দৌলতদিয়া ঘাটের ১৩ কোটি টাকার কাজ থমকে আছে by এম রাশেদুল হক
ঠিকাদারদের ধীরগতির কারণে থমকে আছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটের প্রায় ১৩ কোটি টাকার মহাসড়ক সম্প্রসারণ ও বিকল্প সড়কের নির্মাণকাজ। চলতি বছরের জুনে দুটি কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা শেষ হয়নি। মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ থাকায় গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কে বড় বড় গর্ত, খানাখন্দ দেখা দিয়েছে।
এতে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের উচ্চপর্যায়ের একটি দল সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছে। নতুবা ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।
ঈদুল আজহার সময় দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের মাধ্যম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় যানবাহন ও মানুষের প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এ সময় উভয় ঘাটে যানজট সৃষ্টি হয়ে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চাপ সামাল দিতে দৌলতদিয়া ঘাট মহাসড়কের অসমাপ্ত চার লেন ও বিকল্প সড়ক খুলে দেওয়া হয়। এর ওপর দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করায় সড়কের নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ঈদের পর গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ অসমাপ্ত থাকায় স্থানে স্থানে বড় বড় গর্ত, খানাখন্দ তৈরি হয়েছে।
মহাসড়ক সম্প্রসারণ ও বিকল্প সড়কের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সওজ রাজবাড়ীর উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া বলেন, চার লেন সম্প্রসারণকাজের প্রায় ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হলেও এখনো ৩০ শতাংশ বাকি রয়েছে। বৃষ্টির কারণে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে আছে। এ ছাড়া নতুন করে পাথর ও খোয়া তুলে কার্পেটিংয়ের কাজ করতে হবে। একইভাবে বিকল্প সড়কের কাজও প্রায় ৪০ শতাংশ বাকি রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসি কাউন্টার থেকে আড়াই কিলোমিটার মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ করতে রাজবাড়ী সওজ গত বছরের ২০ জুলাই দরপত্র আহ্বান করে। আটি কোটি ৯৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮১ টাকার কাজ পান ঢাকার ওয়াহিদ মিয়া। প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন রাজবাড়ীর আমজাদ হোসেন ও আজিজুল ইসলাম। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। মাটি ফেলাসহ প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হলেও মহাসড়কে বিদ্যুতের খুঁটি না সরানোয় গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ এক মাস বন্ধ থাকে। প্রতিষ্ঠানটি পরে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা চেয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে আবেদন করে।
এদিকে গত বছরের মে মাসে সওজ বিভাগ ফেরিঘাট থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত এক দশমিক ২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্ত বিকল্প সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে। এতে চার কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ের কার্যাদেশ পায় ফরিদপুরের মেসার্স মীর আক্তার হোসেন। প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন রাজবাড়ীর গোলাম মোস্তফা। এ জন্য ৭ দশমিক ৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ অসম্পূর্ণ রেখে আড়াই মাস কাজ বন্ধ রাখে। পরে আগস্টের প্রথমে কাজ শুরু হলেও এখনো শেষ করতে পারেনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাসির মোহামঞ্চদ চৌধুরী বলেন, ঈদের আগে দুই সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। এখন বৃষ্টিতে মহাসড়ক সম্প্রসারণকাজের অংশটুকুর এমনই দশা হয়েছে, ঠিকমতো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। দ্রুত অসমাপ্ত সড়কের কাজ শেষ করা দরকার, নতুবা আরও ঝামেলা হতে পারে।
ঈদুল আজহার সময় দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের মাধ্যম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় যানবাহন ও মানুষের প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এ সময় উভয় ঘাটে যানজট সৃষ্টি হয়ে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চাপ সামাল দিতে দৌলতদিয়া ঘাট মহাসড়কের অসমাপ্ত চার লেন ও বিকল্প সড়ক খুলে দেওয়া হয়। এর ওপর দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করায় সড়কের নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ঈদের পর গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ অসমাপ্ত থাকায় স্থানে স্থানে বড় বড় গর্ত, খানাখন্দ তৈরি হয়েছে।
মহাসড়ক সম্প্রসারণ ও বিকল্প সড়কের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সওজ রাজবাড়ীর উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া বলেন, চার লেন সম্প্রসারণকাজের প্রায় ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হলেও এখনো ৩০ শতাংশ বাকি রয়েছে। বৃষ্টির কারণে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে আছে। এ ছাড়া নতুন করে পাথর ও খোয়া তুলে কার্পেটিংয়ের কাজ করতে হবে। একইভাবে বিকল্প সড়কের কাজও প্রায় ৪০ শতাংশ বাকি রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসি কাউন্টার থেকে আড়াই কিলোমিটার মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ করতে রাজবাড়ী সওজ গত বছরের ২০ জুলাই দরপত্র আহ্বান করে। আটি কোটি ৯৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮১ টাকার কাজ পান ঢাকার ওয়াহিদ মিয়া। প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন রাজবাড়ীর আমজাদ হোসেন ও আজিজুল ইসলাম। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। মাটি ফেলাসহ প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হলেও মহাসড়কে বিদ্যুতের খুঁটি না সরানোয় গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ এক মাস বন্ধ থাকে। প্রতিষ্ঠানটি পরে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা চেয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে আবেদন করে।
এদিকে গত বছরের মে মাসে সওজ বিভাগ ফেরিঘাট থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত এক দশমিক ২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্ত বিকল্প সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে। এতে চার কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ের কার্যাদেশ পায় ফরিদপুরের মেসার্স মীর আক্তার হোসেন। প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন রাজবাড়ীর গোলাম মোস্তফা। এ জন্য ৭ দশমিক ৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ অসম্পূর্ণ রেখে আড়াই মাস কাজ বন্ধ রাখে। পরে আগস্টের প্রথমে কাজ শুরু হলেও এখনো শেষ করতে পারেনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাসির মোহামঞ্চদ চৌধুরী বলেন, ঈদের আগে দুই সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। এখন বৃষ্টিতে মহাসড়ক সম্প্রসারণকাজের অংশটুকুর এমনই দশা হয়েছে, ঠিকমতো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। দ্রুত অসমাপ্ত সড়কের কাজ শেষ করা দরকার, নতুবা আরও ঝামেলা হতে পারে।
No comments