বোমাং রাজা অংশৈপ্রু চৌধুরী আর নেই
বান্দরবান বোমাং সার্কেলের রাজা অংশৈপ্রু চৌধুরী (৯৮) আর নেই। গতকাল বুধবার সকাল নয়টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে রাজদরবারের লোকজন ধারণা করছেন। রাজার মৃত্যুতে রাজপরিবার ও প্রজাদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাজবাড়ীতে রাজাকে দেখতে হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ ভিড় জমায়।
বোমাং রাজপুত্র চহ্লাপ্রু জিমি জানান, রাজাবাহাদুর আকস্মিক অস্বস্তিবোধ করতে থাকেন। তিনি অস্বস্তির কথা জানানোর পর পরিবারে সবাই আসেন। খুব নিচু গলায় শরীর খারাপ লাগছে বলে বিছানায় শুইয়ে দিতে বলেন। শুইয়ে দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস ও নাড়ির স্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়।
রাজার মেয়ে জামাতা মংচিংহ্লা মারমা জানান, তাঁকে (রাজা) হাসপাতালে নিয়ে অথবা চিকিৎসক ডেকে চিকিৎসা করার সময় ও সুযোগ পাওয়া যায়নি।
১৯৯৮ সালে অংশৈপ্রু চৌধুরী ১৫তম বোমাং রাজা হন। রাজপদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশন পুনর্গঠন, শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী রাজপুণ্যাহ উৎসবের ধারাবাহিকতা রক্ষা, রাজদপ্তরের ভবন নির্মাণ ও আধুনিকায়নসহ বহু সংস্কারমূলক কাজ করেন। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও বন্ধুবৎসল বোমাং রাজা জাতিধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে সবার প্রিয় রাজা বাবু হয়ে ওঠেন।
১৯১৫ সালে ১ আগস্ট অংশৈপ্রু চৌধুরী রোয়াডোতে (বান্দরবানকে মারমারা রোয়াডো বলেন) জন্ম নেন। তিনি কলকাতার স্কটিস চার্চ কলেজ থেকে উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার পর ১৯৪৪ সালে তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বতন্ত্র পুলিশ বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রাম ফ্রন্টিয়ার্স পুলিশ ফোর্সে সহকারী পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন। পরে পুুলিশ বাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে তিনি সমাজ সংস্কারের কাজ করেন। তিনি সুদখোর মহাজনদের কাছ থেকে গরিব জুমিয়াদের রক্ষার জন্য বান্দরবানে সমবায় আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদে তিনি স্বতন্ত্র সাংসদ এবং সংখ্যালঘুবিষয়ক, সমবায় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সালে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে খাদ্য প্রতিমন্ত্রী হন।
রাজপুত্র চহ্লাপ্রু জিমি জানান, ২৪ আগস্ট অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
শোক প্রকাশ: রাজা অংশৈপ্রু চৌধুরীর মৃত্যুতে সোক প্রকাস করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এ ছাড়া সকালে রাজার মৃত্যুর খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম অঞ্চল), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাংসদ বীর বাহাদুর রাজবাড়ীতে ছুটে যান। তিনি গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
তাঁর মৃত্যুতে বান্দরবান জেলা বিএনপি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ধর্মবিষয়ক সহকারী সম্পাদক ও রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপেন দেওয়ান, জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া বান্দরবানের ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামস-উল হুদা, জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কামরুল আহসান রাজবাড়ীতে গিয়ে শোক প্রকাশ করেন।
রাজার মেয়ে জামাতা মংচিংহ্লা মারমা জানান, তাঁকে (রাজা) হাসপাতালে নিয়ে অথবা চিকিৎসক ডেকে চিকিৎসা করার সময় ও সুযোগ পাওয়া যায়নি।
১৯৯৮ সালে অংশৈপ্রু চৌধুরী ১৫তম বোমাং রাজা হন। রাজপদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশন পুনর্গঠন, শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী রাজপুণ্যাহ উৎসবের ধারাবাহিকতা রক্ষা, রাজদপ্তরের ভবন নির্মাণ ও আধুনিকায়নসহ বহু সংস্কারমূলক কাজ করেন। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও বন্ধুবৎসল বোমাং রাজা জাতিধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে সবার প্রিয় রাজা বাবু হয়ে ওঠেন।
১৯১৫ সালে ১ আগস্ট অংশৈপ্রু চৌধুরী রোয়াডোতে (বান্দরবানকে মারমারা রোয়াডো বলেন) জন্ম নেন। তিনি কলকাতার স্কটিস চার্চ কলেজ থেকে উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার পর ১৯৪৪ সালে তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বতন্ত্র পুলিশ বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রাম ফ্রন্টিয়ার্স পুলিশ ফোর্সে সহকারী পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন। পরে পুুলিশ বাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে তিনি সমাজ সংস্কারের কাজ করেন। তিনি সুদখোর মহাজনদের কাছ থেকে গরিব জুমিয়াদের রক্ষার জন্য বান্দরবানে সমবায় আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদে তিনি স্বতন্ত্র সাংসদ এবং সংখ্যালঘুবিষয়ক, সমবায় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সালে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে খাদ্য প্রতিমন্ত্রী হন।
রাজপুত্র চহ্লাপ্রু জিমি জানান, ২৪ আগস্ট অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
শোক প্রকাশ: রাজা অংশৈপ্রু চৌধুরীর মৃত্যুতে সোক প্রকাস করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এ ছাড়া সকালে রাজার মৃত্যুর খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম অঞ্চল), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাংসদ বীর বাহাদুর রাজবাড়ীতে ছুটে যান। তিনি গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
তাঁর মৃত্যুতে বান্দরবান জেলা বিএনপি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ধর্মবিষয়ক সহকারী সম্পাদক ও রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপেন দেওয়ান, জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া বান্দরবানের ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামস-উল হুদা, জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কামরুল আহসান রাজবাড়ীতে গিয়ে শোক প্রকাশ করেন।
No comments