অর্থনীতির ইতিবাচক গতি-সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে
বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি ইতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে। এশীয় অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এদিক থেকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ, মিয়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ার ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় এ মূল্যায়ন করেছে জার্মানভিত্তিক ডয়েচে ব্যাংক।
এশিয়ার এ চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থানও সন্তোষজনক। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স-নির্ভরতার কারণে বাংলাদেশের এই যাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে পারে- এমন আশা করা যায় না। কারণ যেসব দেশে বাংলাদেশের বিশাল শ্রমবাজার সৃষ্টি হয়েছে সেসব দেশ যে দীর্ঘকাল শ্রমশক্তি আমদানি করবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাই আজকে জিডিপি ৬ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার যে উদাহরণ বাংলাদেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, তাতে টান পড়ারও আশঙ্কা থেকে যায়। অর্থনৈতিক ইতিবাচক গতি ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশকে উৎপাদনমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিতে হবে।
রেমিট্যান্সের উচ্চ হারের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক হওয়ার পরও জনজীবনে এর প্রভাব আশাব্যঞ্জক নয়। কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে ঠিকই; কিন্তু জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি বলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি আশানুরূপ হচ্ছে না। বিনিয়োগ আশানুরূপ না হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত হবে না। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন উদ্যোগ ও আন্তরিকতা। বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে হলে প্রশাসনিক জটিলতা দূর করার পাশাপাশি দুর্নীতি কমানোরও উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থনৈতিক ভিতকে শক্তিশালী করতে হলে কম্বোডিয়াকে উদাহরণ হিসেবে সামনে আনা যায়। তাদের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে বৈদেশিক বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীল। আর সে ক্ষেত্রে তাদের বৈদেশিক বিনিয়োগের ৫০ শতাংশই আসছে চীন ও বাইরে বসবাসরত চীনা উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা যথেষ্ট। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে বাংলাদেশকে। এত প্রতিবন্ধকতার পরও যখন বাংলাদেশের অগ্রগতি ইতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তখন তাকে স্থায়ী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করাও অসম্ভব হবে না। ডয়েচে ব্যাংকের প্রতিবেদনে তৈরি পোশাক শিল্প খাতেরও উল্লেখ আছে। কিন্তু সেখানেও দেখা যায়, তৈরি পোশাক শিল্পের বাজার সীমিত। বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু দেশে বাংলাদেশের যে তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে, তাকে আরো উন্নত করতে হলে বিকল্প বাজার খোঁজার কাজটি করতে হবে বাংলাদেশকে। বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশ সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। ১৫ কোটি মানুষের এই দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরের বিকল্প নেই। সুপরিকল্পনা, আন্তরিকতা, সুশাসন, দুর্নীতি হ্রাস, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন সম্ভব হলে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে যে স্বপ্ন দেখছে, তা বাস্তবায়ন অসম্ভব হবে না।
রেমিট্যান্সের উচ্চ হারের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক হওয়ার পরও জনজীবনে এর প্রভাব আশাব্যঞ্জক নয়। কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে ঠিকই; কিন্তু জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি বলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি আশানুরূপ হচ্ছে না। বিনিয়োগ আশানুরূপ না হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত হবে না। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন উদ্যোগ ও আন্তরিকতা। বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে হলে প্রশাসনিক জটিলতা দূর করার পাশাপাশি দুর্নীতি কমানোরও উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থনৈতিক ভিতকে শক্তিশালী করতে হলে কম্বোডিয়াকে উদাহরণ হিসেবে সামনে আনা যায়। তাদের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে বৈদেশিক বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীল। আর সে ক্ষেত্রে তাদের বৈদেশিক বিনিয়োগের ৫০ শতাংশই আসছে চীন ও বাইরে বসবাসরত চীনা উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা যথেষ্ট। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে বাংলাদেশকে। এত প্রতিবন্ধকতার পরও যখন বাংলাদেশের অগ্রগতি ইতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তখন তাকে স্থায়ী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করাও অসম্ভব হবে না। ডয়েচে ব্যাংকের প্রতিবেদনে তৈরি পোশাক শিল্প খাতেরও উল্লেখ আছে। কিন্তু সেখানেও দেখা যায়, তৈরি পোশাক শিল্পের বাজার সীমিত। বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু দেশে বাংলাদেশের যে তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে, তাকে আরো উন্নত করতে হলে বিকল্প বাজার খোঁজার কাজটি করতে হবে বাংলাদেশকে। বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশ সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। ১৫ কোটি মানুষের এই দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরের বিকল্প নেই। সুপরিকল্পনা, আন্তরিকতা, সুশাসন, দুর্নীতি হ্রাস, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন সম্ভব হলে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে যে স্বপ্ন দেখছে, তা বাস্তবায়ন অসম্ভব হবে না।
No comments