ওয়াসার এমডির ভ্রমণবিলাস-স্বচ্ছ তদন্তের দাবি
সরকারের উচ্চ কর্মকর্তাদের কারণে-'অকারণে' বিদেশ ভ্রমণ করতে হয়। সরকার বিদেশে প্রশিক্ষণ, সেমিনারে অংশগ্রহণ, বিভিন্ন সম্মেলনে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের প্রেরণ করে থাকে। নিয়ম ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী তাঁদের সেসব বিদেশ ভ্রমণ থেকে উপকৃত হওয়ার কথা। সরকারের অর্থব্যয়ে ভ্রমণকারীর লব্ধ অভিজ্ঞতা
দেশের বিভিন্ন খাতে প্রয়োগ হওয়ার কথা। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায়, এসব বিদেশ সফর নিরেট ভ্রমণস্বর্বস্ব। এতে নিজের বিনোদন ও ব্যক্তিগত প্রয়োজন ছাড়া দেশ ও জাতির কোনো লাভ হয় না। ভ্রমণের নামে সরকারের অর্থ ধ্বংসের সংবাদ নতুন নয়। কিন্তু সেসব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. তানসিম এ খান। পত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, দুই বছর ১০ মাসের চাকরিজীবনে তিনি এক বছর কাটিয়েছেন বিদেশ ভ্রমণে। এসব ভ্রমণের অধিকাংশই ছিল সরকারি অর্থে। অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, কেনিয়া, উগান্ডাসহ বিভিন্ন দেশ সফরের সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্ত করে দিয়ে সরকারের বড় অঙ্কের অর্থের অপচয় ঘটিয়েছেন। আরো জানা গেছে, তাঁর পরিবার, অর্থাৎ স্ত্রী-সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন এবং সেখানকার নাগরিক। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজেও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন। সে কারণেই প্রতিটি সফরের সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর জুড়ে দিয়েছেন, যা স্বাভাবিকভাবেই ব্যয়বহুল বলে ধারণা করা যায়।
বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্তের দাবি রাখে। এ ধরনের কর্মকর্তাদের কারণে সরকারের বদনাম হয়, দুর্নীতি প্রশ্রয় পায় ও দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার চেয়েও বড় কথা, একটি দেশের শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল মহল যখন এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে এবং সমাজে ও রাষ্ট্রে অব্যাহতভাবে মর্যাদার আসনে সমাসীন থাকে, তখন অন্যায়, সংকীর্ণতা ও নৈতিকতাবিবর্জিত জীবনদর্শন প্রতিষ্ঠা লাভ করে, যা এখন বাংলাদেশের সমাজে উদ্বেগের সঙ্গে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা মনে করি, সরকারের কাজ শুধু পাঁচ বছরের জন্য দেশের ঠিকাদারি গ্রহণ নয়, একটি ভালো সরকারের দেশের নৈতিকতা গঠনেও ব্যাপক ভূমিকা রাখা জরুরি কর্তব্য। যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়, যদি অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়া হয়, তাহলেই রাষ্ট্রীয় জীবনে নীতি-নৈতিকতার বিকাশ ঘটতে পারে। সুতরাং শুধু এই কর্মকর্তাই নয়, এ ধরনের অনিয়ম, অনৈতিক কাজে সচেতনভাবে নিয়োজিত থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দেশ ও জাতির স্বার্থে রীতিমতো ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সরকারের অর্থ যত দিন গৌরীসেনের অর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে, তত দিন দেশের উন্নতি অসম্ভব।
বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্তের দাবি রাখে। এ ধরনের কর্মকর্তাদের কারণে সরকারের বদনাম হয়, দুর্নীতি প্রশ্রয় পায় ও দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার চেয়েও বড় কথা, একটি দেশের শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল মহল যখন এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে এবং সমাজে ও রাষ্ট্রে অব্যাহতভাবে মর্যাদার আসনে সমাসীন থাকে, তখন অন্যায়, সংকীর্ণতা ও নৈতিকতাবিবর্জিত জীবনদর্শন প্রতিষ্ঠা লাভ করে, যা এখন বাংলাদেশের সমাজে উদ্বেগের সঙ্গে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা মনে করি, সরকারের কাজ শুধু পাঁচ বছরের জন্য দেশের ঠিকাদারি গ্রহণ নয়, একটি ভালো সরকারের দেশের নৈতিকতা গঠনেও ব্যাপক ভূমিকা রাখা জরুরি কর্তব্য। যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়, যদি অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়া হয়, তাহলেই রাষ্ট্রীয় জীবনে নীতি-নৈতিকতার বিকাশ ঘটতে পারে। সুতরাং শুধু এই কর্মকর্তাই নয়, এ ধরনের অনিয়ম, অনৈতিক কাজে সচেতনভাবে নিয়োজিত থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দেশ ও জাতির স্বার্থে রীতিমতো ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সরকারের অর্থ যত দিন গৌরীসেনের অর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে, তত দিন দেশের উন্নতি অসম্ভব।
No comments