লিবিয়া ছাড়তে মরিয়া বাংলাদেশিরা-৩৭ প্রাণহানির অসমর্থিত খবর
লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিরা এখনো চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই সীমান্ত অতিক্রম করে মিসরে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকজন বাংলাদেশি মিসরে ঢুকতে সক্ষম হয়েছেন। তবে তাঁরা সেখানেও মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই পাননি। গতকাল সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার প্রতীক্ষায় খোলা আকাশের নিচে বসে ছিলেন আরো কয়েক শ বাংলাদেশি।
এ ছাড়া শতাধিক বাংলাদেশি গতকাল ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন বলে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশিদের মিসর ও তিউনিসিয়ায় আশ্রয় দিতে বাংলাদেশ সরকার দেশ দুটিকে অনুরোধ জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাও (আইওএম) সহযোগিতা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম লিবিয়ায় ৩৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর প্রচার করেছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। অন্যদিকে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিও আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সুযোগ থাকলে লিবিয়ার বাইরে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গতকাল রাতে লিবিয়া থেকে আবদুল হাশিম নামের একজন শ্রমিক ফোনে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেশ কয়েকজন লিবিয়া সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মিসরে প্রবেশ করেছেন। তবে সেখানে তাঁরা কোনো আশ্রয় শিবির বা ক্যাম্প পাননি। দারনা থেকে বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে মিসরে ঢুকে তাঁরা খোলা আকাশের নিচে অনিশ্চিত অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন। আবদুল হাশিম বলেন, অনেক দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা এসে তাঁদের দেশের নাগরিকদের নিয়ে গেলেও বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কেউ আসেননি।
এর আগে রাত ৮টায় পাওয়া খবরে জানা যায়, অভিবাসনসংক্রান্ত জটিলতার কারণে লিবিয়া সীমান্তের আরেক পয়েন্ট দিয়ে চেষ্টা করেও মিসরে ঢুকতে পারেননি প্রায় ৪৬৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিক। তাঁরা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার সদস্যেরও দেখা পাননি। শ্রমিকরা খোলা আকাশের নিচে বসে ছিলেন। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসার পর তাঁরা ছিলেন ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত। খাবার কেনার মতো অর্থও তাঁদের কাছে ছিল না।
পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস বলেছেন, লিবিয়া ছেড়ে যাওয়া বাংলাদেশিদের ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। মিসর সীমান্তে আইওএমের ক্যাম্পগুলো করা হয়েছে মূলত লিবিয়া থেকে আসা মিসরীয়দের জন্য। বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদেরও আশ্রয় দিতে আইওএমকে অনুরোধ জানিয়েছে। তা ছাড়া সীমান্তের এমন অনেক পয়েন্ট দিয়ে তাঁরা ঢুকতে পারেন যেখানে হয়তো কোনো আশ্রয় শিবির বা ক্যাম্প নেই। এ জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে বলা হয়েছে, তারা যেন ওই পয়েন্টগুলোর কথা আইওএমকে অবহিত করে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে লিবিয়ার বাইরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে চারটি বিদেশি কম্পানি। অবশিষ্ট ৪৮ হাজার জনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
অন্যদিকে গতকাল সকাল থেকে জার্মানিভিত্তিক একটি অনলাইন গণমাধ্যম ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর প্রচার করেছে। তবে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ বি এম নূরুজ্জামান গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, '৩৭ অনেক বড় সংখ্যা। আমি দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ বাংলাদেশির সঙ্গে ফোনে কথা বলি। এ ধরনের কিছু হলে কারো না কারো মাধ্যমে আমরা নিশ্চয়ই জানতাম।'
লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের উদ্ধারে উদ্যোগ নিতে তাঁদের স্বজনরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল বিকেলে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আইওএমের সঙ্গে সরকারের কথা হয়েছে। সংস্থাটি লিবিয়ার পাশের দেশ মিসর ও তিউনিসিয়ায় ক্যাম্প স্থাপন করেছে। একই সঙ্গে ভিসা ছাড়া বাংলাদেশিরা যাতে সীমান্ত দুটি পাড়ি দিয়ে নিরাপদে ক্যাম্পে অবস্থান করতে পারে, সে ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের উদ্ধারে বাংলাদেশ সরকার গত বুধবার আইওএম ও গতকাল আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের সহযোগিতা চেয়েছে। ঢাকায় আইওএমের মুখপাত্র আসিফ মুনীর গতকাল সন্ধ্যায় টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে জানান, আইওএম বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে আইওএম বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আইওএম প্রতিনিধিদের আলোচনায় তিনটি সম্ভাব্য বিষয় এসেছে। এগুলো হলো ১. লিবিয়ার ভেতরেই কাছাকাছি কোনো স্থানে স্থানান্তর। এ জন্য বাংলাদেশিরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ চাইলে দূতাবাস থেকে দেওয়া হবে, ২. লিবিয়ার কাছাকাছি কোনো দেশ যেমন_মিসর বা তিউনিসিয়ায় স্থানান্তর এবং ৩. স্থানান্তর করে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।
