসার, সমাজ এবং রাষ্ট্র। এ জন্য শিক্ষানীতি পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে না। আমাদের যে শিক্ষানীতি রয়েছে, ক্লাস ওয়ান থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত, প্রচলিত এই শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক থাকবে। তার সঙ্গে সপ্তাহে একদিন মাত্র একটি ক্লাস যোগ করে নিতে হবে। সেটাই হবে সুনীতি শিক্ষার ক্লাস। এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে আচার-ব্যবহার, শ্রদ্ধা, স্নেহ, জ্ঞান, সভ্যতা, কথা বলা, নীতি, বোধ জাগরণ, সংস্কার, ন্যায়, অন্যায়, পরিবার, প্রতিবেশী, সম্পর্ক, পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, পরচর্চা, অহঙ্কার, চিত্র, সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, ধর্ম, অন্তর এবং বাহ্যিক ইন্দ্রিয় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান। যাতে শুরু থেকেই একজন মানুষ বুঝতে পারে ভালো আর মন্দের পার্থক্য, সভ্যতা আর অসভ্যতা কাকে বলে। পিতা-মাতার সঙ্গে আচরণ কেমন হবে। প্রতিবেশীর গুরুত্ব কী। হিংসা, পরিশ্রীকাতরতা, রিপু কীভাবে ধ্বংস করে মানুষকে। অসৎ, অসত্য মানুষকে কোন পাপের পথে নিয়ে দাঁড় করায়। ব্যক্তিগত ক্ষতির সঙ্গে দেশের ক্ষতি কী করে জড়িয়ে থাকে।
মানুষের আত্মিক এবং আচরণগত উন্নয়নে সুনীতি শিক্ষা ছাড়া সম্ভব নয়। প্রত্যেকটি বিষয়ের সুফল এবং কুফল যদি তুলে ধরা যায় কোমলমতি শিশুদের সামনে, তাহলে উন্নত মন নিয়ে বেড়ে উঠবে শিশুরা।
এই ক্লাসগুলো হবে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। বাংলাদেশের যেসব ইউনিভার্সিটি রয়েছে সেখান থেকে যেসব ছেলেমেয়ে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে রাজি হবে, তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে সাময়িক ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে প্রস্তুতি করা হবে। এতে দুটি লাভ হবে। একটি, মানুষ যখন অন্যকে সুপথে চলার কথা বলবে, তখন অন্যকে বলার সঙ্গে সঙ্গে নিজেকেও বলা হয়ে যায়। শিক্ষা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেও শিক্ষা পেয়ে যায়। অন্যটি হচ্ছে, নতুন মুখের কথা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবে শিক্ষার্থীরা। সুনীতি শিক্ষা একটি জাতিকে পুরোপুরিভাবেই বদলে দিতে পারে। তাই সকলের উচিত, সুনীতি শিক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
ksaifulislam80@gmail.com
মানুষের আত্মিক এবং আচরণগত উন্নয়নে সুনীতি শিক্ষা ছাড়া সম্ভব নয়। প্রত্যেকটি বিষয়ের সুফল এবং কুফল যদি তুলে ধরা যায় কোমলমতি শিশুদের সামনে, তাহলে উন্নত মন নিয়ে বেড়ে উঠবে শিশুরা।
এই ক্লাসগুলো হবে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। বাংলাদেশের যেসব ইউনিভার্সিটি রয়েছে সেখান থেকে যেসব ছেলেমেয়ে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে রাজি হবে, তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে সাময়িক ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে প্রস্তুতি করা হবে। এতে দুটি লাভ হবে। একটি, মানুষ যখন অন্যকে সুপথে চলার কথা বলবে, তখন অন্যকে বলার সঙ্গে সঙ্গে নিজেকেও বলা হয়ে যায়। শিক্ষা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেও শিক্ষা পেয়ে যায়। অন্যটি হচ্ছে, নতুন মুখের কথা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবে শিক্ষার্থীরা। সুনীতি শিক্ষা একটি জাতিকে পুরোপুরিভাবেই বদলে দিতে পারে। তাই সকলের উচিত, সুনীতি শিক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
ksaifulislam80@gmail.com
No comments