প্রাচীনতম ‘দেশলাইকাঠি’!
নব্যপ্রস্তর যুগে কাদামাটি ও পাথর দিয়ে বানানো কিছু শিল্পকর্মকে পৃথিবীর প্রাচীনতম ‘দেশলাইকাঠি’ বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রত্নবিজ্ঞানীরা। নতুন একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী প্লস ওয়ান-এ প্রকাশিত হয়েছে।
সিলিন্ডারের আকৃতিবিশিষ্ট এই বস্তুগুলোকে এর আগে প্রাচীন কোনো ধর্মাবলম্বীদের উপাস্য লিঙ্গমূর্তি হিসেবে ধারণা করা হয়েছিল। গবেষকদের নতুন ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এগুলো মানুষের
সর্বপ্রথম আগুন জ্বালাতে শেখার প্রাচীনতম নিদর্শন। গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নামা গোরেন-ইনবার বলেন, ‘আধুনিক এবং প্রস্তর যুগের মানুষের আগুন ব্যবহারের নিদর্শন হিসেবে আমরা পোড়া কাঠ-কয়লা, ছাই ও চুলাজাতীয় অগ্নিআধারের মতো নিদর্শন দেখি। কিন্তু আগুন ধরানোর কোনো সরঞ্জাম এর আগে কখোনোই খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
তবে জেরুজালেমে অবস্থিত ইসরায়েল জাদুঘরে সফরের সময় অধ্যাপক গোরেন-ইনবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হন, শা’আর হাগোলান প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় পাওয়া আদিম বস্তুগুলো নিছক সাদামাটাভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহূত হয়নি; বরং সেগুলো ভিন্ন কোনো কাজে ব্যবহার করা হতো। তিনি বলেন, ‘বস্তুগুলো দেখার পর তাৎক্ষণিকভাবে আমার মাথায় আসে, ফায়ার ড্রিল করতে যে ধরনের লাঠি ব্যবহার করা হয় তার সঙ্গে এগুলোর খুবই মিল রয়েছে।’
সিলিন্ডার আকৃতিবিশিষ্ট ওই পাথুরে যন্ত্রপাতিগুলো আসলেই আগুন তৈরিতে সক্ষম কি না, তা পরীক্ষায় বৈদ্যুতিক অণুবীক্ষণযন্ত্র পদ্ধতি ব্যবহার করেন অধ্যাপক গোরেন-ইনবার ও তাঁর গবেষক দলটির সদস্যরা। পরীক্ষা শেষে তাঁরা মনে করছেন এগুলো অগ্নস্ফুিলিঙ্গ উৎপাদনে ব্যবহূত হতো। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলোকে পৃথিবীর প্রাচীনতম দেশলাইকাঠি বলা যেতে পারে। বিবিসি।
সর্বপ্রথম আগুন জ্বালাতে শেখার প্রাচীনতম নিদর্শন। গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নামা গোরেন-ইনবার বলেন, ‘আধুনিক এবং প্রস্তর যুগের মানুষের আগুন ব্যবহারের নিদর্শন হিসেবে আমরা পোড়া কাঠ-কয়লা, ছাই ও চুলাজাতীয় অগ্নিআধারের মতো নিদর্শন দেখি। কিন্তু আগুন ধরানোর কোনো সরঞ্জাম এর আগে কখোনোই খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
তবে জেরুজালেমে অবস্থিত ইসরায়েল জাদুঘরে সফরের সময় অধ্যাপক গোরেন-ইনবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হন, শা’আর হাগোলান প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় পাওয়া আদিম বস্তুগুলো নিছক সাদামাটাভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহূত হয়নি; বরং সেগুলো ভিন্ন কোনো কাজে ব্যবহার করা হতো। তিনি বলেন, ‘বস্তুগুলো দেখার পর তাৎক্ষণিকভাবে আমার মাথায় আসে, ফায়ার ড্রিল করতে যে ধরনের লাঠি ব্যবহার করা হয় তার সঙ্গে এগুলোর খুবই মিল রয়েছে।’
সিলিন্ডার আকৃতিবিশিষ্ট ওই পাথুরে যন্ত্রপাতিগুলো আসলেই আগুন তৈরিতে সক্ষম কি না, তা পরীক্ষায় বৈদ্যুতিক অণুবীক্ষণযন্ত্র পদ্ধতি ব্যবহার করেন অধ্যাপক গোরেন-ইনবার ও তাঁর গবেষক দলটির সদস্যরা। পরীক্ষা শেষে তাঁরা মনে করছেন এগুলো অগ্নস্ফুিলিঙ্গ উৎপাদনে ব্যবহূত হতো। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলোকে পৃথিবীর প্রাচীনতম দেশলাইকাঠি বলা যেতে পারে। বিবিসি।
No comments