‘ডাকিনী’ বিধবাদের নির্বাসিত জীবন
ডাকিনীবিদ্যা চর্চার অভিযোগ এনে নির্দোষ মানুষকে নির্যাতনের বিষয়টি ইতিহাসে অনেক পুরোনো। ঘানার বিধবা নারীদের অনেকে এ রকম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এখনো। তাঁদের ‘ডাইনি’ আখ্যা দিয়ে সমাজচ্যুত করা হচ্ছে। দেশটির জনবিচ্ছিন্ন বিভিন্ন এলাকায় তাঁদের জন্য গড়ে উঠেছে নির্বাসিত ‘ডাকিনী’ বিধবাদের ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্র (ক্যাম্প)।
পশ্চিম আফ্রিকার বৃক্ষহীন তৃণভূমি এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত গ্রামগুলোতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই এর পেছনে ডাকিনীদের যোগসাজশ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। ডাকিনী বলে চিহ্নিত নারীকে মেনে নিতে হয় মারধর, নির্যাতন এমনকি মৃত্যুদণ্ডের মতো সর্বোচ্চ শাস্তি।
ঘানার উত্তরাঞ্চলে গড়ে ওঠা ডাকিনীদের ক্যাম্পগুলো অন্তত ১০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে। স্থানীয় গোত্রপ্রধানেরা বিশেষ ক্ষমতাবলে ডাকিনী অভিযুক্তদের সাজা কমিয়ে এসব ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেন। নির্যাতন থেকে রক্ষা পেলেও ক্যাম্পগুলোতে গিয়ে ওই নারীদের মানবেতর জীবন কাটাতে হয়। সেখানে বিদ্যুতের কথা কল্পনাও করা যায় না। ঘরের ছাদে রয়েছে ফুটো। পানির জন্য প্রতিদিন তিন কিলোমিটার দূরের একটি নদীতে যেতে হয়। এসব ক্যাম্পে বসবাস করছেন অন্তত এক হাজার নারী। বেঁচে থাকার জন্য তাঁদের বেছে নিতে হয় জ্বালানি কাঠ কুড়ানো, চিনাবাদাম বিক্রি করে অথবা স্থানীয় খামারে শ্রম দেওয়ার মতো বিভিন্ন কাজ।
ক্যাম্প থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের বালি নামের একটি গ্রামে থাকতেন বৃদ্ধা সামাতা। জীবনের বিগত বছরগুলো কেটেছে নাতি-নাতনিদের দেখাশোনা করে। তাঁর মেয়ে মাঠে কাজ করতেন। মোটামুটি ভালোই কেটে যাচ্ছিল দিনগুলো। কিন্তু হঠাৎ একদিন গ্রামের একটি ছোট মেয়ের মৃত্যুর জন্য সামাতাকে দায়ী করে গ্রামবাসী। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকিনীবিদ্যার অভিযোগ আনা হয়। একই ক্যাম্পে থাকেন সামাতার ছোট বোন ৫২ বছর বয়সী সাফিয়া। তাঁদের মা ও দাদিকেও একই অভিযোগে নির্বাসিত করা হয়েছিল। সাফিয়া বলেন, তাঁরা কেউ ডাইনি নন, ঘৃণা ও বিদ্বেষের শিকার।
ঘানার উত্তরাঞ্চলে বন্যা, ঝড়, খরা প্রভৃতি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানুষের অসুখ-বিসুখের জন্যও ডাকিনীদের দায়ী করা হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সহযোগিতা সংস্থা অ্যাকশন এআইডির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘানার কুকুও ক্যাম্পের ৭০ শতাংশ নারী নিজ নিজ স্বামীর মৃত্যুর পর নির্বাসিত হয়েছেন। এসব বিধবার সম্পত্তি দখলের জন্যই তাঁদের ডাকিনীর অপবাদ দেওয়া হয়। বিবিসি।
ঘানার উত্তরাঞ্চলে গড়ে ওঠা ডাকিনীদের ক্যাম্পগুলো অন্তত ১০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে। স্থানীয় গোত্রপ্রধানেরা বিশেষ ক্ষমতাবলে ডাকিনী অভিযুক্তদের সাজা কমিয়ে এসব ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেন। নির্যাতন থেকে রক্ষা পেলেও ক্যাম্পগুলোতে গিয়ে ওই নারীদের মানবেতর জীবন কাটাতে হয়। সেখানে বিদ্যুতের কথা কল্পনাও করা যায় না। ঘরের ছাদে রয়েছে ফুটো। পানির জন্য প্রতিদিন তিন কিলোমিটার দূরের একটি নদীতে যেতে হয়। এসব ক্যাম্পে বসবাস করছেন অন্তত এক হাজার নারী। বেঁচে থাকার জন্য তাঁদের বেছে নিতে হয় জ্বালানি কাঠ কুড়ানো, চিনাবাদাম বিক্রি করে অথবা স্থানীয় খামারে শ্রম দেওয়ার মতো বিভিন্ন কাজ।
ক্যাম্প থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের বালি নামের একটি গ্রামে থাকতেন বৃদ্ধা সামাতা। জীবনের বিগত বছরগুলো কেটেছে নাতি-নাতনিদের দেখাশোনা করে। তাঁর মেয়ে মাঠে কাজ করতেন। মোটামুটি ভালোই কেটে যাচ্ছিল দিনগুলো। কিন্তু হঠাৎ একদিন গ্রামের একটি ছোট মেয়ের মৃত্যুর জন্য সামাতাকে দায়ী করে গ্রামবাসী। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকিনীবিদ্যার অভিযোগ আনা হয়। একই ক্যাম্পে থাকেন সামাতার ছোট বোন ৫২ বছর বয়সী সাফিয়া। তাঁদের মা ও দাদিকেও একই অভিযোগে নির্বাসিত করা হয়েছিল। সাফিয়া বলেন, তাঁরা কেউ ডাইনি নন, ঘৃণা ও বিদ্বেষের শিকার।
ঘানার উত্তরাঞ্চলে বন্যা, ঝড়, খরা প্রভৃতি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানুষের অসুখ-বিসুখের জন্যও ডাকিনীদের দায়ী করা হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সহযোগিতা সংস্থা অ্যাকশন এআইডির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘানার কুকুও ক্যাম্পের ৭০ শতাংশ নারী নিজ নিজ স্বামীর মৃত্যুর পর নির্বাসিত হয়েছেন। এসব বিধবার সম্পত্তি দখলের জন্যই তাঁদের ডাকিনীর অপবাদ দেওয়া হয়। বিবিসি।
No comments