হজযাত্রায় অনিশ্চয়তা-থার্ড ক্যারিয়ার নেই, পর্যাপ্ত স্লট মেলেনি
উড়োজাহাজ সংকট না থাকা সত্ত্বেও বিমান ও সাউদিয়া গত বছর প্রায় ১১ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করতে পারেনি। তবে থার্ড ক্যারিয়ার (তৃতীয় বিমান সংস্থা) উন্মুক্ত থাকায় গতবার ওই হজযাত্রীদের জেদ্দায় পৌঁছাতে সমস্যা হয়নি। এবার থার্ড ক্যারিয়ার রাখা হয়নি।
তাই এ বছর বিমান, সাউদিয়া ও নাস এয়ারের কয়েক হাজার হজযাত্রীর হজে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বিমানের উড়োজাহাজ সংকট এবং স্লট কম হওয়ায় এবার হজযাত্রীদের ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর মালিকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সেক্রেটারি এম এ রশিদ শাহ সম্রাট কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বছর হজযাত্রীদের জন্য থার্ড ক্যারিয়ার ওপেন না হওয়ায় অনেক হজযাত্রীর হজে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা রয়েছে। পর্যাপ্ত এয়ারক্রাফট না থাকায়ও বিমানের পক্ষে ৫৬ হাজার হজযাত্রী পরিবহন ঝুঁকিপূর্ণ।
জানা গেছে, জেদ্দা আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে হজের সময় অস্বাভাবিক রকম ট্রাফিক জ্যাম থাকে। লোড-আনলোড করতে অনেক সময় লেগে যায়। এ কারণেও ফ্লাইট শিডিউল ভেঙে পড়ে। সময় মতো জেদ্দা বিমানবন্দরে ফ্লাইট পৌঁছাতে না পারলে ওই স্লট বাতিল হয়ে যায়।
এবার বিমান ৫৬ হাজার, সৌদিয়া ৪০ হাজার ও নাস এয়ারলাইন্সে ১৬ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করার কথা। বিমান ও সৌদিয়ার মাধ্যমে প্রায় ১৬ হাজার হজযাত্রী পরিবহনে সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
হজযাত্রী পরিবহনে বিমান এ বছর ১৩০টি স্লটের জন্য সৌদি সরকারের কাছে আবেদন করে পেয়েছে ১১০টি। অবশিষ্ট ২০টি স্লট প্রাপ্তির ব্যাপারটি এখনো নিশ্চিত হয়নি। প্রতিটি ফ্লাইটে গড়ে ৪০০ জন পরিবহন করা হলেও ১১০টি স্লটে নেওয়া যাবে মোট ৪৪ হাজার হজযাত্রী। বিমানের পক্ষে বাকি ১২ হাজার হজযাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে না। তবে বিমান কর্তৃপক্ষ আশা করছে, অবশিষ্ট ২০টি স্লট তারা পেয়ে যাবে। তা পেলেও বিমানের চার থেকে পাঁচ হাজার হজযাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা থাকছে না।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস এবং নাস এয়ারের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী হজ ফ্লাইট সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিমানের একজন পরিচালক জানান, হজ ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখতে এবার নিয়মিত ফ্লাইটে কিছুটা কাটছাঁট করা হতে পারে। হজ ফ্লাইট শিডিউলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেবে না বলেও জানান বিমানের ওই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে ১৬ হাজার হজযাত্রী পরিবহন নিয়ে নাস এয়ার ও সৌদিয়ার মধ্যে রশি টানাটানির কারণে এসব হজযাত্রীর হজে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা করছে হজ এজেন্সিগুলো। সূত্র জানায়, এবার সরকার সৌদিয়াকে ৫৬ হাজার যাত্রী পরিবহনের দায়িত্ব দেয়। ওই ৫৬ হাজারের মধ্যে নাস এয়ারকে ১৬ হাজার যাত্রী পরিবহনের প্রস্তাব দেয় সৌদিয়া। কিন্তু নাস ৩০ হাজার পরিবহনের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি এখন সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিষ্পত্তি করবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিমানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ অচিরেই এ বিষয়ে সমাধান দেবে।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে।
