লবণ সিন্ডিকেট অদ্ভুত এক তদন্ত রিপোর্ট!- ০ ৩ টাকার লবণ বিক্রি হয় ৩৫ টাকায়। অথচ রিপোর্টে কাউকে দায়ী করা হয়নি -০ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নাম ছাড়াই রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে by মিজান চৌধুরী
লবণ সিন্ডিকেট দোষীদের বাদ দিয়েই সরকারের তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করা হলো! বৃহস্পতিবার কমিটি ওই রিপোর্ট বাণিজ্য সচিবের কাছে জমা দিয়েছে। কিন্তু তদন্ত রিপোর্টে কাউকে দোষী হিসাবে শনাক্ত করা হয়নি। যদিও তিন টাকা দরে আমদানিকৃত লবণ ৩৫ টাকায় বিক্রি করে বাজার অস্থির করে তোলে একটি চক্র।
সরকারকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বাজার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে যায়। আমদানির পর কাঁচা লবণও বিক্রির অভিযোগ উঠে ওই চক্রের বিরুদ্ধে। বাধ্য হয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দোষীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
সর্বশেষ তথ্যমতে, তদন্ত কমিটি প্রথম তিন কার্যদিবস এবং পরবর্তী আরও সাত কর্মদিবস নিয়ে অনুসন্ধান করে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে বানিজ্য সচিব গোলাম হোসেনের নিকট। সংশ্লিষ্ট সূত্রে ওই প্রতিবেদনে কাউকে এর জন্য দায়ী বা শনাক্ত করা হয়নি। ফলে লবণের বাজার অস্থির, ক্রেতার পকেট কাটা ও নামমাত্র মূল্যে আমদানি করে বেশিতে বিক্রির পরও পার পেয়ে যাচ্ছে সরকারের ওই রিপোর্টে।
জানা গেছে ওই তদন্ত রিপোর্টে লবণ উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের নগদ সহায়তা দেয়া, ডিসেম্বর থেকে মে পর্যন্ত লবণ আমদানির অনুমতি না দেয়া, সেপ্টেম্বরের দিকে প্রয়োজন হলে লবণ আমদানির অনুমতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ৩ টাকা দরে লবণ আমদানি করে কারা ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করল, লবণের মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী কারা, কোন কোন কোম্পানি কাঁচা লবণ বিক্রি করেছে এসব বিষয়ে কোন তথ্য তদন্ত প্রতিবেদনে আসেনি।
এ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটির প্রধান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ওয়াদুদ হোসেন জনকণ্ঠকে জানান, তদন্ত নয় আমাকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। টিওআরে (টার্মস অব কন্ডিশন) যে সব শর্তে দেয়া হয়েছে সেখানে কাঁচা লবণ আমদানি করে বিক্রি করে দেয়ার বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়নি। সেখানে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি। ফলে তদন্ত হবে কিসের জন্য। তদন্ত তখনই করা হবে যখন কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে। তার দেয়া প্রতিবেদনে কারও নাম আসেনি এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অথচ বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন তদন্ত কমিটি গঠনের আগে সংবাদ মাধ্যমে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, লবণের বাজার যারা অস্থির করেছে, যারা কাঁচা লবণ দেশে এনে বিক্রি করেছে, যারা দাম বাড়িয়েছে এসব বিষয় দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেনের সঙ্গে শনিবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে জানান, রিপোর্টটি আমার কাছে জমা দিয়েছে। আমি এখনও পড়ার সুযোগ পাইনি। আমি রিপোর্টটি পড়ব। এটি জনসম্মুখে প্রকাশ করার কথা ছিল, তা করা হবে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব বলেনÑ হ্যাঁ, রিপোর্টটি প্রকাশ করা হবে।
