জামায়াত-শিবির ঠেকানোর কাজ আপনার, আমাদের নয়-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যুবলীগ চেয়ারম্যান
দেখামাত্রই জামায়াত-শিবির প্রতিহত করতে হবে- যুবসমাজের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, এটি যুবলীগ নেতা-কর্মীদের কাজ নয়। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, 'অফিসে ঢুকে জামায়াত খুঁজে পান না, আর এখন বলছেন, জনগণকে জামায়াত-শিবির খুঁজতে হবে।
যুবলীগ কেন তাদের খুঁজবে? এটা তাদের কাজ নয়।' জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা রেহাই পাবেন না বলেও ওমর ফারুক মন্তব্য করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে যুব সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে যুবলীগ চেয়ারম্যান এমন বক্তব্য দেন। 'সারা দেশে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে' পরিষদ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করতে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে এই পরিষদ গঠন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নেতারা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় মোর্চার উদ্দেশে বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জামায়াতকে জোট থেকে বের করে দিতে হবে- অন্যথায় গড়ে তোলা হবে প্রতিরোধ।
সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সভাপতির বক্তব্যে যুবসমাজের উদ্দেশে বলেন, 'যেখানেই জামায়াত-শিবির দেখবেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির অপতৎপরতা দেখবেন, সেখানেই তাদের প্রতিহত করবেন।' পুলিশ কয়েক দিন ধরে চরম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ আর নীরব থাকবে না। পরে ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের খোঁজা যুবলীগের কাজ নয়।
উত্তেজিত কণ্ঠে ওমর ফারুক চৌধুরী প্রশ্ন করেন, 'আমি কি ডিবিতে চাকরি করি নাকি? আমি তো রাজনীতি করি। জামায়াত-শিবির খোঁজা আমার কাজ না। আমার কাজ হচ্ছে জনমত সৃষ্টি করা। আপনার কাজ আপনি করেন, জামায়াত-শিবির আপনি খোঁজেন।' ওমর ফারুক আরো বলেন, এ কাজে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্যর্থ হলে তাঁদেরও ছাড়া হবে না, লাঠিপেটা করা হবে। সংগঠনের চেয়ারম্যান এভাবে উত্তেজিত ভঙ্গিতে বক্তব্য দিচ্ছিলেন এবং উপস্থিত যুবলীগ নেতা-কর্মীরা করতালি ও স্লোগান দিয়ে সমর্থন জানাচ্ছিলেন।
সমাবেশে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির কোনো স্থান নেই বাংলাদেশে। আর তাই দেশে কোনো অরাজক পরিস্থিতি হলে কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
অবশ্য ওমর ফারুকের এই বক্তব্যের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমাবেশে ছিলেন না। মহীউদ্দীন খান আলমগীর বক্তৃতা শেষ করেই 'জরুরি' কাজের কথা বলে চলে গিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমাবেশে আরো বলেছিলেন, সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় এক হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে সোমবার মতিঝিলে বিক্ষোভরত জামায়াত-শিবিরকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এর পরদিন রামপুরা ও রমনা থানা এলাকায় জামায়াতকর্মীরা আবার মিছিল বের করলে আবারও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল যুবলীগের সমাবেশে বলেন, জামায়াত-শিবিরের 'তাণ্ডব'-এর ঘটনায় পুলিশ সহনশীলতা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, 'হাতিয়ার ছিনিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ ধৈর্যচ্যুত হয়নি, কারণ তারা গণতান্ত্রিক বাহিনী।'
মন্ত্রীর এ বক্তব্যের জবাবে পরে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও বাবর বাহিনীর (সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) হাতে মার খেয়েছেন। এর পরও তিনি সহনশীল রয়েছেন। এ সহনশীলতার কথা আমাদের শোনাবেন না। এখানে পাণ্ডিত্য দেখানোর জন্য আসবেন না।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তীব্র নিন্দা করে ওমর ফারুক বলেন, 'আপনারা কি আগে খবর পাননি, জামায়াত-শিবির এ কাজ করবে? কী করেছেন? পুলিশকে মার খাইয়েছেন।' তিনি সহনশীলতা না দেখিয়ে 'মরণশীল' হওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননও পুলিশের 'সহনশীল' আচরণের সমালোচনা করেন। জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্য ঠেকাতে পাড়া-মহল্লায় 'যুব প্রতিরোধ বাহিনী' গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির কোনো স্থান নেই বাংলাদেশে। আর তাই দেশে কোনো অরাজক পরিস্থিতি হলে কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
সমাবেশে যুব মৈত্রীর সভাপতি মোস্তফা আলমগীর, জাতীয় যুব ঐক্যের সভাপতি খায়রুল আলম, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম আরিফ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুনরুক্তি : বিকেলে রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশেও একই কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির নামধারী দুর্বৃত্তদের যেখানে দেখা যাবে, সেখানেই তাদের পাকড়াও করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করুন। প্রতিটি জেলা, থানা, পাড়া ও মহল্লায় ওদের খুঁজে বের করুন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর উত্তরের সভাপতি মোবাশ্বের চৌধুরী। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাসেল স্কয়ার থেকে শুরু করে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছাড়াও জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মহিলা আওয়ামী লীগ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
ওমর ফারুক চৌধুরীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ওই সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমি তাঁর বক্তৃতা শুনিনি। সমাবেশে তিনি তাঁর মতো করে কথা বলেছেন।' তিনি আরো বলেন, 'যুবলীগ নয়, জনগণের উদ্দেশে আমি বলেছি, তারা যেন জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করে। কারণ আইনে আছে, কেউ নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে জনগণ তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে পারে।'
