এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের মামলা

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইর (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দেশটির প্রধান সারির একটি মুসলিম সংগঠন এবং নাগরিক অধিকারমূলক প্রভাবশালী একটি দল। গোয়েন্দা সংস্থাটি ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের কয়েকটি মসজিদে গোয়েন্দাগিরি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।


ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে গত মঙ্গলবার মামলাটি করা হয়।
নাগরিক অধিকারমূলক সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেসান্স (সিএআইআর) এ মামলা করেছে। সংগঠন দুটি অভিযোগ করে, ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন মসজিদে আসা নামাজিদের সঙ্গে মিশে তথ্য আদায়ের জন্য ভুয়া পরিচয়ে এক গোয়েন্দা নিযুক্ত করে এফবিআই। কেইথ মনটেইল নামের ওই গোয়েন্দা এফবিআইয়ের নির্দেশমতো সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার কয়েকটি মসজিদে অনুপ্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করেছে।' মনটেইল কয়েক শ ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা সংগ্রহ করেছে এবং মসজিদে আলাপচারিতার অডিও রেকর্ডিং ও মসজিদের ভেতরের ভিডিও ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, 'এই তদন্তের পেছনে সন্ত্রাস দমনমূলক কোনো একটি অভিযোগও ছিল না। অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিষয়ে সন্দিহান হয়ে এফবিআই এসব তথ্য সংগ্রহ করেনি। মুসলিমদের টার্গেট করেই তারা এ কাজ করেছে।' চার-পাঁচ বছর আগে মনটেইলকে অর্থের বিনিময়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে নিযুক্ত করা হয়। পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ার কারণে পরে তার গোয়েন্দাগিরি বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগপত্রে জানানো হয়, 'সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার মুসলিম জনগোষ্ঠী ওই তথ্যদাতার (মনটেইল) হিংস্র আচরণের কারণে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। তার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি পায় তারা।'
এফবিআইর এই ঘটনা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আমেরিকার মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্পর্ক আরো দুর্বল করে তুলবে বলে মন্তব্য করেছেন সিএআইআরের মুখপাত্র ইব্রাহিম হুপার। তবে এফবিআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, 'এফবিআই প্রার্থনাস্থল বা ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে না। কেবল জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের বিষয়েই তদন্ত করে।' মনটেইল ভাড়াটে তথ্যদাতা হওয়ায় এফবিআই মামলায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : এএফপি, সিএসমনিটর।

No comments

Powered by Blogger.