ঘোষণাপত্র গ্রহণের মাধ্যমে ন্যাম সম্মেলন শেষ- বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ইরানের রাজধানী তেহরানে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৬তম শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করে চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুক্রবার এ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
১৬তম সম্মেলনের চেয়ারম্যান ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রের অংশবিশেষ পড়ে শোনান। এ সময় তিনি বলেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ন্যামের মূলনীতি ও লক্ষ্যের প্রতি সর্বসম্মতভাবে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও বলেন, অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ব পরিচালনা এবং বিশ্বের সামষ্টিক ব্যবস্থাপনায় ‘মৌলিক পরিবর্তন’ আনতে আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগুলো হচ্ছে পূর্বশর্ত। অংশগ্রহণকারীদের সবাই বিশ্বে সংঘাত এড়িয়ে চলারও আহ্বান জানিয়েছেন।
চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
অবশ্য সব পক্ষের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ন্যামের তেহরান সম্মেলন সবাইকে সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন দুই দিনব্যাপী ওই সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার এক বক্তব্যে আক্ষেপ করে বলেন, পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে ইরান এখনো আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। নিজের মুখপাত্র ফারহান হককে দিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে বান এই দীর্ঘদিনের সমস্যার একটি ‘কূটনৈতিক ও আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান’ করতে চাপ দেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও বান কি মুন সম্মেলনে যোগ দিতে ইরানে যান।
পরবর্তী সম্মেলন ভেনেজুয়েলায়: ন্যামের পরবর্তী শীর্ষ সমেঞ্চলন ২০১৫ সালে ভেনেজুয়েলার কারাকাসে অনুষ্ঠিত হবে। ইরানে এ বছরের শীর্ষ সমেঞ্চলন সমাপ্তি ঘোষণা করার পরপরই শুক্রবার ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলাস মাদুরো এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জানান, ন্যামের ১৭তম শীর্ষ সমেঞ্চলনের আয়োজক দেশ হিসেবে ভেনেজুয়েলাকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আজারবাইজান ও ফিজিকে ন্যামের নতুন সদস্যদেশ হিসেবে গ্রহণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে। জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ন্যামের সদস্য। আর বিশ্বের প্রায় ৫৫ ভাগ জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে ন্যামভুক্ত দেশগুলো। এএফপি ও সিনহুয়া।
No comments