ছোট হয়ে আসছে গাদ্দাফির দুনিয়া
সরকার পতনের আন্দোলনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে ক্রমেই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন লিবিয়ার একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফি। তাঁকে একে একে ছেড়ে যাচ্ছেন তাঁর দীর্ঘদিনের অপকর্মের সহযোগীরা। হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ। শীর্ষস্থানীয় বেশ কজন নেতা এবং গুরুত্বপূর্ণ সেনা কর্মকর্তা তাঁর প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
বিক্ষোভের আগুন ক্রমেই ধেয়ে আসছে রাজধানী ত্রিপোলির দিকে। শেষ ঘাঁটি ত্রিপোলির পতন হলেই গাদ্দাফি শেষ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গাদ্দাফি গত মঙ্গলবার ক্ষমতা থেকে সরে না দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে বিক্ষোভ দমনের হুমকি দেওয়ার পর আন্দোলনের গতি আরো তীব্র হয়েছে। বেনগাজি বিক্ষোভকারীদের কবলে চলে যাওয়ার পর দেশের আরো অনেক শহরই সরকারের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন গাদ্দাফি। তবু আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করে ক্ষমতা ধরে রাখতে তিনি তাঁর সমর্থকদের মাঠে নামিয়েছেন। দেশটির তৃতীয় বৃহৎ শহর মিসুরাতায় ব্যাপক আকারে এবং রাজধানী ত্রিপোলির কাছে পশ্চিমাঞ্চলীয় সেব্রাতা ও জাওয়াইয়ায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। বেনগাজিসহ পূর্বাঞ্চলীয় বেশির ভাগ শহরই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। মিসুরাতার কাছেই গাদ্দাফির নিজ এলাকা সিরতের প্রধান উপজাতীয় গোষ্ঠী গাদ্দাফির ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। আল-জাজিরা টেলিভিশন জানায়, পশ্চিমাঞ্চলীয় আজ্জিনতান ও নালুত এলাকার লোকজন বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। ওই সব এলাকার তেলক্ষেত্রগুলো এখন তাদের দখলে।
বিশ্লেষকদের মতে, গাদ্দাফির বলয় ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ যেভাবে ত্রিপোলির দিকে এগুচ্ছে, তাতে বেশি সময় তা ধরে রাখা গাদ্দাফির পক্ষে সম্ভব হবে না। এর আগে গাদ্দাফির মেয়ে আয়শাকে নিয়ে গত বুধবার লিবিয়া ত্যাগ করা বিমানকে মাল্টায় নামতে দেওয়া হয়নি_এমন খবর বের হয়। কিন্তু সে খবর অস্বীকার করেছে মাল্টা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে লন্ডনে মধ্যপ্রাচ্যের এক কনসালটেন্সি ফার্ম জানিয়েছে, গাদ্দাফির স্ত্রী, কন্যা, ছেলের বউ এবং নাতি-নাতনি লিবিয়া থেকে পালিয়েছে।
আরব সূত্রগুলোর মতে, গাদ্দাফির ওপর সবচেয়ে বড় আঘাতটা এসেছে তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল ফাতাহ ইউনুস আল ওবেইদির কাছ থেকে। তিনি গত মঙ্গলবার জনগণের দাবিকে বৈধ বলে ঘোষণা করে জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রতি। গুজব উঠেছে, আরেক সিনিয়র নেতা মুস্তাফা আল কারৌবি দেশ থেকে পালিয়েছেন। সন্দেহ দেখা দিয়েছে আরেক অনুগত খিলজি আল হামিদির ব্যাপারেও। হামিদির মেয়ের স্বামী গাদ্দাফির ছেলে সাদী। গাদ্দাফি আন্তর্জাতিক দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইউসুফ সাওয়ানও পদত্যাগ করেছেন। বিভিন্ন দেশে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতরা এখনো পদত্যাগ করছেন। এদিকে গত সপ্তাহে পদত্যাগকারী বিচারমন্ত্রী মুস্তাফা আবদেল জলিল জানিয়েছেন, লকারবি বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং গাদ্দাফি। এর ফলে তাঁর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে সবচেয়ে বিপদের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন দেশ থেকে নির্বাসিত নেতারা। সংস্কারবাদী আন্দোলনের নেতা আলী আল সাহুলি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, গাদ্দাফি বিশেষ করে অবকাঠামো বিদ্যুৎ, তেল ক্ষেত্রগুলো ধ্বংসের মাধ্যমে দেশে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে পারেন।
সেনাবাহিনীর ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানা না গেলেও এর একটি বড় অংশ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বলে জানা গেছে। গত সপ্তাহে সেনা কমান্ডার ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল আবু বকর ইউনুস জাবেরকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। তুবরুকের সেনা কমান্ডার মেজর জেনারেল সুলাইমান মাহমুদ জানিয়েছেন, তিনি জনগণের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। আরেক খবরে জানা গেছে, স্পেশাল ফোর্স ব্যাটালিয়ান বেনগাজিতে গাদ্দাফির রেভ্যুলশনারি গার্ডের ওপর হামলা চালিয়েছে। মোট কথা, দেশের বহু অংশের ওপর এখন আর নিয়ন্ত্রণ নেই গাদ্দাফির। সূত্র : গার্ডিয়ান।
