ট্রেনের কর্মচারীকে চড় ওবায়দুল কাদেরের-তিনজনকে বদলির নির্দেশ
যাত্রীদের অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ রেলপথমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একটি ট্রেনের এক কর্মচারীকে চড় মেরেছেন। গতকাল শনিবার সকালে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে মহানন্দা নামের একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের কর্মচারীকে এই শাস্তি দেন তিনি।
এ ছাড়া অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও যাত্রীসেবার নিম্নমানের অভিযোগ পেয়ে খুলনা-ঢাকা রেলপথে চলাচলকারী আন্তনগর মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইজারা বাতিল করে রেলওয়ের সরাসরি পরিচালনায় আনার নির্দেশ দেন। এরপর মন্ত্রী ঈশ্বরদী ও চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শাস্তিমূলক বদলির নির্দেশ দেন।
শুক্রবার রাতে যোগাযোগ ও রেলপথমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাজশাহী থেকে পাবনা আসেন। তিনি রাতে পাকশীর সড়ক ও জনপথ বিভাগের রিসোর্টে অবস্থান করেন। গতকাল সকালে স্থানীয় সাংবাদিক ও রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ঈশ্বরদী জংশন পরিদর্শনে যান।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে খুলনা থেকে ঢাকাগামী মহানন্দা ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশনে পৌঁছলে মন্ত্রী ট্রেনটি পরিদর্শন করেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিযোগ শোনেন। এ সময় একজন যাত্রী ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করলে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী ট্রেনের কর্মচারী বলরাম দাসকে চড় দেন। এরপর মন্ত্রী ট্রেনটির ইজারা বাতিলেরও নির্দেশ দেন। তিনি বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে চাটমোহর রেলস্টেশনের মাস্টার গাজী গোলাম ফেরদৌস, পাকশী রেলভূমি অফিসের কানুনগো আমিরুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও বদলি এবং ঈশ্বরদী রেলস্টেশন কার্যালয়ের টিসি নাসিমা সুলতানাকে বদলির নির্দেশ দেন।
মন্ত্রীকে জানানো হয় পাকশী রেল বিভাগের সাড়ে ১৮ শ একর জমির মধ্যে ১১৩ একর জমি অবৈধ দখলে রয়েছে। মন্ত্রী এসব জমি এক মাসের মধ্যে দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন। তিনি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা ঘুরে দেখেন এবং রেলের জমির ওপরে অবৈধভাবে দখলে থাকা একটি ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন।
পাকশীতে মন্ত্রী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, 'রেল খাত দুর্নীতিতে ভরে গেছে। একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী রেলকে গলা টিপে মারছে। রেলের স্লিপার, তেল চুরি, টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে, সবই লুটে পুটে খাচ্ছে একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী। কে কত সম্পদের মালিক হয়েছে- আমি তাদের ছাড়ব না। তাদের বিরুদ্ধে দুদক দিয়ে তদন্ত করা হবে।'
মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সংসদ শামসুর রহমান শরিফ ডিলু, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ফেরদৌস আলম, রেলের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আমিনুর রশিদ, পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক পঙ্কজ কুমার সাহা, ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা কিরণ চন্দ্র রায় এবং পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরে মন্ত্রী পাবনা-কুষ্টিয়া সংযোগকারী লালন শাহ সেতু ও টোলপ্লাজা পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রী টোল প্লাজার অনিয়মের অভিযোগ ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
দুপুরে মন্ত্রী পাবনা সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
পাবনায় আসার পথে শুক্রবার রাতে নাটোরের লালপুরে এক পথসভায় বক্তব্য দেন যোগাযোগমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, 'আপনারা মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন। খারাপ ব্যবহার করলে ভালো কাজ করেও কোনো লাভ নেই। আমি রাস্তাটা ভালো করে করলাম আর আপনারা মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেন মানুষ এই ভালো রাস্তা ভুলে যাবে।' তিনি আরো বলেন, 'নেতারা কাজ করবেন মানুষের মুখের দিকে, চোখের দিকে তাকিয়ে, আকাশের দিকে তাকিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। ক্ষমতা চিরকাল থাকে না। কেউ ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। একদিন যখন ক্ষমতা থাকবে না তখন ওই ক্ষমতার দাপট শিখার আগুন হয়ে জ্বলবে।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব হোসেন ঝুলফু, জেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কাউছার প্রমুখ।