লবণ নিয়ে শুরু থেকে একটি চক্র ফায়দা লুটে নেয়। সঙ্কট দেখিয়ে লবণের দাম আকাশচুম্বী করে দেয়। বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকার লবণ আমদানি উন্মুক্ত করে দেয়। পহেলা জুন থেকে এক মাসের সময় বেঁধে দিয়ে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। লবণের এ ঘাটতির বিষয়টি মাথায় রেখে গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এক মাসের জন্য অপরিশোধিত লবণ আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর দাম কমাতে পরিশোধিত লবণ আমদানির সুযোগ দেয়ার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সূত্র মতে, এ পর্যন্ত দেশে এক লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন কাঁচা লবণ ও ৬০ হাজার টন ফিনিশড লবণ আমদানি হয়েছে। এ বিপুল পরিমাণ আমদানির পরও বাজারে কোন প্রভাব দেখা যায়নি।
পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুসন্ধানে দেখতে পায়, আড়াই টাকা দরে প্রতিকেজি কাঁচা লবণ বিদেশ থেকে আমদানি করলেও দেশে এনে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। আর যারা দশ টাকা দরে কাঁচা লবণ ক্রয় করছে ফিনিশড করে তারা ৩৫ টাকা দরে খুচরা বাজারে বিক্রি করছে। যে কারণে সরকার মূল্য কমানোর জন্য আমদানি উন্মুক্ত করলেও কার্যত কোন সুফল বয়ে আনেনি। এছাড়া অভিযোগ উঠেছে, একাধিক প্রতিষ্ঠান কাঁচা লবণ আমদানির পর ফিনিশড না করে বিক্রি করে দিয়েছে।
লবণের বাজার অস্থিরতার নেপথ্যে তিনটি শীর্ষ কোম্পানির নাম চলে আসে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লবণ মিল মালিক ওই তিন কোম্পানির নাম মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রকাশ করেছে। শুধু তাই নয়, ওই তিন কোম্পানির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ বিশ্ববাজারে যাদের নিকট থেকে লবণ ক্রয় করেছে তাদের উল্টো শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশের অন্য কোন কোম্পানির নিকট লবণ বিক্রি না করার জন্য। এতে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকার লবণ আমদানি উন্মুক্ত করলেও অনেক সাধারণ কোম্পানি লবণ আমদানি করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমদানির বাজার কুক্ষিগত করে সিন্ডিকেট চক্র লবণ এনেই বিক্রি করছে। ফিনিশড করার প্রয়োজন মনে করেনি।
এসব পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে তিন দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়। প্রথম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিটি কাজ শেষ করতে পারেনি। পরে আরও সাত দিন সময় বাড়ানো হয়। গত বৃহস্পতিবার কমিটি তদন্ত রিপোর্টটি বাণিজ্য সচিবের নিকট জমা দিয়েছে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, তদন্ত কমিটি প্রথম তিন কার্যদিবস এবং পরবর্তী আরও সাত কর্মদিবস নিয়ে অনুসন্ধান করে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে বানিজ্য সচিব গোলাম হোসেনের নিকট। সংশ্লিষ্ট সূত্রে ওই প্রতিবেদনে কাউকে এর জন্য দায়ী বা শনাক্ত করা হয়নি। ফলে লবণের বাজার অস্থির, ক্রেতার পকেট কাটা ও নামমাত্র মূল্যে আমদানি করে বেশিতে বিক্রির পরও পার পেয়ে যাচ্ছে সরকারের ওই রিপোর্টে।
জানা গেছে ওই তদন্ত রিপোর্টে লবণ উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের নগদ সহায়তা দেয়া, ডিসেম্বর থেকে মে পর্যন্ত লবণ আমদানির অনুমতি না দেয়া, সেপ্টেম্বরের দিকে প্রয়োজন হলে লবণ আমদানির অনুমতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ৩ টাকা দরে লবণ আমদানি করে কারা ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করল, লবণের মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী কারা, কোন কোন কোম্পানি কাঁচা লবণ বিক্রি করেছে এসব বিষয়ে কোন তথ্য তদন্ত প্রতিবেদনে আসেনি।