আসিফ মুনীর বলেন, বাংলাদেশ সরকার এখনো ঠিক করেনি তারা কোন ধরনের সহযোগিতা চায়। তবে আইওএমের প্রধান কার্যালয় ও স্থানীয় অফিসগুলো লিবিয়া সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে যাতে সাহায্য চাওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেওয়া যায়। তবে স্থানান্তর করে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে এবং সে জন্য আন্তর্জাতিক অন্য সংস্থাগুলোরও সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন হবে।
লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ বি এম নূরুজ্জামান বাংলাদেশ সময় গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, কোরীয় কম্পানিতে কর্মরত ৪৬৩ থেকে ৪৬৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিক লিবিয়া সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মিসরে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। অপেক্ষমাণদের একজন গতকাল সকালে টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে জানান, পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকায় তাঁদের মিসরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত এ বি এম নূরুজ্জামান বলেন, 'মানবিক দিক বিবেচনা করে ওই বাংলাদেশিদের মিসরে প্রবেশের সুযোগ দিতে আমি নিজে মিসরের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও মিসরকে এ ধরনের অনুরোধ করা হয়েছে।' তিনি আরো বলেন, ওই কোরীয় কম্পানি তাদের ওখানে কর্মরত ৪৬৯ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু চার থেকে ছয়জন অন্যত্র চলে গেছেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, আরো তিনটি কম্পানি বাংলাদেশি শ্রমিকদের লিবিয়া থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। তাঁদের তিউনিসিয়া বা মাল্টায় নিয়ে যাওয়া হবে। তবে লিবিয়ার বেনগাজি বা দারনার চেয়ে ত্রিপোলির অবস্থা ভিন্ন। বেনগাজিতে এখন স্থানীয় জনগণ স্বেচ্ছায় বিদেশিদের অন্যত্র সরে যেতে সহযোগিতা করছে। ত্রিপোলিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কম্পানিগুলো তাঁদের সরিয়ে নিতে রাজি হলেও একটু সময় লাগছে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।
এদিকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, লিবিয়া থেকে বাংলাদেশ অনেক দূরে হওয়ায় প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশিকে এ মুহূর্তে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে তাঁদের লিবিয়ার বাইরে গিয়ে আশ্রয় নেওয়াকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর কাছ থেকেও বাংলাদেশিদের সহযোগিতার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, লিবিয়ার ত্রিপোলিতে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করায় দূতাবাসের কর্মকর্তারাও দূরের শহরগুলোয় গিয়ে বাংলাদেশিদের খোঁজ নিতে পারছেন না। তবে টেলিফোনে তাঁরা চেষ্টা করছেন বাংলাদেশিদের লিবিয়ায় তুলনামূলক নিরাপদ কোনো স্থানে আশ্রয় নিতে বা সুযোগ বুঝে লিবিয়া ছাড়তে সহায়তার বিষয়ে।
ঢাকায় গতকাল বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, লিবিয়ায় যেসব বিদেশি কম্পানিতে বাংলাদেশিরা কাজ করতেন, তারা নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশিদের সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে। গতকাল একটি চীনা কম্পানি আট শরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিককে সরিয়ে নেওয়ার আগ্রহের কথা জানালে তাদের দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো যাঁরা স্বেচ্ছায় যেতে চান কেবল তাঁদেরই নিয়ে যাবে এবং ওই কম্পানি আবার কার্যক্রম শুরু করলে তাঁদের আবার নিয়োগ দেবে। ওই কম্পানি বাংলাদেশি শ্রমিকদের মাল্টায় নিয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে তিউনিসিয়া ও বেনগাজি থেকে মিসর কাছে হওয়ায় সীমান্তের ক্যাম্পগুলোতে বাংলাদেশিরা সহজে যেতে পারবেন।
