উত্তরখানে স্ত্রীকে খুন করে ছেলেকে নিয়ে স্বামীর পলায়ন- খিলক্ষেতে গৃহবধূূর আত্মহত্যা

রাজধানীর উত্তরখানে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে পাষ- স্বামী। নিহতের নাম খাদিজা খাতুন (২৫)। ঘটনার পর পাষ- স্বামী মইজউদ্দীন তার পাঁচ বছরের সন্তান রিপনকে নিয়ে পালিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর পরকীয়ার জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।


এদিকে খিলক্ষেতে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। বাড্ডার পুকুর থেকে এক গাড়িচালকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশ উত্তরখান থানার চামুরখান পশ্চিমপাড়ার ইয়ামিনের বাড়ির ভাড়াটিয়ার শয়নকক্ষ থেকে খাদিজা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, ওই গৃহবধূ গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় কাঁথা মোড়ানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পাষ- স্বামী মইজউদ্দীন পাঁচ বছরের সন্তান রিপনকে নিয়ে পালিয়ে যায়। উত্তরা জোনের ডিসি নিসারুল আরিফ জানান, ৫ বছর ধরে স্থানীয় ইয়ামিনের বাসায় ভাড়া থাকত মইজউদ্দীন ও তার স্ত্রী খাদিজা। কয়েকমাস যাবত মইজউদ্দীন অন্য নারীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ে। তাকে বিয়ে করবে মইজউদ্দীন। এ নিয়ে খাদিজার সঙ্গে মইজউদ্দীনের ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে খাদিজাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে দরজায় তালা মেরে শিশুসন্তান রিপনকে নিয়ে পালিয়ে যায় মইজউদ্দীন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহতের ভাই আক্কাছ মিয়া জানান, ৭-৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে মইজউদ্দীনের সঙ্গে খাদিজার বিয়ে হয়। পাঁচ বছর ধরে উত্তরখানের এই এলাকায় ভাড়া থাকা অবস্থায় তাদের সঙ্গে থাকতেন তিনি। আক্কাছ মিয়া আরও জানান, ৬-৭ মাস যাবত দুলাভাই একটি মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাকে বিয়ে করবে বলে তার বোন খাদিজাকে জানায়। এ নিয়ে বোনের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। প্রায়শই বোনের সঙ্গে দুলাভাইয়ের ঝগড়া হতো। বোনকে প্রায়ই সে মারধর করত। এরই জের ধরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে শিশু রিপনকে নিয়ে পালিয়ে যায়। নিহতের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার আইজউদ্দীন মাতব্বরডাঙ্গি গ্রামে। এদিকে শনিবার সকালে পুলিশ খিলক্ষেত থানা খাঁ পাড়া এলাকার ক-৫৮/১ নম্বর নিলুফার ইয়াসমিনের বাড়ির ভাড়াটিয়ার কক্ষ থেকে খাদিজা বেগম (১৯) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতের স্বামী মোঃ শাহআলম পুলিশকে জানায়, শুক্রবার রাতে খাওয়া ধাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। পরেরদিন সকালে বেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখে স্ত্রী খাদিজা কাঠের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে। পরে তাকে নামিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। কি কারণে খাদিজা আত্মহত্যা করছে তা জানাতে পারেনি সে। নিহতের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার পূর্ব সালমাইদ গ্রামে। এদিন সকালে পুলিশ বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ির পাশে পুকুর থেকে মোঃ এমাদুল হোসেন (২৮) নামে এক গাড়িচালকের লাশ উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা সকাল ৭টায় ওই পুলিশ ফাঁড়ির পেছনের পুকুরে এমাদুলের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। তার পকেটে পাওয়া পরিচয়পত্র দেখে তার ঠিকানা জানা যায়। তিনি একজন গাড়িচালক। পিতার নাম সাহেব আলী। গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার লিমুইয়া থানা এলাকায়। তিনি গাজীপুর এলাকায় থাকতেন। তবে তাঁর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে।
এদিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হচ্ছেন, মোঃ ফখরুল (২৭) ও মোঃ মমিন (২২)।
মিরপুর মডেল থানার এসআই মোঃ শফিউল্লাহ জানান, শনিবার সকাল নয়টার দিকে মিরপুরের দুই নম্বর সেকশনের এফ ব্লকের এক নম্বর রোডের নাসিমবাগ এলাকার দুই নম্বর নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করছিলেন শ্রমিক ফখরুল ও মমিন। এ সময় তাঁরা ওপর থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

No comments

Powered by Blogger.