বাজারদর- বাজারের তেজিভাব খানিকটা কমেছে

রমজানে ব্যবহারের তেল-চিনি-ছোলাসহ প্রয়োজনীয় পণ্য রোজার আগেই কিনে রেখেছিলেন বেশির ভাগ ক্রেতা। আর যাঁরা তা করেননি, তাঁদের অনেকে এরই মধ্যে পুরো রমজান মাসের বাজার সেরে ফেলেছেন। রমজানের শুরুতে বাজারের যে তেজিভাব ছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে।


একদিকে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে, অন্যদিকে কমে গেছে ক্রেতাও। সে কারণেই তরিতরকারিসহ সব নিত্যপণ্য এখন বিক্রি হচ্ছে কম দামে। ফলে এখন যাঁরা বাজার করছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
প্রথম রোজায় শসার কেজি বাজারভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল এর দাম ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। মানভেদে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। এভাবে প্রায় সব তরিতরকারির দামই কমেছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা। বেড়েছে ভোজ্যতেল, ডিম ও মুরগির সরবরাহ। তাই এসব পণ্যের দামও কমেছে।
সবজির বাজার ঠান্ডা: রাজধানীর মিরপুর-১০, কাজীপাড়া বাজার, পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার ও নয়াবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শসা ২০ থেকে ৩০, পেঁপে ৩০, চিচিঙ্গা ১৫ থেকে ৩০, আলু ২২ থেকে ২৫, ঢ্যাঁড়স ২৮ থেকে ৩২, টমেটো ৮০ থেকে ১০০, বেগুন ৩০ থেকে ৪০, বরবটি ২৮ থেকে ৩৫, পটোল ২০ থেকে ৩০, আকারভেদে ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
প্রথম রোজার দিন প্রতি কেজি শসা ৩৫ থেকে ৪০, গাজর ৪০, পটোল ৩০, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০, কাঁচকলার হালি ২৫, চিচিঙ্গা ২৫ থেকে ৩০, বরবটি ৩৫ থেকে ৪০, ঝিঙে ৩০ থেকে ৩২, করলা ৩০, আলু ২৪ থেকে ২৬ ও কাঁকরোল ৩০ টাকায় বিক্রি হয়।
রমজানের শুরুতে মরিচ ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও গতকাল ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে রায়সাহেব ও কাজীপাড়া বাজারে গতকালও ৬০ টাকা কেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে।
প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৪ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে দুই টাকা।
সরবরাহ বেড়েছে মাছের: রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছের সরবরাহ এখন স্বাভাবিক। তবে ক্রেতার সংখ্যা কম হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। রায়সাহেব বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছের বাজার প্রায় ক্রেতাশূন্য। কোনো ক্রেতা মাছের দর জিজ্ঞেস করলেই বিক্রেতারা তাঁকে ছাড়তে চাননি। সে কারণে হাঁকা মূল্যের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কম দামে মাছ বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। একই চিত্র চোখে পড়ে নয়াবাজারেও।
মুরগির ডিমের দাম এক সপ্তাহে হালিপ্রতি তিন থেকে চার টাকা কমেছে। এক হালি ফার্মের ডিম ৩০ থেকে ৩২, দেশি মুরগির ডিম ৩৫ এবং হাঁসের ডিম ৩৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এক কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি রায়সাহেব বাজারে ১৪৫ থেকে ১৫০ এবং নয়াবাজারে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ২৭০ থেকে ২৭৫ এবং খাসির মাংস ৪৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তেল-চিনি: সপ্তাহ খানেক আগে বাজারে খোলা ও বোতলজাত ভোজ্যতেলের যে সংকট ছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৬৭০ থেকে ৬৮০ এবং এক লিটারের তেল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির কেজি ৫৩ থেকে ৫৪ টাকা।

No comments

Powered by Blogger.