পরলোকে বোমাং রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরী
বান্দরবান, ৮ আগস্ট ॥ বান্দরবান পার্বত্য জেলার বোমাং রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরী দীর্ঘদিন রোগভোগের পর বুধবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।
বোমাং রাজপরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি বান্দরবান বোমাং সার্কেলের ১৫তম রাজা ছিলেন। বোমাং রাজা ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান সরকারের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী এবং ব্রিটিশ সরকারের সময়ে পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। মারমা সম্প্রদায়ের এই রাজার মৃত্যুতে বান্দরবান পার্বত্য জেলাসহ অন্য দুই পার্বত্য জেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘটনার পর পর রাজাকে একনজর দেখার জন্য রাজভবনে ভিড় জমান প্রজারা। তিনি ৯ সন্তান ও বহু শুভাকাক্সক্ষী রেখে যান। রাজার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব শোক প্রকাশ করেছেন।
১৭২৭ সাল থেকে বোমাং রাজার ইতিহাস শুরু। ষষ্ঠ বোমাং রাজা চহ্লা প্রুর শাসনামলের শেষবর্ষে ১৯১৫ সালে বোমাং সার্কেলের ১৫তম রাজা বোমাংগ্রী অং শৈ প্রু চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। বোমাংগ্রী মং শৈ প্রু চৌধুরীর মৃত্যুর পর রাজার শূন্যপদ নিয়ে বোমাং রাজ পরিবারের সদস্য কে এস প্রু এবং অং শৈ প্রু চৌধুরী বিরোধে জড়িয়ে পড়লে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে আদালতের রায়ে বোমাং সার্কেলের প্রবীণ উত্তরাধিকার হিসেবে অং শৈ প্রু চৌধুরী রাজার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। প্রায় ২শ’ বছর আগের পাহাড়ের ঐতিহ্য অনুসারে তিনি এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। রাজপরিবার সূত্র আরও জানায়, বুধবার রাতের কোন এক সময়ে রাজপরিবারের সদস্যরা বসে সিদ্ধান্ত নিবেন কখন রাজার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে এবং পরে তা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। এদিকে ঘটনার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর এমপি, জেলা প্রশাসক এ কে এম তারিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কামরুল হাসানসহ জেলা বিএনপি, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা রাজাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে রাজ বাড়িতে যান। তাছাড়া রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপেন দেওয়ান, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা আলাদা আলাদা বিবৃতিতে রাজার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রীর শোক ॥ এদিকে বান্দরবান পার্বত্য জেলার বোমাং সার্কেলের ১৫তম রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরীর মৃত্যুতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
১৭২৭ সাল থেকে বোমাং রাজার ইতিহাস শুরু। ষষ্ঠ বোমাং রাজা চহ্লা প্রুর শাসনামলের শেষবর্ষে ১৯১৫ সালে বোমাং সার্কেলের ১৫তম রাজা বোমাংগ্রী অং শৈ প্রু চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। বোমাংগ্রী মং শৈ প্রু চৌধুরীর মৃত্যুর পর রাজার শূন্যপদ নিয়ে বোমাং রাজ পরিবারের সদস্য কে এস প্রু এবং অং শৈ প্রু চৌধুরী বিরোধে জড়িয়ে পড়লে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে আদালতের রায়ে বোমাং সার্কেলের প্রবীণ উত্তরাধিকার হিসেবে অং শৈ প্রু চৌধুরী রাজার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। প্রায় ২শ’ বছর আগের পাহাড়ের ঐতিহ্য অনুসারে তিনি এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। রাজপরিবার সূত্র আরও জানায়, বুধবার রাতের কোন এক সময়ে রাজপরিবারের সদস্যরা বসে সিদ্ধান্ত নিবেন কখন রাজার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে এবং পরে তা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। এদিকে ঘটনার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর এমপি, জেলা প্রশাসক এ কে এম তারিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কামরুল হাসানসহ জেলা বিএনপি, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা রাজাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে রাজ বাড়িতে যান। তাছাড়া রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপেন দেওয়ান, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা আলাদা আলাদা বিবৃতিতে রাজার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রীর শোক ॥ এদিকে বান্দরবান পার্বত্য জেলার বোমাং সার্কেলের ১৫তম রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরীর মৃত্যুতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
No comments