এ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটির প্রধান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ওয়াদুদ হোসেন জনকণ্ঠকে জানান, তদন্ত নয় আমাকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। টিওআরে (টার্মস অব কন্ডিশন) যে সব শর্তে দেয়া হয়েছে সেখানে কাঁচা লবণ আমদানি করে বিক্রি করে দেয়ার বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়নি। সেখানে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি। ফলে তদন্ত হবে কিসের জন্য। তদন্ত তখনই করা হবে যখন কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে। তার দেয়া প্রতিবেদনে কারও নাম আসেনি এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অথচ বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন তদন্ত কমিটি গঠনের আগে সংবাদ মাধ্যমে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, লবণের বাজার যারা অস্থির করেছে, যারা কাঁচা লবণ দেশে এনে বিক্রি করেছে, যারা দাম বাড়িয়েছে এসব বিষয় দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেনের সঙ্গে শনিবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে জানান, রিপোর্টটি আমার কাছে জমা দিয়েছে। আমি এখনও পড়ার সুযোগ পাইনি। আমি রিপোর্টটি পড়ব। এটি জনসম্মুখে প্রকাশ করার কথা ছিল, তা করা হবে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব বলেনÑ হ্যাঁ, রিপোর্টটি প্রকাশ করা হবে।
লবণ নিয়ে শুরু থেকে একটি চক্র ফায়দা লুটে নেয়। সঙ্কট দেখিয়ে লবণের দাম আকাশচুম্বী করে দেয়। বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকার লবণ আমদানি উন্মুক্ত করে দেয়। পহেলা জুন থেকে এক মাসের সময় বেঁধে দিয়ে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। লবণের এ ঘাটতির বিষয়টি মাথায় রেখে গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এক মাসের জন্য অপরিশোধিত লবণ আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর দাম কমাতে পরিশোধিত লবণ আমদানির সুযোগ দেয়ার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সূত্র মতে, এ পর্যন্ত দেশে এক লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন কাঁচা লবণ ও ৬০ হাজার টন ফিনিশড লবণ আমদানি হয়েছে। এ বিপুল পরিমাণ আমদানির পরও বাজারে কোন প্রভাব দেখা যায়নি।
পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুসন্ধানে দেখতে পায়, আড়াই টাকা দরে প্রতিকেজি কাঁচা লবণ বিদেশ থেকে আমদানি করলেও দেশে এনে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। আর যারা দশ টাকা দরে কাঁচা লবণ ক্রয় করছে ফিনিশড করে তারা ৩৫ টাকা দরে খুচরা বাজারে বিক্রি করছে। যে কারণে সরকার মূল্য কমানোর জন্য আমদানি উন্মুক্ত করলেও কার্যত কোন সুফল বয়ে আনেনি। এছাড়া অভিযোগ উঠেছে, একাধিক প্রতিষ্ঠান কাঁচা লবণ আমদানির পর ফিনিশড না করে বিক্রি করে দিয়েছে।
লবণের বাজার অস্থিরতার নেপথ্যে তিনটি শীর্ষ কোম্পানির নাম চলে আসে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লবণ মিল মালিক ওই তিন কোম্পানির নাম মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রকাশ করেছে। শুধু তাই নয়, ওই তিন কোম্পানির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ বিশ্ববাজারে যাদের নিকট থেকে লবণ ক্রয় করেছে তাদের উল্টো শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশের অন্য কোন কোম্পানির নিকট লবণ বিক্রি না করার জন্য। এতে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকার লবণ আমদানি উন্মুক্ত করলেও অনেক সাধারণ কোম্পানি লবণ আমদানি করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমদানির বাজার কুক্ষিগত করে সিন্ডিকেট চক্র লবণ এনেই বিক্রি করছে। ফিনিশড করার প্রয়োজন মনে করেনি।
এসব পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে তিন দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়। প্রথম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিটি কাজ শেষ করতে পারেনি। পরে আরও সাত দিন সময় বাড়ানো হয়। গত বৃহস্পতিবার কমিটি তদন্ত রিপোর্টটি বাণিজ্য সচিবের নিকট জমা দিয়েছে।
No comments