জারদারির দুর্নীতি মামলা-নতুন প্রধানমন্ত্রীকে কারণ দর্শাও, আদালতে তলব
* গিলানির পর নতুন প্রধানমন্ত্রী পারভেজ আশরাফকেও হারানোর আশঙ্কা * আদালত অবমাননা আইন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল কালের কণ্ঠ ডেস্ক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির দুর্নীতির মামলা পুনরুজ্জীবিত করার প্রশ্নে আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফকে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছেন
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। জারদারির মামলা আবার চালু করতে সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখতে আশরাফকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। গতকাল বুধবার ছিল এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান জানানোর শেষ দিন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এতে সাড়া না দেওয়ায় আগামী ২৭ আগস্ট তাঁকে আদালতে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।
এ অবস্থায় পূর্বসূরি ইউসুফ রাজা গিলানির মতো আশরাফকেও আদালত অবমাননার দায়ে বিদায় নিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মাস দুয়েকের ব্যবধানে আরেকজন প্রধানমন্ত্রী হারাবে পাকিস্তান। জারদারির মামলা চালুর ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট গিলানিকেও একই নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা পালন না করায় আদালত অমনাননার দায়ে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।
এদিকে আদালত অবমাননা আইনকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেছে সরকার। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে এ আবেদন দাখিল করা হয়েছে। আশরাফের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাও নোটিশ জারির পটভূমিতে এ আবেদন করা হলো।
বিচারপতি আসিফ সাঈদ খোসার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে গতকাল দায়মুক্তি অধ্যাদেশ (এনআরও)-সংক্রান্ত রিটের শুনানি হয়। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল ইরফান কাদির আদালতকে বলেন, সমস্যা সমাধানে সরকার গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির জন্য আরো সময় দরকার। এ জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় চান কাদির। তবে আদালত বলেন, ২৫ জুলাই অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুরোধে সময় বাড়িয়ে ৮ আগস্ট করা হয়। আগের শুনানির দিনগুলোতেও আদালতকে যথাযথ সহযোগিতা করা হয়নি। খোসা আদেশে বলেন, '২০০৩ সালের আদালত অবমাননা আইনের অধীনে এবং সংবিধানের ২০৪ অনুচ্ছেদবলে রাজা পারভেজ আশরাফের বিরুদ্ধে আমরা কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করছি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় কেন তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, নোটিশে তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। পরবর্তী শুনানির দিন আশরাফকে আদালতে হাজির হতে হবে। ২৭ আগস্ট পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হলো।' জারদারির মামলা পুনরুজ্জীবিত করার ব্যাপারে আদালতের আদেশ না মানার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির বিচার বিভাগ ও সরকার কার্যত মুখোমুখি অবস্থানে। দায়মুক্তি ভোগ করেন প্রেসিডেন্ট_এ যুক্তিতে গিলানি সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখতে অস্বীকৃতি জানান। এ জন্য তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে পদচ্যুত করেন সুপ্রিম কোর্ট। নতুন প্রধানমন্ত্রী আশরাফকেও একই আদেশ দেন আদালত। ব্যর্থ হলে তাঁকেও গিলানির ভাগ্য বরণ করার ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়। এ অবস্থায় মূলত প্রধানমন্ত্রীকে আদালত অবমাননার হাত থেকে রক্ষা করতে তড়িঘড়ি করে আদালত অবমাননা আইন প্রণয়ন করে সরকার। এ-সংক্রান্ত বিলটি ৯ জুলাই পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর ১২ জুলাই প্রেসিডেন্ট তাতে সই করায় তা আইনে পরিণত হয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ আগস্ট এটিকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট।
তবে সরকার এর বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের সিদ্ধান্ত নেয়। রাষ্ট্রপক্ষের নিযুক্ত আইনি পরামর্শক ব্যারিস্টার আবদুল শাকুর পরাচা রিভিউ আবেদনে বলেন, আইনগত বৈধ কার্যপ্রণালি ও পার্লামেন্টের রীতিনীতি অনুসরণ করেই কেবল আইন পাস করা যায়। আর পার্লামেন্টের সে ক্ষমতা আছে। সূত্র : ডন, এএফপি, বিবিসি।
এ অবস্থায় পূর্বসূরি ইউসুফ রাজা গিলানির মতো আশরাফকেও আদালত অবমাননার দায়ে বিদায় নিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মাস দুয়েকের ব্যবধানে আরেকজন প্রধানমন্ত্রী হারাবে পাকিস্তান। জারদারির মামলা চালুর ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট গিলানিকেও একই নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা পালন না করায় আদালত অমনাননার দায়ে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।
এদিকে আদালত অবমাননা আইনকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেছে সরকার। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে এ আবেদন দাখিল করা হয়েছে। আশরাফের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাও নোটিশ জারির পটভূমিতে এ আবেদন করা হলো।
বিচারপতি আসিফ সাঈদ খোসার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে গতকাল দায়মুক্তি অধ্যাদেশ (এনআরও)-সংক্রান্ত রিটের শুনানি হয়। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল ইরফান কাদির আদালতকে বলেন, সমস্যা সমাধানে সরকার গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির জন্য আরো সময় দরকার। এ জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় চান কাদির। তবে আদালত বলেন, ২৫ জুলাই অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুরোধে সময় বাড়িয়ে ৮ আগস্ট করা হয়। আগের শুনানির দিনগুলোতেও আদালতকে যথাযথ সহযোগিতা করা হয়নি। খোসা আদেশে বলেন, '২০০৩ সালের আদালত অবমাননা আইনের অধীনে এবং সংবিধানের ২০৪ অনুচ্ছেদবলে রাজা পারভেজ আশরাফের বিরুদ্ধে আমরা কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করছি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় কেন তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, নোটিশে তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। পরবর্তী শুনানির দিন আশরাফকে আদালতে হাজির হতে হবে। ২৭ আগস্ট পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হলো।' জারদারির মামলা পুনরুজ্জীবিত করার ব্যাপারে আদালতের আদেশ না মানার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির বিচার বিভাগ ও সরকার কার্যত মুখোমুখি অবস্থানে। দায়মুক্তি ভোগ করেন প্রেসিডেন্ট_এ যুক্তিতে গিলানি সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখতে অস্বীকৃতি জানান। এ জন্য তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে পদচ্যুত করেন সুপ্রিম কোর্ট। নতুন প্রধানমন্ত্রী আশরাফকেও একই আদেশ দেন আদালত। ব্যর্থ হলে তাঁকেও গিলানির ভাগ্য বরণ করার ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়। এ অবস্থায় মূলত প্রধানমন্ত্রীকে আদালত অবমাননার হাত থেকে রক্ষা করতে তড়িঘড়ি করে আদালত অবমাননা আইন প্রণয়ন করে সরকার। এ-সংক্রান্ত বিলটি ৯ জুলাই পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর ১২ জুলাই প্রেসিডেন্ট তাতে সই করায় তা আইনে পরিণত হয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ আগস্ট এটিকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট।
তবে সরকার এর বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের সিদ্ধান্ত নেয়। রাষ্ট্রপক্ষের নিযুক্ত আইনি পরামর্শক ব্যারিস্টার আবদুল শাকুর পরাচা রিভিউ আবেদনে বলেন, আইনগত বৈধ কার্যপ্রণালি ও পার্লামেন্টের রীতিনীতি অনুসরণ করেই কেবল আইন পাস করা যায়। আর পার্লামেন্টের সে ক্ষমতা আছে। সূত্র : ডন, এএফপি, বিবিসি।
No comments