এবারও বিপজ্জনক এয়ার ক্রাফট : এবার হজযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিমানের বহরে যুক্ত হচ্ছে ডিসি-১০ এয়ার ক্রাফট। এটি ৪০ বছরের পুরনো, যা স্থান পেয়েছে জাদুঘরে। যান্ত্রিক গোলযোগে যেকোনো সময় ডিসি-১০-এর বসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত হজ মৌসুমে যান্ত্রিক গোলযোগে সাতটি ফ্লাইট মিস হয়েছিল।
বিমানের উড়োজাহাজ সংকট এবং স্লট কম হওয়ায় এবার হজযাত্রীদের ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর মালিকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সেক্রেটারি এম এ রশিদ শাহ সম্রাট কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বছর হজযাত্রীদের জন্য থার্ড ক্যারিয়ার ওপেন না হওয়ায় অনেক হজযাত্রীর হজে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা রয়েছে। পর্যাপ্ত এয়ারক্রাফট না থাকায়ও বিমানের পক্ষে ৫৬ হাজার হজযাত্রী পরিবহন ঝুঁকিপূর্ণ।
জানা গেছে, জেদ্দা আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে হজের সময় অস্বাভাবিক রকম ট্রাফিক জ্যাম থাকে। লোড-আনলোড করতে অনেক সময় লেগে যায়। এ কারণেও ফ্লাইট শিডিউল ভেঙে পড়ে। সময় মতো জেদ্দা বিমানবন্দরে ফ্লাইট পৌঁছাতে না পারলে ওই স্লট বাতিল হয়ে যায়।
এবার বিমান ৫৬ হাজার, সৌদিয়া ৪০ হাজার ও নাস এয়ারলাইন্সে ১৬ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করার কথা। বিমান ও সৌদিয়ার মাধ্যমে প্রায় ১৬ হাজার হজযাত্রী পরিবহনে সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
হজযাত্রী পরিবহনে বিমান এ বছর ১৩০টি স্লটের জন্য সৌদি সরকারের কাছে আবেদন করে পেয়েছে ১১০টি। অবশিষ্ট ২০টি স্লট প্রাপ্তির ব্যাপারটি এখনো নিশ্চিত হয়নি। প্রতিটি ফ্লাইটে গড়ে ৪০০ জন পরিবহন করা হলেও ১১০টি স্লটে নেওয়া যাবে মোট ৪৪ হাজার হজযাত্রী। বিমানের পক্ষে বাকি ১২ হাজার হজযাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে না। তবে বিমান কর্তৃপক্ষ আশা করছে, অবশিষ্ট ২০টি স্লট তারা পেয়ে যাবে। তা পেলেও বিমানের চার থেকে পাঁচ হাজার হজযাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা থাকছে না।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস এবং নাস এয়ারের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী হজ ফ্লাইট সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিমানের একজন পরিচালক জানান, হজ ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখতে এবার নিয়মিত ফ্লাইটে কিছুটা কাটছাঁট করা হতে পারে। হজ ফ্লাইট শিডিউলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেবে না বলেও জানান বিমানের ওই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে ১৬ হাজার হজযাত্রী পরিবহন নিয়ে নাস এয়ার ও সৌদিয়ার মধ্যে রশি টানাটানির কারণে এসব হজযাত্রীর হজে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা করছে হজ এজেন্সিগুলো। সূত্র জানায়, এবার সরকার সৌদিয়াকে ৫৬ হাজার যাত্রী পরিবহনের দায়িত্ব দেয়। ওই ৫৬ হাজারের মধ্যে নাস এয়ারকে ১৬ হাজার যাত্রী পরিবহনের প্রস্তাব দেয় সৌদিয়া। কিন্তু নাস ৩০ হাজার পরিবহনের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি এখন সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিষ্পত্তি করবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিমানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ অচিরেই এ বিষয়ে সমাধান দেবে।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে।
এবারও বিপজ্জনক এয়ার ক্রাফট : এবার হজযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিমানের বহরে যুক্ত হচ্ছে ডিসি-১০ এয়ার ক্রাফট। এটি ৪০ বছরের পুরনো, যা স্থান পেয়েছে জাদুঘরে। যান্ত্রিক গোলযোগে যেকোনো সময় ডিসি-১০-এর বসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত হজ মৌসুমে যান্ত্রিক গোলযোগে সাতটি ফ্লাইট মিস হয়েছিল।
No comments