'গাদ্দাফি আত্মহত্যা করতে পারেন'
অ্যাডলফ হিটলারের মতো শেষ পরিণতির পথ বেছে নিতে পারেন মুয়াম্মার গাদ্দাফি। এ কথা লিবিয়ার সদ্য পদত্যাগকারী আইনমন্ত্রী মুস্তাফা আবদেল জলিলের। তাঁর মতে, স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে না দিয়ে গাদ্দাফি আত্মহত্যার পথে পা বাড়াতে পারেন। সুইডেনের এঙ্প্রেশন পত্রিকাকে জলিল বলেন, 'গাদ্দাফির সময় ফুরিয়ে গেছে।
হিটলারের পথেই হাঁটছেন তিনি। আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।' পত্রিকাটি গতকাল বৃহস্পতিবার জলিলের এ কথা প্রকাশ করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিজের বাঙ্কারে আত্মহত্যা করেন হিটলার।
জলিল দাবি করেন, লকারবি বিমান হামলার ব্যাপারে গাদ্দাফি ব্যক্তিগতভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ১৯৮৮ সালে বোমা পেতে স্কটল্যান্ডের লকারবির আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বিধ্বস্ত করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন লিবীয় নাগরিক আবদেল বাসেত আলী মোহামেত আল মেগরাহি। ওই ঘটনায় ২৭০ জন নিহত হন। এ অপরাধে স্কটিশ আদালত ২০০১ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন মেগরাহিকে। জলিল বলেন, ওই হামলার ব্যাপারে গাদ্দাফির অঙ্গুলি নির্দেশের তথ্যপ্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের আগস্টে মুক্তি দেওয়া হয় মেগরাহিকে। ক্যান্সারে আক্রান্ত মেগরাহি আর মাত্র তিন মাস বাঁচবেন_এমন যুক্তি দিয়ে তাঁকে লিবিয়া সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অথচ প্রায় দেড় বছর পর এখনো তিনি বেঁচে আছেন।
এঙ্প্রেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জলিল আরো দাবি করেন, গাদ্দাফি তাঁর ৪১ বছরের মসনদ টিকিয়ে রাখতে আফ্রিকার অন্যান্য অংশ থেকে ভাড়াটে গুণ্ডা জোগাড় করেছেন। 'আমি জানি, গণ-আন্দোলন দানা বাঁধার আগ থেকেই চাদ ও নাইজার থেকে গুণ্ডাদের আনা হয়। সরকারি কয়েকটি বৈঠকে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়। আমি এ ব্যাপারে বিরোধিতা করি। এ সব কিছুর তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।' সূত্র : এএফপি, মেইল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিজের বাঙ্কারে আত্মহত্যা করেন হিটলার।
জলিল দাবি করেন, লকারবি বিমান হামলার ব্যাপারে গাদ্দাফি ব্যক্তিগতভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ১৯৮৮ সালে বোমা পেতে স্কটল্যান্ডের লকারবির আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বিধ্বস্ত করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন লিবীয় নাগরিক আবদেল বাসেত আলী মোহামেত আল মেগরাহি। ওই ঘটনায় ২৭০ জন নিহত হন। এ অপরাধে স্কটিশ আদালত ২০০১ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন মেগরাহিকে। জলিল বলেন, ওই হামলার ব্যাপারে গাদ্দাফির অঙ্গুলি নির্দেশের তথ্যপ্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের আগস্টে মুক্তি দেওয়া হয় মেগরাহিকে। ক্যান্সারে আক্রান্ত মেগরাহি আর মাত্র তিন মাস বাঁচবেন_এমন যুক্তি দিয়ে তাঁকে লিবিয়া সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অথচ প্রায় দেড় বছর পর এখনো তিনি বেঁচে আছেন।
এঙ্প্রেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জলিল আরো দাবি করেন, গাদ্দাফি তাঁর ৪১ বছরের মসনদ টিকিয়ে রাখতে আফ্রিকার অন্যান্য অংশ থেকে ভাড়াটে গুণ্ডা জোগাড় করেছেন। 'আমি জানি, গণ-আন্দোলন দানা বাঁধার আগ থেকেই চাদ ও নাইজার থেকে গুণ্ডাদের আনা হয়। সরকারি কয়েকটি বৈঠকে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়। আমি এ ব্যাপারে বিরোধিতা করি। এ সব কিছুর তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।' সূত্র : এএফপি, মেইল।
No comments