একবারের জন্যও শহীদ মিনারে যাননি ড. ইউনূস- নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বক্তারা

জাতিসংঘের রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্ক সিটির সকল বরোতে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি মজবুত করার সংকল্পে ৩১ আগস্ট রাতে (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল) ম্যানহাটানে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আজ পর্যন্ত একদিনও ড. মুহম্মদ ইউনূসকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কিংবা শহীদ মিনারে দেখা যায়নি।


বাংলাদেশের জাতীয় কোন সমস্যায় তিনি এগিয়ে এসেছেন বলে কেউ জানেন না।’ যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও মহানগর আ’লীগ সভাপতি নূরনবী এ সময় আরও বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের পক্ষেও একটি বাক্য উচ্চারণ করেননি ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাহলে তিনি কী চান?’ আরেকজন বক্তা অভিযোগ করেন যে, শ’ শ’ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়ে নোবেল পুরষ্কার নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তা না হলে সুদখোরকে কীভাবে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়েছে-এ প্রশ্নও করেছেন কয়েক বক্তা। তারা বলেন, শান্তিতে নোবেল পাবার একমাত্র যোগ্য হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সমাবেশের বক্তারা আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, ‘একাত্তরের ঘাতক গোলাম আযম-নিজামী-মুজাহিদের বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে আওয়ামী লীগের খবর আছে। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদেরকেও ওরা বাঁচতে দেবে না। তাই সামনের নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ ম্যানহাটান বরো আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট নির্মাণ ব্যবসায়ী ফজলুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনু্িষ্ঠত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে নিউইয়র্ক মহানগর আ’লীগের সভাপতি নূরনবী কমান্ডার এবং সিনিয়র সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকারিয়া চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুর রহমান চৌধুরী। ম্যানহাটান বরো কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক মহানগর আ’লীগের প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট নির্মাণ ব্যবসায়ী এন আমিন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডিএনসি মেম্বার খোরশেদ খন্দকার, সহসভাপতি হাজী মফিজুর রহমান, সন্দ্বীপ আ’লীগের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম, ব্রুকলীন বরো আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল জলিল, কক্সবাজার আ’লীগের সদস্য কমরউদ্দিন, নিউইয়র্ক স্টেট আ’লীগের উপদেষ্টা এ বি সিদ্দিক এবং সেক্রেটারি শাহীন আজমল, মহানগর আ’লীগের মহিলা সম্পাদক মোর্শেদা কাকন, উপপ্রচার সম্পাদক সুব্রত তালুকদার, চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড ইউনিটের সভাপতি ইসমত হক খোকন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নূরনবী কমান্ডার তাঁর বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বহু বছরের গোলযোগের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। শান্তির স্বার্থে তিনি আরও বহু পদক্ষেপ নিয়েছেন। শেখ হাসিনার শান্তির সংস্কৃতি আজ জাতিসংঘে রেজ্যুলেশন আকারে গৃহীত হয়েছে। তাই নোবেল শান্তি পুরস্কার তাঁরই প্রাপ্য ছিল। অথচ দেয়া হয়েছে সুদখোর মহাজনকে। নবী কমান্ডার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, তা না হলে হায়েনার দল আবারো ছোবল মারবে।
জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, ‘নিউইয়র্কে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হবে। নিউইয়র্কের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি-এ ব্যাপারটিকে নেত্রীর সামনে আরো জাগ্রত রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জননেত্রীর জাতিসংঘ সফরের সময় বিএনপি-জামায়াত জোটের যে কোন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আ’লীগের সকলকে ঐক্য গড়তে হবে।’ তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্ক সিটিতে মুজিব আদর্শের একজন প্রবাসী বেঁচে থাকতেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কর্মসূচী কাউকে বাধাগ্রস্ত করতে দেব না। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্যে নিউইয়র্কে অবস্থানকালে আমরা শত-সহস্র নেতাকর্মী তাঁর আশপাশে থাকব এবং জাতিসংঘের সামনে শান্তি সমাবেশ করে শেখ হাসিনা যে শান্তির প্রবক্তা তার জানান দেব আন্তর্জাতিক মহলে।’
সেক্রেটারি ইমদাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এখন জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির। তাই বিএনপি-জামায়াত উভয়কেই প্রতিহত করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে।’

No comments

Powered by Blogger.