নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের প্রতিবেদন-অর্থাভাবে কলেরা মোকাবিলায় ব্যর্থ হচ্ছে হাইতি
কলেরার সঙ্গে পেরে উঠছে না হাইতি। প্রয়োজনীয় তহবিলের অভাবে সাহায্য সংস্থাগুলো তাদের কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নিচ্ছে। জাতিসংঘ গত শুক্রবার সতর্কতা উচ্চারণ করে এ তথ্য জানায়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পেশ করা এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেন মহাসচিব বান কি মুন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, মার্চের শুরুতে বর্ষা শুরুর পর থেকে দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) আশঙ্কা, চলতি বছর সর্বোচ্চ এক লাখ ১২ হাজার মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে।
২০১০ সালের অক্টোবরে হাইতিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখন থেকে এ রোগে প্রায় ছয় লাখ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত এতে মারা গেছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার জন। হাইতির বহু মানুষই মনে করে, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে যোগদানকারী নেপালি সেনাদের ক্যাম্পের টয়লেট থেকে একটি নদী দূষিত হয়। এরপর মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে কলেরা। ওই বছরের জানুয়ারিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার হয় হাইতি। এতে প্রায় তিন লাখ মানুষ মারা যায়। গৃহহারা হয় ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে এখনো তিন লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে উল্লেখ করে বান কি মুন বলেন, 'শিবিরগুলোতে মানুষের জীবনধারণের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সেখানে পর্যাপ্তসংখ্যক স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নেই। ফলে কলেরা ছড়িয়ে পড়ছে। সাহায্য সংস্থাগুলোও তহবিল সংকটের কারণে চলে যাচ্ছে।' তিনি জানান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাড়ে পাঁচ শ ডলারের আবেদন জানানো হয়েছিল। গত মার্চের মধ্যে এর মাত্র অর্ধেক পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় হাইতিতে শান্তিরক্ষী মিশনের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেন মহাসচিব। সূত্র : রয়টার্স।
২০১০ সালের অক্টোবরে হাইতিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখন থেকে এ রোগে প্রায় ছয় লাখ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত এতে মারা গেছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার জন। হাইতির বহু মানুষই মনে করে, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে যোগদানকারী নেপালি সেনাদের ক্যাম্পের টয়লেট থেকে একটি নদী দূষিত হয়। এরপর মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে কলেরা। ওই বছরের জানুয়ারিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার হয় হাইতি। এতে প্রায় তিন লাখ মানুষ মারা যায়। গৃহহারা হয় ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে এখনো তিন লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে উল্লেখ করে বান কি মুন বলেন, 'শিবিরগুলোতে মানুষের জীবনধারণের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সেখানে পর্যাপ্তসংখ্যক স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নেই। ফলে কলেরা ছড়িয়ে পড়ছে। সাহায্য সংস্থাগুলোও তহবিল সংকটের কারণে চলে যাচ্ছে।' তিনি জানান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাড়ে পাঁচ শ ডলারের আবেদন জানানো হয়েছিল। গত মার্চের মধ্যে এর মাত্র অর্ধেক পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় হাইতিতে শান্তিরক্ষী মিশনের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেন মহাসচিব। সূত্র : রয়টার্স।
No comments