ভিসার অভাবে বাংলাদেশিরা সীমান্ত পাড়ি দিতে পারছেন না_এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো চেষ্টা করলে ভিসার বাধ্যবাধকতা দূর হওয়ার কথা। এর পরও সরকার ওই দুই দেশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, লিবিয়ায় ৬০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির অবস্থান। এর মধ্যে বেশির ভাগই শ্রমিক হিসেবে ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন। লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনে তাঁরা প্রায় সবাই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিশেষ করে ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেশির ভাগই লুটপাটের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন। ক্যাম্পে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষই তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করত। রক্তাক্ত লিবিয়ার ক্যাম্পগুলো থেকে তাদের অনেকেই বিতাড়িত হওয়ায় বিপদে পড়েছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা।
সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছেন, লিবিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক যোগাযোগসহ সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তাঁর মন্ত্রণালয়। লিবিয়া প্রবাসী কোনো বাংলাদেশি এখন পর্যন্ত হতাহত হয়নি বলেও জানান তিনি।
জাসদের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'পত্রিকায় ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর এসেছে। আন্তর্জাতিক একটি এজেন্সিতেও এ রকম খবর বেরিয়েছে। তবে আমরা সার্বক্ষণিক খবরাখবর পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের হতাহতের খবর আমরা পাইনি।'
ওই দেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া বা প্রয়োজনে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে। সেখান থেকে বিদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা কাজ করছে। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বিদেশি সংস্থাগুলো লিবিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ মিসর ও তিউনিসিয়ায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে বিদেশিদের সরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে। সেই ব্যবস্থায় বাংলাদেশিদের সরিয়ে আনার জন্য আমরা যোগাযোগ করছি।'
ঢাকায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ
লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ব্যাপারে তথ্য সরবরাহ করতে ঢাকা প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। গতকাল মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নিয়ন্ত্রণকক্ষে যোগাযোগের ঠিকানা : ভবন-৭, কক্ষ নং-৪১৮, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা। ফোন নম্বর: ৭১৬৮৬০৬। মোবাইল : ০১৯১৪-৮৭১১১৮, ০১৫৫২-৩৬৮৫৫১, ০১৮১৯-২৬২১৭৫, ফ্যাক্স : ৭১৬০৬৮৮। ই-মেইল : js@probashi.gov.bd, js.emp@probashi.gov.bd, ahmkamal2020@yahoo.com
বাংলাদেশিদের মিসর ও তিউনিসিয়ায় আশ্রয় দিতে বাংলাদেশ সরকার দেশ দুটিকে অনুরোধ জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাও (আইওএম) সহযোগিতা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম লিবিয়ায় ৩৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর প্রচার করেছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। অন্যদিকে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিও আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সুযোগ থাকলে লিবিয়ার বাইরে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গতকাল রাতে লিবিয়া থেকে আবদুল হাশিম নামের একজন শ্রমিক ফোনে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেশ কয়েকজন লিবিয়া সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মিসরে প্রবেশ করেছেন। তবে সেখানে তাঁরা কোনো আশ্রয় শিবির বা ক্যাম্প পাননি। দারনা থেকে বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে মিসরে ঢুকে তাঁরা খোলা আকাশের নিচে অনিশ্চিত অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন। আবদুল হাশিম বলেন, অনেক দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা এসে তাঁদের দেশের নাগরিকদের নিয়ে গেলেও বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কেউ আসেননি।
এর আগে রাত ৮টায় পাওয়া খবরে জানা যায়, অভিবাসনসংক্রান্ত জটিলতার কারণে লিবিয়া সীমান্তের আরেক পয়েন্ট দিয়ে চেষ্টা করেও মিসরে ঢুকতে পারেননি প্রায় ৪৬৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিক। তাঁরা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার সদস্যেরও দেখা পাননি। শ্রমিকরা খোলা আকাশের নিচে বসে ছিলেন। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসার পর তাঁরা ছিলেন ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত। খাবার কেনার মতো অর্থও তাঁদের কাছে ছিল না।
পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস বলেছেন, লিবিয়া ছেড়ে যাওয়া বাংলাদেশিদের ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। মিসর সীমান্তে আইওএমের ক্যাম্পগুলো করা হয়েছে মূলত লিবিয়া থেকে আসা মিসরীয়দের জন্য। বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদেরও আশ্রয় দিতে আইওএমকে অনুরোধ জানিয়েছে। তা ছাড়া সীমান্তের এমন অনেক পয়েন্ট দিয়ে তাঁরা ঢুকতে পারেন যেখানে হয়তো কোনো আশ্রয় শিবির বা ক্যাম্প নেই। এ জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে বলা হয়েছে, তারা যেন ওই পয়েন্টগুলোর কথা আইওএমকে অবহিত করে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে লিবিয়ার বাইরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে চারটি বিদেশি কম্পানি। অবশিষ্ট ৪৮ হাজার জনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
অন্যদিকে গতকাল সকাল থেকে জার্মানিভিত্তিক একটি অনলাইন গণমাধ্যম ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর প্রচার করেছে। তবে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ বি এম নূরুজ্জামান গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, '৩৭ অনেক বড় সংখ্যা। আমি দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ বাংলাদেশির সঙ্গে ফোনে কথা বলি। এ ধরনের কিছু হলে কারো না কারো মাধ্যমে আমরা নিশ্চয়ই জানতাম।'
লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের উদ্ধারে উদ্যোগ নিতে তাঁদের স্বজনরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল বিকেলে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আইওএমের সঙ্গে সরকারের কথা হয়েছে। সংস্থাটি লিবিয়ার পাশের দেশ মিসর ও তিউনিসিয়ায় ক্যাম্প স্থাপন করেছে। একই সঙ্গে ভিসা ছাড়া বাংলাদেশিরা যাতে সীমান্ত দুটি পাড়ি দিয়ে নিরাপদে ক্যাম্পে অবস্থান করতে পারে, সে ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের উদ্ধারে বাংলাদেশ সরকার গত বুধবার আইওএম ও গতকাল আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের সহযোগিতা চেয়েছে। ঢাকায় আইওএমের মুখপাত্র আসিফ মুনীর গতকাল সন্ধ্যায় টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে জানান, আইওএম বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে আইওএম বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আইওএম প্রতিনিধিদের আলোচনায় তিনটি সম্ভাব্য বিষয় এসেছে। এগুলো হলো ১. লিবিয়ার ভেতরেই কাছাকাছি কোনো স্থানে স্থানান্তর। এ জন্য বাংলাদেশিরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ চাইলে দূতাবাস থেকে দেওয়া হবে, ২. লিবিয়ার কাছাকাছি কোনো দেশ যেমন_মিসর বা তিউনিসিয়ায় স্থানান্তর এবং ৩. স্থানান্তর করে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।
আসিফ মুনীর বলেন, বাংলাদেশ সরকার এখনো ঠিক করেনি তারা কোন ধরনের সহযোগিতা চায়। তবে আইওএমের প্রধান কার্যালয় ও স্থানীয় অফিসগুলো লিবিয়া সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে যাতে সাহায্য চাওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেওয়া যায়। তবে স্থানান্তর করে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে এবং সে জন্য আন্তর্জাতিক অন্য সংস্থাগুলোরও সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন হবে।
লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ বি এম নূরুজ্জামান বাংলাদেশ সময় গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, কোরীয় কম্পানিতে কর্মরত ৪৬৩ থেকে ৪৬৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিক লিবিয়া সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মিসরে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। অপেক্ষমাণদের একজন গতকাল সকালে টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে জানান, পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকায় তাঁদের মিসরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত এ বি এম নূরুজ্জামান বলেন, 'মানবিক দিক বিবেচনা করে ওই বাংলাদেশিদের মিসরে প্রবেশের সুযোগ দিতে আমি নিজে মিসরের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও মিসরকে এ ধরনের অনুরোধ করা হয়েছে।' তিনি আরো বলেন, ওই কোরীয় কম্পানি তাদের ওখানে কর্মরত ৪৬৯ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু চার থেকে ছয়জন অন্যত্র চলে গেছেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, আরো তিনটি কম্পানি বাংলাদেশি শ্রমিকদের লিবিয়া থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। তাঁদের তিউনিসিয়া বা মাল্টায় নিয়ে যাওয়া হবে। তবে লিবিয়ার বেনগাজি বা দারনার চেয়ে ত্রিপোলির অবস্থা ভিন্ন। বেনগাজিতে এখন স্থানীয় জনগণ স্বেচ্ছায় বিদেশিদের অন্যত্র সরে যেতে সহযোগিতা করছে। ত্রিপোলিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কম্পানিগুলো তাঁদের সরিয়ে নিতে রাজি হলেও একটু সময় লাগছে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।
এদিকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, লিবিয়া থেকে বাংলাদেশ অনেক দূরে হওয়ায় প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশিকে এ মুহূর্তে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে তাঁদের লিবিয়ার বাইরে গিয়ে আশ্রয় নেওয়াকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর কাছ থেকেও বাংলাদেশিদের সহযোগিতার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, লিবিয়ার ত্রিপোলিতে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করায় দূতাবাসের কর্মকর্তারাও দূরের শহরগুলোয় গিয়ে বাংলাদেশিদের খোঁজ নিতে পারছেন না। তবে টেলিফোনে তাঁরা চেষ্টা করছেন বাংলাদেশিদের লিবিয়ায় তুলনামূলক নিরাপদ কোনো স্থানে আশ্রয় নিতে বা সুযোগ বুঝে লিবিয়া ছাড়তে সহায়তার বিষয়ে।
ঢাকায় গতকাল বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, লিবিয়ায় যেসব বিদেশি কম্পানিতে বাংলাদেশিরা কাজ করতেন, তারা নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশিদের সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে। গতকাল একটি চীনা কম্পানি আট শরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিককে সরিয়ে নেওয়ার আগ্রহের কথা জানালে তাদের দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো যাঁরা স্বেচ্ছায় যেতে চান কেবল তাঁদেরই নিয়ে যাবে এবং ওই কম্পানি আবার কার্যক্রম শুরু করলে তাঁদের আবার নিয়োগ দেবে। ওই কম্পানি বাংলাদেশি শ্রমিকদের মাল্টায় নিয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে তিউনিসিয়া ও বেনগাজি থেকে মিসর কাছে হওয়ায় সীমান্তের ক্যাম্পগুলোতে বাংলাদেশিরা সহজে যেতে পারবেন।
ভিসার অভাবে বাংলাদেশিরা সীমান্ত পাড়ি দিতে পারছেন না_এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো চেষ্টা করলে ভিসার বাধ্যবাধকতা দূর হওয়ার কথা। এর পরও সরকার ওই দুই দেশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, লিবিয়ায় ৬০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির অবস্থান। এর মধ্যে বেশির ভাগই শ্রমিক হিসেবে ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন। লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনে তাঁরা প্রায় সবাই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিশেষ করে ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেশির ভাগই লুটপাটের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন। ক্যাম্পে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষই তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করত। রক্তাক্ত লিবিয়ার ক্যাম্পগুলো থেকে তাদের অনেকেই বিতাড়িত হওয়ায় বিপদে পড়েছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা।
সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছেন, লিবিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক যোগাযোগসহ সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তাঁর মন্ত্রণালয়। লিবিয়া প্রবাসী কোনো বাংলাদেশি এখন পর্যন্ত হতাহত হয়নি বলেও জানান তিনি।
জাসদের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'পত্রিকায় ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর এসেছে। আন্তর্জাতিক একটি এজেন্সিতেও এ রকম খবর বেরিয়েছে। তবে আমরা সার্বক্ষণিক খবরাখবর পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের হতাহতের খবর আমরা পাইনি।'
ওই দেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া বা প্রয়োজনে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে। সেখান থেকে বিদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা কাজ করছে। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বিদেশি সংস্থাগুলো লিবিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ মিসর ও তিউনিসিয়ায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে বিদেশিদের সরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে। সেই ব্যবস্থায় বাংলাদেশিদের সরিয়ে আনার জন্য আমরা যোগাযোগ করছি।'
ঢাকায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ
লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ব্যাপারে তথ্য সরবরাহ করতে ঢাকা প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। গতকাল মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নিয়ন্ত্রণকক্ষে যোগাযোগের ঠিকানা : ভবন-৭, কক্ষ নং-৪১৮, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা। ফোন নম্বর: ৭১৬৮৬০৬। মোবাইল : ০১৯১৪-৮৭১১১৮, ০১৫৫২-৩৬৮৫৫১, ০১৮১৯-২৬২১৭৫, ফ্যাক্স : ৭১৬০৬৮৮। ই-মেইল : js@probashi.gov.bd, js.emp@probashi.gov.bd, ahmkamal2020@yahoo.com
No comments