শুক্রবার রাতে যোগাযোগ ও রেলপথমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাজশাহী থেকে পাবনা আসেন। তিনি রাতে পাকশীর সড়ক ও জনপথ বিভাগের রিসোর্টে অবস্থান করেন। গতকাল সকালে স্থানীয় সাংবাদিক ও রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ঈশ্বরদী জংশন পরিদর্শনে যান।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে খুলনা থেকে ঢাকাগামী মহানন্দা ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশনে পৌঁছলে মন্ত্রী ট্রেনটি পরিদর্শন করেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিযোগ শোনেন। এ সময় একজন যাত্রী ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করলে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী ট্রেনের কর্মচারী বলরাম দাসকে চড় দেন। এরপর মন্ত্রী ট্রেনটির ইজারা বাতিলেরও নির্দেশ দেন। তিনি বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে চাটমোহর রেলস্টেশনের মাস্টার গাজী গোলাম ফেরদৌস, পাকশী রেলভূমি অফিসের কানুনগো আমিরুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও বদলি এবং ঈশ্বরদী রেলস্টেশন কার্যালয়ের টিসি নাসিমা সুলতানাকে বদলির নির্দেশ দেন।
মন্ত্রীকে জানানো হয় পাকশী রেল বিভাগের সাড়ে ১৮ শ একর জমির মধ্যে ১১৩ একর জমি অবৈধ দখলে রয়েছে। মন্ত্রী এসব জমি এক মাসের মধ্যে দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন। তিনি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা ঘুরে দেখেন এবং রেলের জমির ওপরে অবৈধভাবে দখলে থাকা একটি ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন।
পাকশীতে মন্ত্রী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, 'রেল খাত দুর্নীতিতে ভরে গেছে। একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী রেলকে গলা টিপে মারছে। রেলের স্লিপার, তেল চুরি, টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে, সবই লুটে পুটে খাচ্ছে একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী। কে কত সম্পদের মালিক হয়েছে- আমি তাদের ছাড়ব না। তাদের বিরুদ্ধে দুদক দিয়ে তদন্ত করা হবে।'
মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সংসদ শামসুর রহমান শরিফ ডিলু, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ফেরদৌস আলম, রেলের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আমিনুর রশিদ, পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক পঙ্কজ কুমার সাহা, ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা কিরণ চন্দ্র রায় এবং পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরে মন্ত্রী পাবনা-কুষ্টিয়া সংযোগকারী লালন শাহ সেতু ও টোলপ্লাজা পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রী টোল প্লাজার অনিয়মের অভিযোগ ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
দুপুরে মন্ত্রী পাবনা সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
পাবনায় আসার পথে শুক্রবার রাতে নাটোরের লালপুরে এক পথসভায় বক্তব্য দেন যোগাযোগমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, 'আপনারা মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন। খারাপ ব্যবহার করলে ভালো কাজ করেও কোনো লাভ নেই। আমি রাস্তাটা ভালো করে করলাম আর আপনারা মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেন মানুষ এই ভালো রাস্তা ভুলে যাবে।' তিনি আরো বলেন, 'নেতারা কাজ করবেন মানুষের মুখের দিকে, চোখের দিকে তাকিয়ে, আকাশের দিকে তাকিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। ক্ষমতা চিরকাল থাকে না। কেউ ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। একদিন যখন ক্ষমতা থাকবে না তখন ওই ক্ষমতার দাপট শিখার আগুন হয়ে জ্বলবে।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব হোসেন ঝুলফু, জেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কাউছার প্রমুখ।
No comments