দাম কমানোর উদ্যোগ
দ্রব্যমূল্য এখন সরকারের মাথাব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ। কোনোভাবেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম কোনোভাবেই সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতি জনমনে যেমন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে, তেমনি বিব্রত করছে সরকারকে।
বিষয়টি নিয়ে সরকার যে ভাবিত, সে ব্যাপারেও কোনো মতভেদ নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও সরকারের চেষ্টার কোনো অন্ত নেই। প্রধানমন্ত্রীও সংসদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। বলেছেন, ব্যবসায়ীদের আস্থায় নেওয়ার কথা। বাজারে দ্রব্যমূল্য, বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার সব সময় সচেষ্ট।
বাজারে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির নানা কারণ থাকে। একদিকে বাজারে একটি অদৃশ্য সিন্ডিকেট সব সময় সক্রিয়। এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণেও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। বিশেষ করে যেসব পণ্যের জন্য আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়, সেসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেলে দেশের বাজারে তার দাম বাড়ে। বাংলাদেশের বাজারের জন্য লক্ষণীয় যে আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এখানে তার প্রভাব পড়ে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে তার কোনো প্রভাব এখানে লক্ষ করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা আগের মজুদের দোহাই দিয়ে বর্ধিত দামে জিনিসপত্র বিক্রি করেন। সরকার আমদানির ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিয়েও মূল্যবৃদ্ধির চক্র থেকে ভোক্তাদের রেহাই দিতে পারছে না। শেষ পর্যন্ত সরকারকে আইনের দিকেই যেতে হলো। পরিবর্তন করতে হলো আইন।
খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার গত ৮ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মজুদবিরোধী আইন পুনর্বহাল করে। মুক্তবাজার অর্থনীতির দোহাই দিয়ে ২১ বছর আগে আইনটি স্থগিত করা হয়েছিল। আইনটি পুনর্বহাল হওয়ার কারণেই ব্যবসায়ীরা কোন খাদ্যদ্রব্য কত দিন মজুদ করতে পারবেন, তা নির্ধারণ করতে পেরেছে সরকার। একই সঙ্গে খাদ্য ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাইকারি, খুচরাসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য-ব্যবসার লাইসেন্স ফি বাড়ছে ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত। একই সঙ্গে কোন খাদ্যদ্রব্য কত দিন এবং কী পরিমাণে মজুদ করা যাবে, তা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার।
বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমাতে না পারলে সেটা সরকারের জনপ্রিয়তার জন্য ক্ষতিকর হবে। সরকার সে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছে। যেকোনো মূল্যে সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে সম্ভব সব কিছুই করতে হবে। তবে অবশ্যই তা করতে হবে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাসযোগ্যতায় রেখে।
বাজারে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির নানা কারণ থাকে। একদিকে বাজারে একটি অদৃশ্য সিন্ডিকেট সব সময় সক্রিয়। এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণেও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। বিশেষ করে যেসব পণ্যের জন্য আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়, সেসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেলে দেশের বাজারে তার দাম বাড়ে। বাংলাদেশের বাজারের জন্য লক্ষণীয় যে আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এখানে তার প্রভাব পড়ে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে তার কোনো প্রভাব এখানে লক্ষ করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা আগের মজুদের দোহাই দিয়ে বর্ধিত দামে জিনিসপত্র বিক্রি করেন। সরকার আমদানির ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিয়েও মূল্যবৃদ্ধির চক্র থেকে ভোক্তাদের রেহাই দিতে পারছে না। শেষ পর্যন্ত সরকারকে আইনের দিকেই যেতে হলো। পরিবর্তন করতে হলো আইন।
খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার গত ৮ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মজুদবিরোধী আইন পুনর্বহাল করে। মুক্তবাজার অর্থনীতির দোহাই দিয়ে ২১ বছর আগে আইনটি স্থগিত করা হয়েছিল। আইনটি পুনর্বহাল হওয়ার কারণেই ব্যবসায়ীরা কোন খাদ্যদ্রব্য কত দিন মজুদ করতে পারবেন, তা নির্ধারণ করতে পেরেছে সরকার। একই সঙ্গে খাদ্য ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাইকারি, খুচরাসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য-ব্যবসার লাইসেন্স ফি বাড়ছে ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত। একই সঙ্গে কোন খাদ্যদ্রব্য কত দিন এবং কী পরিমাণে মজুদ করা যাবে, তা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার।
বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমাতে না পারলে সেটা সরকারের জনপ্রিয়তার জন্য ক্ষতিকর হবে। সরকার সে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছে। যেকোনো মূল্যে সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে সম্ভব সব কিছুই করতে হবে। তবে অবশ্যই তা করতে হবে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাসযোগ্যতায় রেখে।
No comments