গাদ্দাফি গত মঙ্গলবার ক্ষমতা থেকে সরে না দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে বিক্ষোভ দমনের হুমকি দেওয়ার পর আন্দোলনের গতি আরো তীব্র হয়েছে। বেনগাজি বিক্ষোভকারীদের কবলে চলে যাওয়ার পর দেশের আরো অনেক শহরই সরকারের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন গাদ্দাফি। তবু আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করে ক্ষমতা ধরে রাখতে তিনি তাঁর সমর্থকদের মাঠে নামিয়েছেন। দেশটির তৃতীয় বৃহৎ শহর মিসুরাতায় ব্যাপক আকারে এবং রাজধানী ত্রিপোলির কাছে পশ্চিমাঞ্চলীয় সেব্রাতা ও জাওয়াইয়ায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। বেনগাজিসহ পূর্বাঞ্চলীয় বেশির ভাগ শহরই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। মিসুরাতার কাছেই গাদ্দাফির নিজ এলাকা সিরতের প্রধান উপজাতীয় গোষ্ঠী গাদ্দাফির ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। আল-জাজিরা টেলিভিশন জানায়, পশ্চিমাঞ্চলীয় আজ্জিনতান ও নালুত এলাকার লোকজন বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। ওই সব এলাকার তেলক্ষেত্রগুলো এখন তাদের দখলে।
বিশ্লেষকদের মতে, গাদ্দাফির বলয় ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ যেভাবে ত্রিপোলির দিকে এগুচ্ছে, তাতে বেশি সময় তা ধরে রাখা গাদ্দাফির পক্ষে সম্ভব হবে না। এর আগে গাদ্দাফির মেয়ে আয়শাকে নিয়ে গত বুধবার লিবিয়া ত্যাগ করা বিমানকে মাল্টায় নামতে দেওয়া হয়নি_এমন খবর বের হয়। কিন্তু সে খবর অস্বীকার করেছে মাল্টা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে লন্ডনে মধ্যপ্রাচ্যের এক কনসালটেন্সি ফার্ম জানিয়েছে, গাদ্দাফির স্ত্রী, কন্যা, ছেলের বউ এবং নাতি-নাতনি লিবিয়া থেকে পালিয়েছে।
আরব সূত্রগুলোর মতে, গাদ্দাফির ওপর সবচেয়ে বড় আঘাতটা এসেছে তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল ফাতাহ ইউনুস আল ওবেইদির কাছ থেকে। তিনি গত মঙ্গলবার জনগণের দাবিকে বৈধ বলে ঘোষণা করে জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রতি। গুজব উঠেছে, আরেক সিনিয়র নেতা মুস্তাফা আল কারৌবি দেশ থেকে পালিয়েছেন। সন্দেহ দেখা দিয়েছে আরেক অনুগত খিলজি আল হামিদির ব্যাপারেও। হামিদির মেয়ের স্বামী গাদ্দাফির ছেলে সাদী। গাদ্দাফি আন্তর্জাতিক দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইউসুফ সাওয়ানও পদত্যাগ করেছেন। বিভিন্ন দেশে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতরা এখনো পদত্যাগ করছেন। এদিকে গত সপ্তাহে পদত্যাগকারী বিচারমন্ত্রী মুস্তাফা আবদেল জলিল জানিয়েছেন, লকারবি বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং গাদ্দাফি। এর ফলে তাঁর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে সবচেয়ে বিপদের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন দেশ থেকে নির্বাসিত নেতারা। সংস্কারবাদী আন্দোলনের নেতা আলী আল সাহুলি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, গাদ্দাফি বিশেষ করে অবকাঠামো বিদ্যুৎ, তেল ক্ষেত্রগুলো ধ্বংসের মাধ্যমে দেশে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে পারেন।
সেনাবাহিনীর ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানা না গেলেও এর একটি বড় অংশ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বলে জানা গেছে। গত সপ্তাহে সেনা কমান্ডার ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল আবু বকর ইউনুস জাবেরকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। তুবরুকের সেনা কমান্ডার মেজর জেনারেল সুলাইমান মাহমুদ জানিয়েছেন, তিনি জনগণের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। আরেক খবরে জানা গেছে, স্পেশাল ফোর্স ব্যাটালিয়ান বেনগাজিতে গাদ্দাফির রেভ্যুলশনারি গার্ডের ওপর হামলা চালিয়েছে। মোট কথা, দেশের বহু অংশের ওপর এখন আর নিয়ন্ত্রণ নেই গাদ্দাফির। সূত্র : গার্ডিয়ান।
No comments