মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি
দেশের মেডিক্যাল কলেজসমূহে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে মতবিরোধের অবসান এখনও হয়নি; বরং এ নিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোপূর্বে প্রস্তাব করা হয়েছিল, এখন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল মূল্যায়নের মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজসমূহে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে।
প্রতিবছরই সর্বাধিক সংখ্যক মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য ভিড় করে থাকেন। কারণ বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা এখনও যথেষ্ট কম। দেশে বিভিন্ন এলাকায় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এখনও বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক প্রয়োজন। তাছাড়া চিকিৎসাশাস্ত্র এখন যেমন উন্নত, জটিল ও বহুমাত্রিক হয়েছে তাতে কেবলমাত্র সত্যিকার মেধাবী ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী শিক্ষার্থীরা এই ক্ষেত্রে অধ্যয়নের উপযুক্ত। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির বিষয়ে যদি কোন ধরনের অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়া হয়, তবে দেশের মেৃডিক্যাল শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং গরির ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ লাভে বঞ্চিত হবে। পরদিন থেকেই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের একাংশ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে আন্দোলনে নেমেছেন।
এখন সারাদেশেই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দুটি দল গড়ে উঠেছে। একদল সরকারী সিদ্ধান্তের পক্ষে; অন্য দল সরকারী সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। এক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই ন্যায় বিচারকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে; জনগণের বৃহত্তর কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এখানে রাজনীতি বা আবেগের কোন স্থান নেই। দু’একজন প্রভাবশালী সরকারদলীয় রাজনীতিক এক্ষেত্রে সরকারী সিদ্ধান্তের বিপক্ষে কথা বলেছেন। সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দলের একজন বিশিষ্ট নেতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির পক্ষে অভিমত জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টরা বাস্তবতা বিবেচনা করে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন।
সবারই প্রত্যাশা, সরকার ‘বাস্তবতার আলোকে’ বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে। এক্ষেত্রে তাদের জনস্বার্থে সঠিক ও ন্যায্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকার ইতোপূর্বে কোচিং ব্যবসা ও ভর্তিবাণিজ্যকে নিরুৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো জিপিএর মাধ্যমে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কল্যাণমূলক সরকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন জরুরী।
এখন সারাদেশেই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দুটি দল গড়ে উঠেছে। একদল সরকারী সিদ্ধান্তের পক্ষে; অন্য দল সরকারী সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। এক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই ন্যায় বিচারকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে; জনগণের বৃহত্তর কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এখানে রাজনীতি বা আবেগের কোন স্থান নেই। দু’একজন প্রভাবশালী সরকারদলীয় রাজনীতিক এক্ষেত্রে সরকারী সিদ্ধান্তের বিপক্ষে কথা বলেছেন। সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দলের একজন বিশিষ্ট নেতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির পক্ষে অভিমত জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টরা বাস্তবতা বিবেচনা করে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন।
সবারই প্রত্যাশা, সরকার ‘বাস্তবতার আলোকে’ বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে। এক্ষেত্রে তাদের জনস্বার্থে সঠিক ও ন্যায্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকার ইতোপূর্বে কোচিং ব্যবসা ও ভর্তিবাণিজ্যকে নিরুৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো জিপিএর মাধ্যমে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কল্যাণমূলক সরকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন জরুরী।
No comments