র্যাংকসটেল, ওয়ার্ল্ডটেল ও ন্যাশনাল ফোনকে আবার সেবা চালুর অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) -ব্যবসায় ফিরেছে তিন পিএসটিএন কোম্পানি
প্রায় দেড় বছর পর ব্যবসায় ফিরেছে পাবলিক সুইচ্ড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন) সেবাদাতা তিনটি প্রতিষ্ঠান। র্যাংকসটেল, ওয়ার্ল্ডটেল ও ন্যাশনাল ফোনকে আবার সেবা চালুর অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
লাইসেন্স বাতিলের বিপক্ষে করা মামলা প্রত্যাহার এবং বকেয়া পরিশোধে সম্মত হওয়ায় বিটিআরসি ওই তিন কোম্পানিকে লাইসেন্স ফিরিয়ে দিয়েছে। শর্ত হিসেবে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে কখনো আদালতে না যাওয়া এবং কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি না করার অঙ্গীকারনামাও তাদের দিতে হবে।
অবৈধভাবে বিদেশি কল আদান-প্রদানের অভিযোগে ২০১০ সালের মার্চে বিটিআরসি পাঁচ পিএসটিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
ইতিমধ্যে র্যাংকসটেল তাদের বন্ধ সুইচরুম খুলে সেবা চালু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের মাসে গড়ে ক্ষতি হয়েছে ছয় কোটি টাকা।
বন্ধ হওয়ার আগে ২০১০ সালে র্যাংকসটেলের গ্রাহক ছিল তিন লাখের মতো। আবার চালু হওয়ার পর এক-দেড় মাসে ২৫ হাজার গ্রাহক তৈরি হয়েছে বলে জানান র্যাংকসটেলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এ কে শামসুদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বছরের জুলাইয়ে কার্যক্রম চালুর অনুমতি পেলেও যন্ত্রপাতি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কিছুটা সময় লেগেছে। এ ছাড়া, মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আন্তসংযোগে নতুন করে চুক্তি করতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, পিএসটিএন কল ট্যারিফের ন্যূনতম সীমা কমিয়ে আনায় সুস্থ প্রতিযোগিতার সুযোগ হয়েছে। ফলে গ্রাহক আকর্ষণের সম্ভাবনাও বেড়েছে।
ওয়ার্ল্ডটেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে তাঁদের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে সেবা চালু করা সম্ভব হবে।
ন্যাশনাল ফোনও পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক দিনের বিনিয়োগ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বিষয়টি বিবেচনা করে তিনটির লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ঢাকা ফোন ও পিপলস টেল—এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে এখনো কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আরও ছয়টি তুলনামূলকভাবে ছোট প্রতিষ্ঠানের পিএসটিএন-সেবা বর্তমানে চালু রয়েছে।
পিএসটিএন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাপবের এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে সম্প্রতি প্রথম আলোকে তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশি পিএসটিএন কোম্পানিগুলোকে ‘অভিন্ন লাইসেন্স’ দেওয়ার মাধ্যমে ল্যান্ডফোনসহ সব ধরনের টেলিফোন-সেবার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিভিন্ন সরকার। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ ছাড়া, পিএসটিএন লাইসেন্সের আওতায় থ্রি বা ফোরজির সার্ভিস দেওয়ার অনুমতি প্রদান, আন্তসংযোগের ক্ষেত্রে ‘সেন্ডার কিপ অল’ ফর্মুলা অনুসরণ এবং ইতিপূর্বে এ বাবদ অপারেটরদের দেওয়া অর্থ ফেরতের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ এসব অভিযোগ ও দাবিদাওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
অবৈধভাবে বিদেশি কল আদান-প্রদানের অভিযোগে ২০১০ সালের মার্চে বিটিআরসি পাঁচ পিএসটিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
ইতিমধ্যে র্যাংকসটেল তাদের বন্ধ সুইচরুম খুলে সেবা চালু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের মাসে গড়ে ক্ষতি হয়েছে ছয় কোটি টাকা।
বন্ধ হওয়ার আগে ২০১০ সালে র্যাংকসটেলের গ্রাহক ছিল তিন লাখের মতো। আবার চালু হওয়ার পর এক-দেড় মাসে ২৫ হাজার গ্রাহক তৈরি হয়েছে বলে জানান র্যাংকসটেলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এ কে শামসুদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বছরের জুলাইয়ে কার্যক্রম চালুর অনুমতি পেলেও যন্ত্রপাতি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কিছুটা সময় লেগেছে। এ ছাড়া, মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আন্তসংযোগে নতুন করে চুক্তি করতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, পিএসটিএন কল ট্যারিফের ন্যূনতম সীমা কমিয়ে আনায় সুস্থ প্রতিযোগিতার সুযোগ হয়েছে। ফলে গ্রাহক আকর্ষণের সম্ভাবনাও বেড়েছে।
ওয়ার্ল্ডটেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে তাঁদের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে সেবা চালু করা সম্ভব হবে।
ন্যাশনাল ফোনও পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক দিনের বিনিয়োগ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বিষয়টি বিবেচনা করে তিনটির লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ঢাকা ফোন ও পিপলস টেল—এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে এখনো কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আরও ছয়টি তুলনামূলকভাবে ছোট প্রতিষ্ঠানের পিএসটিএন-সেবা বর্তমানে চালু রয়েছে।
পিএসটিএন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাপবের এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে সম্প্রতি প্রথম আলোকে তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশি পিএসটিএন কোম্পানিগুলোকে ‘অভিন্ন লাইসেন্স’ দেওয়ার মাধ্যমে ল্যান্ডফোনসহ সব ধরনের টেলিফোন-সেবার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিভিন্ন সরকার। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ ছাড়া, পিএসটিএন লাইসেন্সের আওতায় থ্রি বা ফোরজির সার্ভিস দেওয়ার অনুমতি প্রদান, আন্তসংযোগের ক্ষেত্রে ‘সেন্ডার কিপ অল’ ফর্মুলা অনুসরণ এবং ইতিপূর্বে এ বাবদ অপারেটরদের দেওয়া অর্থ ফেরতের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ এসব অভিযোগ ও দাবিদাওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
No comments