আরও ভোগান্তির আশঙ্কা- মানিকগঞ্জ-দৌলতপুর সড়কে বাস চলাচল বন্ধ ২০ দিন
‘স্যার, আমার মায়ের অবস্থা খুব খারাপ, হার্ডের অসুখ। আমারে একটু যাওয়ার ব্যবস্থা করে দ্যান স্যার।’
গতকাল সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ-উল ইসলামের কাছে করুণার স্বরে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন দৌলতপুর উপজেলার উলাইল গ্রামের শফিকুল ইসলাম। অসুস্থ মা হাজেরা
গতকাল সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ-উল ইসলামের কাছে করুণার স্বরে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন দৌলতপুর উপজেলার উলাইল গ্রামের শফিকুল ইসলাম। অসুস্থ মা হাজেরা
বেগমকে (৫৫) মাইক্রোবাসযোগে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেতু এলাকায় এসে তিনি আটকা পড়েন। ঘিওর সেতু পার হওয়ার অনুমতির জন্য শফিকুল ওসি আশরাফকে কথাগুলো বলেন।
২০ দিন ধরে মানিকগঞ্জ-দৌলতপুর সড়কে ছোট যান (সিএনজি, রিকশা-ভ্যান) ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘিওর সেতুর স্তম্ভের পাশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে এ সড়কে চলাচলকারী কয়েক লাখ মানুষ। ঈদে ভোগান্তি বেড়েছে আরও কয়েক গুণ বেশি।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ঘিওর-দৌলতপুর সড়কের ধলেশ্বরী নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুর দৈর্ঘ্য ১৮০ মিটার ও প্রস্থ ৩ দশমিক ৬৬ মিটার। ওই বছরের ৩০ জুন সেতুটি দিয়ে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু করে। নদীতে পানি বাড়ার কারণে সেতুটির ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের তিনটি স্তম্ভের পাশ থেকে ১৫ মিটার নিচ পর্যন্ত মাটি সরে যায়। এ জন্য ধসের হাত থেকে রক্ষায় এবং দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির আটটি পিলার রয়েছে। স্রোতের কারণে মাঝের দুটি পিলারের পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। এর ওপর দিয়ে বাসসহ সব ধরনের যানবাহন (সিএনজি, রিকশা-ভ্যান ব্যতীত) চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ জন্য সেতুর উভয় পাশে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এলাকাবাসী জানায়, সেতু দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী, টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ মানিকগঞ্জ সদর ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে এসব এলাকার মানুষ। কৃষকের ভোগান্তি আরও বেশি। ঘিওরের তেরশ্রী গ্রামের আজগর আলী, দৌলতপুরের নিলুয়া গ্রামের আরশেদ মোল্লা, ধামশ্বর গ্রামের আজমত হোসেনসহ আরও কয়েকজন কৃষক জানান, তাঁদের উৎপাদিত পণ্য (ধান, সরষে, গম ও ভুট্টা) বিক্রি করে সংসার চলে। সেতু দিয়ে যানবাহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন হাটবাজারে এসব পণ্য নিতে চরম বিপাকে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি ও ভ্যানে করে এসব কৃষিপণ্য বিভিন্ন হাটবাজারে নিতে হচ্ছে।
এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকেরাও পড়েছেন বিপাকে। ভিলেজ লাইন পরিবহনের বাসমালিক আনোয়ারুল হক জানান, সামনে ঈদ। অথচ সেতু বিকল হয়ে পড়ায় সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যানবাহনের চালক ও শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। বাসমালিকেরাও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইউসুফ হোসেন জানান, সেতুটির দুটি পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে এবং পিলারের পাশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য সেতুটি ধসে পড়ার আশঙ্কায় এর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
তিনি বলেন, ‘এলজিইডির বিশেষজ্ঞ দল কয়েক দিন আগে সেতুটি পরিদর্শন করেছে। শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।’ ঘিওর থানার ওসি আশরাফ-উল ইসলাম বলেন, সেতুটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়াবে।
২০ দিন ধরে মানিকগঞ্জ-দৌলতপুর সড়কে ছোট যান (সিএনজি, রিকশা-ভ্যান) ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘিওর সেতুর স্তম্ভের পাশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে এ সড়কে চলাচলকারী কয়েক লাখ মানুষ। ঈদে ভোগান্তি বেড়েছে আরও কয়েক গুণ বেশি।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ঘিওর-দৌলতপুর সড়কের ধলেশ্বরী নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুর দৈর্ঘ্য ১৮০ মিটার ও প্রস্থ ৩ দশমিক ৬৬ মিটার। ওই বছরের ৩০ জুন সেতুটি দিয়ে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু করে। নদীতে পানি বাড়ার কারণে সেতুটির ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের তিনটি স্তম্ভের পাশ থেকে ১৫ মিটার নিচ পর্যন্ত মাটি সরে যায়। এ জন্য ধসের হাত থেকে রক্ষায় এবং দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির আটটি পিলার রয়েছে। স্রোতের কারণে মাঝের দুটি পিলারের পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। এর ওপর দিয়ে বাসসহ সব ধরনের যানবাহন (সিএনজি, রিকশা-ভ্যান ব্যতীত) চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ জন্য সেতুর উভয় পাশে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এলাকাবাসী জানায়, সেতু দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী, টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ মানিকগঞ্জ সদর ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে এসব এলাকার মানুষ। কৃষকের ভোগান্তি আরও বেশি। ঘিওরের তেরশ্রী গ্রামের আজগর আলী, দৌলতপুরের নিলুয়া গ্রামের আরশেদ মোল্লা, ধামশ্বর গ্রামের আজমত হোসেনসহ আরও কয়েকজন কৃষক জানান, তাঁদের উৎপাদিত পণ্য (ধান, সরষে, গম ও ভুট্টা) বিক্রি করে সংসার চলে। সেতু দিয়ে যানবাহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন হাটবাজারে এসব পণ্য নিতে চরম বিপাকে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি ও ভ্যানে করে এসব কৃষিপণ্য বিভিন্ন হাটবাজারে নিতে হচ্ছে।
এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকেরাও পড়েছেন বিপাকে। ভিলেজ লাইন পরিবহনের বাসমালিক আনোয়ারুল হক জানান, সামনে ঈদ। অথচ সেতু বিকল হয়ে পড়ায় সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যানবাহনের চালক ও শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। বাসমালিকেরাও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইউসুফ হোসেন জানান, সেতুটির দুটি পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে এবং পিলারের পাশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য সেতুটি ধসে পড়ার আশঙ্কায় এর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
তিনি বলেন, ‘এলজিইডির বিশেষজ্ঞ দল কয়েক দিন আগে সেতুটি পরিদর্শন করেছে। শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।’ ঘিওর থানার ওসি আশরাফ-উল ইসলাম বলেন, সেতুটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়াবে।
No comments