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাপারে ওমর ফারুক চৌধুরী গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি বক্তৃতায় কারো বিরুদ্ধাচরণ করিনি। পুলিশের কী ভূমিকা হওয়া উচিত তা-ই শুধু ব্যাখ্যা করেছি। পুলিশ বাবর-বাহিনীর সক্রিয় কর্মী কি না তা চিহ্নিত করতে বলেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও এ ধরনের কথা আমি বলতাম।'
সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সভাপতির বক্তব্যে যুবসমাজের উদ্দেশে বলেন, 'যেখানেই জামায়াত-শিবির দেখবেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির অপতৎপরতা দেখবেন, সেখানেই তাদের প্রতিহত করবেন।' পুলিশ কয়েক দিন ধরে চরম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ আর নীরব থাকবে না। পরে ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের খোঁজা যুবলীগের কাজ নয়।
উত্তেজিত কণ্ঠে ওমর ফারুক চৌধুরী প্রশ্ন করেন, 'আমি কি ডিবিতে চাকরি করি নাকি? আমি তো রাজনীতি করি। জামায়াত-শিবির খোঁজা আমার কাজ না। আমার কাজ হচ্ছে জনমত সৃষ্টি করা। আপনার কাজ আপনি করেন, জামায়াত-শিবির আপনি খোঁজেন।' ওমর ফারুক আরো বলেন, এ কাজে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্যর্থ হলে তাঁদেরও ছাড়া হবে না, লাঠিপেটা করা হবে। সংগঠনের চেয়ারম্যান এভাবে উত্তেজিত ভঙ্গিতে বক্তব্য দিচ্ছিলেন এবং উপস্থিত যুবলীগ নেতা-কর্মীরা করতালি ও স্লোগান দিয়ে সমর্থন জানাচ্ছিলেন।
সমাবেশে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির কোনো স্থান নেই বাংলাদেশে। আর তাই দেশে কোনো অরাজক পরিস্থিতি হলে কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
অবশ্য ওমর ফারুকের এই বক্তব্যের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমাবেশে ছিলেন না। মহীউদ্দীন খান আলমগীর বক্তৃতা শেষ করেই 'জরুরি' কাজের কথা বলে চলে গিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমাবেশে আরো বলেছিলেন, সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় এক হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে সোমবার মতিঝিলে বিক্ষোভরত জামায়াত-শিবিরকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এর পরদিন রামপুরা ও রমনা থানা এলাকায় জামায়াতকর্মীরা আবার মিছিল বের করলে আবারও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল যুবলীগের সমাবেশে বলেন, জামায়াত-শিবিরের 'তাণ্ডব'-এর ঘটনায় পুলিশ সহনশীলতা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, 'হাতিয়ার ছিনিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ ধৈর্যচ্যুত হয়নি, কারণ তারা গণতান্ত্রিক বাহিনী।'
মন্ত্রীর এ বক্তব্যের জবাবে পরে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও বাবর বাহিনীর (সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) হাতে মার খেয়েছেন। এর পরও তিনি সহনশীল রয়েছেন। এ সহনশীলতার কথা আমাদের শোনাবেন না। এখানে পাণ্ডিত্য দেখানোর জন্য আসবেন না।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তীব্র নিন্দা করে ওমর ফারুক বলেন, 'আপনারা কি আগে খবর পাননি, জামায়াত-শিবির এ কাজ করবে? কী করেছেন? পুলিশকে মার খাইয়েছেন।' তিনি সহনশীলতা না দেখিয়ে 'মরণশীল' হওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননও পুলিশের 'সহনশীল' আচরণের সমালোচনা করেন। জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্য ঠেকাতে পাড়া-মহল্লায় 'যুব প্রতিরোধ বাহিনী' গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির কোনো স্থান নেই বাংলাদেশে। আর তাই দেশে কোনো অরাজক পরিস্থিতি হলে কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
সমাবেশে যুব মৈত্রীর সভাপতি মোস্তফা আলমগীর, জাতীয় যুব ঐক্যের সভাপতি খায়রুল আলম, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম আরিফ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুনরুক্তি : বিকেলে রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশেও একই কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির নামধারী দুর্বৃত্তদের যেখানে দেখা যাবে, সেখানেই তাদের পাকড়াও করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করুন। প্রতিটি জেলা, থানা, পাড়া ও মহল্লায় ওদের খুঁজে বের করুন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর উত্তরের সভাপতি মোবাশ্বের চৌধুরী। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাসেল স্কয়ার থেকে শুরু করে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছাড়াও জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মহিলা আওয়ামী লীগ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
ওমর ফারুক চৌধুরীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ওই সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমি তাঁর বক্তৃতা শুনিনি। সমাবেশে তিনি তাঁর মতো করে কথা বলেছেন।' তিনি আরো বলেন, 'যুবলীগ নয়, জনগণের উদ্দেশে আমি বলেছি, তারা যেন জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করে। কারণ আইনে আছে, কেউ নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে জনগণ তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে পারে।'
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাপারে ওমর ফারুক চৌধুরী গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি বক্তৃতায় কারো বিরুদ্ধাচরণ করিনি। পুলিশের কী ভূমিকা হওয়া উচিত তা-ই শুধু ব্যাখ্যা করেছি। পুলিশ বাবর-বাহিনীর সক্রিয় কর্মী কি না তা চিহ্নিত করতে বলেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও এ ধরনের কথা আমি বলতাম।'
No comments