১০ বছর ধরে লো-ভোল্টেজ সমস্যায় দুই হাজার মানুষ
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বনতেঘরী মহল্লায় বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে। গ্রাহকেরা সময়মতো বিলও দেয়। কিন্তু বিদ্যুৎ-সংযোগের যথাযথ সেবা থেকে তারা বঞ্চিত। কারণ, গত ১০ বছর ধরে তাদের বাসাবাড়ির লাইনে লো-ভোল্টেজের (প্রয়োজনের তুলনায় কম ভোল্টেজ) সমস্যা বিরাজ করছে। তাই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে কুপিবাতি ভরসা।
গ্রাহকেরা অভিযোগ করে, প্রায় ১০ বছর ধরে চলে আসা এ সমস্যা সমাধানের জন্য অনেকবার তারা বিদ্যুতের স্থানীয় কার্যালয়ে গেছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ পৌর শহরের ওই মহল্লায় প্রায় দুই হাজার মানুষের বসবাস। ১০ বছর আগে ওই মহল্লায় বিদ্যুতের লাইন টানা হয়। লাইন টানতে দেখে মহল্লাবাসীর মুখে হাসি ফুটেছিল। কিন্তু ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার পরই মুখের সেই হাসি মিলিয়ে যায়। কারণ, বাল্ব থেকে যে আলো বের হয়, তা দিয়ে ঘরের অন্ধকার দূর হয় না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার সময় ওই মহল্লায় এক তারের লাইন টানা হয়। তা ছাড়া এই মহল্লা থেকে মূল ট্রান্সফরমারের দূরত্ব অনেক বেশি। এ দুই কারণে লো-ভোল্টেজের এমন অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য শুরু থেকেই গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে নতুন একটি ট্রান্সফরমার স্থাপন ও কমপক্ষে দুই তারের লাইন টানার দাবি জানিয়ে আসছে।
ওই মহল্লায় শুক্রবার রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যুৎ থাকলেও সে বিদ্যুতের আলো দিয়ে কোনো কাজ হয় না। লো-ভোল্টেজের কারণে ঠিকমতো নিজের হাতটুকুও দেখা যায় না। তাই ওই মহল্লার কিছু বাড়িতে হারিকেন, কোথাও মোমবাতি আবার কোথাও কুপিবাতি জ্বালিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
ওই মহল্লার ব্যবসায়ী আবু সাইদ বলেন, ‘আমাদের মহল্লায় ভোল্টেজের যা অবস্থা, তাতে আমাদের মোমবাতি, কুপিবাতি বা হারিকেন জ্বালিয়ে কাজ করতে হয়। বিদ্যুতের এ অবস্থার কারণে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ-চালিত অন্যান্য যন্ত্র দিয়ে কোনো কাজও করা যাচ্ছে না।’
গৃহবধূ আনোয়ারা বেগম জানান, বিদ্যুতের এ অবস্থার কারণে গরমের সময় তাঁদের বাড়িতে আত্মীয়স্বজন বেড়াতে আসে না। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড শিবগঞ্জ উপজেলার আবাসিক প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে লো-ভোল্টেজের কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে। রমজানের পরই ওই এলাকায় বিদ্যুতের লাইনে স্বাভাবিক ভোল্টেজ দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ পৌর শহরের ওই মহল্লায় প্রায় দুই হাজার মানুষের বসবাস। ১০ বছর আগে ওই মহল্লায় বিদ্যুতের লাইন টানা হয়। লাইন টানতে দেখে মহল্লাবাসীর মুখে হাসি ফুটেছিল। কিন্তু ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার পরই মুখের সেই হাসি মিলিয়ে যায়। কারণ, বাল্ব থেকে যে আলো বের হয়, তা দিয়ে ঘরের অন্ধকার দূর হয় না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার সময় ওই মহল্লায় এক তারের লাইন টানা হয়। তা ছাড়া এই মহল্লা থেকে মূল ট্রান্সফরমারের দূরত্ব অনেক বেশি। এ দুই কারণে লো-ভোল্টেজের এমন অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য শুরু থেকেই গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে নতুন একটি ট্রান্সফরমার স্থাপন ও কমপক্ষে দুই তারের লাইন টানার দাবি জানিয়ে আসছে।
ওই মহল্লায় শুক্রবার রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যুৎ থাকলেও সে বিদ্যুতের আলো দিয়ে কোনো কাজ হয় না। লো-ভোল্টেজের কারণে ঠিকমতো নিজের হাতটুকুও দেখা যায় না। তাই ওই মহল্লার কিছু বাড়িতে হারিকেন, কোথাও মোমবাতি আবার কোথাও কুপিবাতি জ্বালিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
ওই মহল্লার ব্যবসায়ী আবু সাইদ বলেন, ‘আমাদের মহল্লায় ভোল্টেজের যা অবস্থা, তাতে আমাদের মোমবাতি, কুপিবাতি বা হারিকেন জ্বালিয়ে কাজ করতে হয়। বিদ্যুতের এ অবস্থার কারণে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ-চালিত অন্যান্য যন্ত্র দিয়ে কোনো কাজও করা যাচ্ছে না।’
গৃহবধূ আনোয়ারা বেগম জানান, বিদ্যুতের এ অবস্থার কারণে গরমের সময় তাঁদের বাড়িতে আত্মীয়স্বজন বেড়াতে আসে না। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড শিবগঞ্জ উপজেলার আবাসিক প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে লো-ভোল্টেজের কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে। রমজানের পরই ওই এলাকায় বিদ্যুতের লাইনে স্বাভাবিক ভোল্টেজ দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
No comments