১৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১১টির এক্স-রে যন্ত্র অকেজো by সাইফুল হক মোল্লা

কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে ১১টির এক্স-রে যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। আর একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন এক্স-রে যন্ত্র বাক্সবন্দী অবস্থায় পড়ে আছে ২০০৫ সাল থেকে। এতে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।


কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে যন্ত্রটি ২০০৯ সালের জুন থেকে, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যন্ত্রটি ২০১০ সালের ২২ জুলাই থেকে, হোসেনপুর ও তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে যন্ত্র ২০১০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে, ইটনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে যন্ত্র ২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে, নিকলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে যন্ত্র ২০০৮ সালের ৮ আগস্ট থেকে, ভৈরবের দুটি এক্স-রে যন্ত্রের মধ্যে একটি ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে, বাজিতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে যন্ত্র ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল থেকে, কটিয়াদীর এক্স-রে যন্ত্র ২০১০ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ও পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে যন্ত্রটি ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। অষ্টগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যন্ত্রটি বছর দশেক আগে বিকল হয়ে পড়ার পর থেকে সেখানে এক্স-রে সেবা বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে ২০০৫ সালে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন এক্স-রে যন্ত্র নেওয়া হলেও সেটি চালুই করা হয়নি।
বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়, এক্স-রে যন্ত্রগুলো সচল না থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য রোগী এক্স-রে করাতে পারছেন না। তাই দরিদ্র রোগীদের বেশি অর্থ খরচ করে বেসরকারি রোগনির্ণয়কেন্দ্র থেকে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। এতে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একাধিক চিকিৎসক বলেন, এক্স-রে সুবিধা না থাকায় রোগ নির্ণয় করে ব্যবস্থাপত্র দিতে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
মিঠামইনের বাসিন্দা শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে মিঠামইন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট থাকায় তাঁকে বাধ্য হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে যেতে হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন হোসাইন সারোয়ার খান বলেন, অকেজো এক্স-রে যন্ত্রগুলো সচল করার জন্য একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই সবগুলো যন্ত্র সচল হবে বলে তিনি আশা করছেন।

No comments

Powered by Blogger.