পিলখানা ট্র্যাজেডির দুই বছর
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসের আরেক কালো দিন। সেদিন পিলখানায় সংঘটিত হয়েছিল এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। নির্মম-নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভেতর দিয়ে নতুন এক কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল সেদিন। হত্যা করা হয়েছিল ৫৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে। নিষ্ঠুরভাবে হত্যার পর তাঁদের মৃতদেহের প্রতি ন্যক্কারজনক অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছিল।
লাশ গুম করা হয়েছিল, ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল নর্দমায়। মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল। দুই বছর আগে এই দিনে পিলখানায় বেদনাবিধুর এক পরিস্থিতির জন্ম হয়েছিল। সেদিন অনেক মায়ের বুক খালি হয়। অনেক স্ত্রী হারিয়েছেন তাঁদের প্রিয়তম স্বামী। অনেক সন্তান হারিয়েছে অভিভাবককে। তাদের কান্না আজও থামেনি। স্নেহভাজন ছেলে ফিরে আসেনি মায়ের কোলে। প্রিয়তমা স্ত্রীর বাহুডোরে বাঁধা পড়েননি তাঁর প্রিয়তম স্বামী। স্নেহাতুর সন্তান ফিরে পায়নি তার বাবাকে। আজও বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে তাদের দীর্ঘশ্বাস।
আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে পিলখানার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আক্রমণ করেছিল পিলখানায়। সেদিন পিলখানার বীর জওয়ানরা হানাদারদের রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। একাত্তরে পাকিস্তানিদের প্রথম টার্গেট ছিল পিলখানা। ২০০৯ সালে যখন গণতন্ত্র নতুন করে বিকশিত হতে যাচ্ছে, তখন আবার চক্রান্তকারীদের টার্গেট হলো পিলখানা। পিলখানার মর্মন্তুদ ঘটনাটি ঘটেছিল মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র দেড় মাসের মাথায়। এই একটি ঘটনা মহাজোট সরকারকে নড়বড়ে করে দিতে পারত। সেদিন নতুন একটি সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়োচিত কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে সংকটের মোকাবিলা করেছিলেন। রক্ষা করেছিলেন দেশকে আরো বড় সংঘাতের হাত থেকে ।
বিডিআর বিদ্রোহ দমনের পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুরু হয় অভিযুক্তদের বিচার প্রক্রিয়া। সেই সঙ্গে শুরু হয় বিডিআর পুনর্গঠনের কাজ। প্রথমেই আলোচনায় আসে বিডিআরের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি। যে বিডিআর একাত্তরে বীরত্ব প্রদর্শন করেছে, সেই সুসজ্জিত ও সুশৃঙ্খল বাহিনী এমন একটি ঘটনার জন্ম দিতে পারে, এটা ছিল কল্পনারও অতীত। স্বাভাবিকভাবেই বিডিআর পুনর্গঠনের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছিল। গত বছর ৮ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন পাস হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতির মধ্য দিয়ে আইনটি কার্যকর হয়েছে। এরই মধ্যে বাহিনীর নাম, মনোগ্রাম, পোশাক, ব্যাজ পরিবর্তনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। সেনাপ্রধানের তহবিল থেকে পাঁচ লাখ ও পারিবারিক নিরাপত্তা প্রকল্প থেকে আট লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। পারিবারিক পেনশন দেওয়া হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। প্রতি পরিবারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্লট। যোগ্যতা অনুসারে পরিবারের সদস্যদের চাকরির পাশাপাশি ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ১০ বছরের জন্য মাসিক ৪০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে হত্যাকাণ্ড সেদিন ঘটেছিল, যাঁদের জীবন গেছে, তাঁদের কোনো কিছুর বিনিময়েই আর ফিরে পাওয়া যাবে না। পিলখানা ট্র্যাজেডির ক্ষত সহজে শুকোবে না। সেদিন যাঁদের হারিয়েছি আমরা, তাঁদের শূন্যস্থান পূরণ হবে না। কিন্তু বিচার হতে হবে। আর যেন এমন কোনো ঘটনার জন্ম না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সুখের বিষয়, বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে অনেকটাই এগিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহের দায়ে অভিযুক্তদের শাস্তি হয়েছে।
পিলখানা ট্র্যাজেডির দ্বিতীয় বার্ষিকীতে আজ আমরা পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেদিনের শহীদদের।
আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে পিলখানার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আক্রমণ করেছিল পিলখানায়। সেদিন পিলখানার বীর জওয়ানরা হানাদারদের রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। একাত্তরে পাকিস্তানিদের প্রথম টার্গেট ছিল পিলখানা। ২০০৯ সালে যখন গণতন্ত্র নতুন করে বিকশিত হতে যাচ্ছে, তখন আবার চক্রান্তকারীদের টার্গেট হলো পিলখানা। পিলখানার মর্মন্তুদ ঘটনাটি ঘটেছিল মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র দেড় মাসের মাথায়। এই একটি ঘটনা মহাজোট সরকারকে নড়বড়ে করে দিতে পারত। সেদিন নতুন একটি সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়োচিত কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে সংকটের মোকাবিলা করেছিলেন। রক্ষা করেছিলেন দেশকে আরো বড় সংঘাতের হাত থেকে ।
বিডিআর বিদ্রোহ দমনের পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুরু হয় অভিযুক্তদের বিচার প্রক্রিয়া। সেই সঙ্গে শুরু হয় বিডিআর পুনর্গঠনের কাজ। প্রথমেই আলোচনায় আসে বিডিআরের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি। যে বিডিআর একাত্তরে বীরত্ব প্রদর্শন করেছে, সেই সুসজ্জিত ও সুশৃঙ্খল বাহিনী এমন একটি ঘটনার জন্ম দিতে পারে, এটা ছিল কল্পনারও অতীত। স্বাভাবিকভাবেই বিডিআর পুনর্গঠনের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছিল। গত বছর ৮ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন পাস হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতির মধ্য দিয়ে আইনটি কার্যকর হয়েছে। এরই মধ্যে বাহিনীর নাম, মনোগ্রাম, পোশাক, ব্যাজ পরিবর্তনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। সেনাপ্রধানের তহবিল থেকে পাঁচ লাখ ও পারিবারিক নিরাপত্তা প্রকল্প থেকে আট লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। পারিবারিক পেনশন দেওয়া হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। প্রতি পরিবারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্লট। যোগ্যতা অনুসারে পরিবারের সদস্যদের চাকরির পাশাপাশি ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ১০ বছরের জন্য মাসিক ৪০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে হত্যাকাণ্ড সেদিন ঘটেছিল, যাঁদের জীবন গেছে, তাঁদের কোনো কিছুর বিনিময়েই আর ফিরে পাওয়া যাবে না। পিলখানা ট্র্যাজেডির ক্ষত সহজে শুকোবে না। সেদিন যাঁদের হারিয়েছি আমরা, তাঁদের শূন্যস্থান পূরণ হবে না। কিন্তু বিচার হতে হবে। আর যেন এমন কোনো ঘটনার জন্ম না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সুখের বিষয়, বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে অনেকটাই এগিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহের দায়ে অভিযুক্তদের শাস্তি হয়েছে।
পিলখানা ট্র্যাজেডির দ্বিতীয় বার্ষিকীতে আজ আমরা পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেদিনের শহীদদের।
No comments